মা বাবার দোয়ার বিষ্ময়কর ফজিলত। মায়ের দোয়া
মা বাবার দোয়ার বিষ্ময়কর ফজিলত। মায়ের দোয়া
পৃথিবীতে যারাই সফল হয়েছেন তাদের সকলেই বলে এটা আমার মা বাবার দোয়া। হযরত বায়েজিদ বোস্তামি পাহাড়ে জঙ্গলে ৪০ বছর সাধনা করে আল্লাহর সান্নিধ্য হাসিল করতে ব্যথ হলেন, একদিন শীতের রাতে মায়ের খেদমতে এসে মা পানি পান করতে চাইলে পানি নিয়ে আসলেন কিন্তু মা ঘুমিয়ে পরায় সারারাত পানি নিয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন মায়ের ঘুমের ব্যঘাত ঘটালেন না, মা যখন তাহাজ্জুদের সময় উঠলেন দেখলেন বায়েজিদ পানি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, সারা রাত ঘুমায়নি, তখন মা উঠে পানি পান করলেন অজু করে জায়নামাজ বিছিয়ে সন্তানের জন্য দোয়া করলেন, বায়েজিদ বলেন আমি ৪০ বছর পাহাড় জঙ্গলে রিয়াজত করে যা পাইনি তা আমার মায়ের এই এক রাতের দোয়াতেই পেয়ে গেছি।
মায়ের দোয়ার এত তাছির কেন?
মাহবুবে খোদা ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একজন মা যখন সন্তানকে গভেধারণ করেন, তখন সে গভবতী মাকে রব্বে করিম সে মর্যাদা দান করেন যে মর্যাদা একজন মুজাহিদকে তলোয়ার নিয়ে ময়দানে জিহাদকারীকে দিয়ে থাকে।
হুজুর (দ) এর এই কথাটি নারীদের চোখের পানি টপকে পরে, সরকার (দ) বলেন শুন যখন একজন নারী বাচ্চা জন্ম দেয়। সে বাচ্চা যখন রাতে কান্না করে পায়খানা পেশাব করে সে মা রাত জেগে সে বাচ্চার খেদমত করে
- সরকার (দ)
ফরমান সে মা একথা চিন্তা করবেনা যে আমি সারারাত বাচ্চার পায়খানা পেশাব পরিস্কার করব আর তার বাবা ঘুমাবে? বরং যে সব মা রাতে উঠে সন্তানকে দুধ পান করায়, সন্তানের পেশাব পায়খানা করে ছোট বাচ্চার খেদমত করে তাকে আল্লাহ তায়ালা ততটা পুরস্কার দানকরেন যতটা সারা রাত জায়নামাজে দাঁড়িয়ে এবাদতগুজার বান্দাকে দানকরেন।
মায়ের নাম শুনলেই চোখে পানি চলে আসে, মায়ের নাম শুনলে কলিজার ভিতর একটি আলোড়ন সৃষ্টি হয়, এটা একমাত্র হুজুর (দ) এর শিক্ষার আলোর কারনেই হয়েছে। হযরত তারেক ইবনে আবদুল্লাহ বলেন আমি হুজুর (দ) এর নবুয়তের ঘোষনা দেয়ার আগেও মক্কায় এসেছিলাম তখন আমি এক নওজোয়ানকে দেখলাম সে এক বুড়িকে গলায় রশি বেঁধে টেনে হেচড়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমি সে যুবককে প্রশ্ন করলাম এই বুড়িটি কে?
কেন তার সাথে এমন আচরণ করছ? সে যুবক বলল বুড়িটি আমার মা সে কোন কাজ করতে পারেনা তাই তাকে বাজারে বিক্রী করতে নিয়ে যাচ্ছি।
অপর দিকে হুজুর (দ) এর দুধ মা হযরত হালিমা তিনি ছিলেন মুলত আমার নবীজির আয়া, আজকাল আমাদের বাচ্চাদের যেমন বাচ্চাদের স্কুল থেকে আনার জন্য আয়া রাখা হয়, এই সমাজে এমনতর আয়া এমনতর নাসদের মর্যাদা কতটুকু? আজকাল আমাদের ঘর সমুহে যে সব নারী কাজ করে তারা বতন ধুয়ে দেয় আর আমরা সে বতনে তাদেরকে খেতে দিতে ঘৃনা করি, কিন্তু রাসুলে পাক এদেরকে যে মর্যাদা দিয়েছেন যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল,
আমার নবী এত চমৎকার সম্মান দিয়েছেন যে জনাবে হালিমা মসজিদে নববীর দরজায় কদম রাখলেন হযরত আবু হুরায়রা ফরমান নবী পাক উঠে দাঁড়িয়ে গেলেন, এই রেওয়ায়েত যখন আমি পড়ি তখন আমার ইচ্ছে করি সকল শিক্ষক, সেলিব্রেটি, অফিসার, ওয়াজেজদেরকে জিজ্ঞেস করি তারা যখন কোথাও বসে থাকে তখন যদি সেখানে তাদের ঘরের সে আয়া, ছোট বেলায় যে আয়া কোলে পিঠে করে তাকে মানুষ করেছে সে আয়া যদি আসে কখনো কি তার সম্মানার্থে দাঁড়াবেন? নিজেকে নিজে প্রশ্ন করে দেখুন, এভাবে সম্মান দেখানো খুবই কঠিন কাজ। কিন্তু হুজুর (দ) সে ইজ্জত দিয়েছেন যখন জনাবা হালিমা মসজিদে প্রবেশ করলেন হুজুর উঠে দাড়িলে গেলেন, এবং নিজের গায়ের চাদরখানা বিছিয়ে দিলেন যেন হালিমা সাদিয়া সে চাদরের উপর বসেত পারে। আবু হুরায়রা বলেন যতক্ষন নবী পাক তার সে দুধ মায়ের সামনে বসে ছিলেন ততক্ষণ আত্তাহিয়্যাত এর হালতে বসে ছিলেন। হুজুর (দ) সম্পকটাকে এভাবেই মানুষের সামনে দামি করে উপস্থাপন করেছেন। ঠিক তেমনি মা নামটি শুনলে আমাদের চোখে পানি চলে আসে।
কারন হুজুর (দ) মা বাবার ব্যপারে তেমনই মর্যাদার আসন তৈরী করে দিয়েছেন। এক সাহাবী এসে বলে এয়া রাসুলুল্লাহ (দ) আমি জিহাদে যাব, তখন হুজুর (দ) তাকে প্রশ্নকরলেন ঘরে কি তোমার মা বাবা আছে? সে বলল হ্যাঁ তখন হুজুর (দ) ফরমালেন (কালা ফাফিহি ফাজাহেদ) তাদের খেদমত কর এটাই তোমার জিহাদ। আজ বৃদ্ধ মা বাবা অসুস্থ বিছানায় পরে আছে আর আমরা পীরের দরবারে রাত দিন পরে থাকি। চিল্লায় গিয়ে মাসের পর মাস কাটিয়ে ফেলি। মনে রাখবেন যারা ঘরে বৃদ্ধ বাবা মায়ের খেদমত না করে পীরের দরবারে পরে থাকে যারা চিল্লা করেন তাদের িএমন আমল আল্লাহর দরবারে কবুল হবেনা।
কোন মন্তব্য নেই