কবরবাসীর সাথে কথা বলার নিয়ম কি? কবর তলকিনের নিয়ম
কবরবাসীর সাথে কথা বলার নিয়ম কি?
দুনিয়া একটি জগত বরযখ বা কবর আরেকটি জগত এক জগত থেকে অন্য জগতে কথা বলার
পদ্ধতি শিখিয়েছেন আমাদের ইসলাম, আমাদের নবী, এমন
পাওয়ারফুল নেটওয়াক পৃথিবীর কোন দেশ কোন বিজ্ঞানি তৈরী করতে পারেনি পারবেও না।
হুজুর (দ) তরিকা
বলে দিয়েছেন, আর সে হাদিসের সনদের উপর ইবনে কাইয়্যিম (রাহিমাহুলল্লাহ) তার কিতাব কিতাবুর রুহ এর মধ্যে লিখেছেন যে এই
হাদিসের মধ্যে কোন এতেরাজ নাই।
হুজুর (দ) এরশাদ
করেন- (ইজা মাতা আহাদুকুম ) যখন তোমাদের থেকে কেহ মৃত্যু বরণ করে, দাফনের পর, (ফাল এয়াকুম আহাদুকুম আলা রাছি কবরিহি) তোমাদের মধ্য থেকে একজন
তার কবরের মাথার দিকে দাঁড়িয়ে যাও। তারপর সে কবরওয়ালার নাম ধরে তাকে ডাক দিবে।
শুধু তার নাম নয় বরং সাথে তার মায়ের নামও বলবে। যেমন এক লোকের নাম খালেদ তার মায়ের নাম জয়নাব তখন
বলবে এয়া খালেদ ইবনে জয়নাব।হে জয়নাবের ছেলে খালেদ।
হুজুর ফরমান যখন তুমি তাকে প্রথমবার ডাক দিবে
(এয়াসমাউ ওয়ালা ইউজিবু) সে শুনবে কিন্তু জবাব দিবেনা। দ্বিতীয়বার বল
এয়া খালেদ ইবনে জয়নাব হুজুর ফরমান (এয়াসতাবি জালেসা) এখন সে কবরে উঠে বসে যাবে
। তৃতীয়বার বলবেন (এয়া খালেদ ইবনে যয়নাব) হুজুর ফরমান এবার সে জবাবও
দিবে কিন্তু তার সে জবাব আমরা শুনতে পারবনা। সে কবরবাসী বলে (আরশীদনি রাহিমাকাল্লাহ) আমাকে গাইড কর আল্লাহ তোমার উপর রহম করুক। এখন মুনকার নকির
আসবে অত্যন্ত মুশকিল সময় তুমি আমাকে গাইড কর। দেখুন এভাবেই এক জগত থেকে অপর জগতে
সম্পক স্থাপিত হয়ে যায়। এখন আপনি যা বলবেন কবরে বসে খালেদ/ মৃত মুসলমান লোকটি তাই বলবে।
এখন আপনি কবরওয়ালাকে কি বলবেন তাও সরকার (দ) বলে
দিয়েছেন
(উজকুর মা খারাজতানি মিনাদ্দুনিয়া
শাহাদাতা আন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ওয়া আন্না মুহাম্মাদার রাসুলাল্লাহ (দ)) ) হে খালেদ সে আকিদাকে স্মরণ কর যে আকিদার
উপর থাকতে থাকতে তোমার প্রাণ বের হয়ে গেছে। তুমি বল আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নাই,
মুহাম্মদ (দ) তার রাসুল
(ওয়া রাদিতু বিল্লাহি রাব্বা ওয়া
বিল ইসলামি দিনা ওয়াবি মুহাম্মাদিন নাবিয়্যা)
আরো বল আল্লাহ আমার রব, দিন আমার ইসলাম, আর মুহাম্মদ আমার নবী আমি তাতে খুশি।
দেখুন আপনি দুনিয়ায় দাড়িয়ে আছেন আর সে মৃত
ব্যক্তি কবরের ভিতর বরযখ জগতে সে আপনার মুখে মুখে তা বলতে থাকবে। দেখুন ইসলামের
নেটওয়াক কত মজবুত। এটা আমেরিকার কাছে নাই। এটাই হল দ্বীনে মুস্তফা (দ)।তবে শত হল কবরের বাসিন্দা
মুসলমান হতে হবে যিনি কবর তলকিন করবেন তিনিও মুসলমান হতে হবে।
হুজুর ফরমান সে কবরের মৃতব্যক্তি সেখানে বলতে
থাকে সে
কলমাটি বার বার রিপিট করতে থাকে। আর ঐদিকে মুনকার নকির এসে হাজির হয়ে যায়।
হুজুর ফরমান যখন মুনকার নকির এসে দেখে এই ব্যক্তি প্রশ্ন করার আগেই প্রশ্নের উত্তর
দিয়ে দিচ্ছে। সে ব্যক্তি কন্টিনিউ এই কলমা পড়ছে-
তখন ফেরেশতা আল্লাহকে প্রশ্ন করে এয়া রব এই
লোকের কি করব?
তখন আল্লাহ বলবেন একে আর প্রশ্ন করার দরকার নাই তোমরা তার কবরের
দিকে জান্নাতের দরজা খুলে দাও।
সাহাবীদের প্রশ্ন: হুজুর যখন কবরের তলকিনের এই নিয়ম বললেন তখন
সাহাবীরা প্রশ্ন করলেন এয়া রাসুলুল্লাহ আপনি যে বলেছেন কবর তলকিনের সময় তার মায়ের
নাম নিতে হবে,
এখন যদি মায়ের নাম জানা না থাকে তখন কি করব? দেখুন
সে কাজটা হুজুরের কত বেশী পছন্দনিয় যেন কোন ভাবেই সে তলকিনের কাজ বাদ না যায় তাই
সরকার (দ) বললেন যদি মায়ের নাম না জান,
এখন মায়ের নাম জানতে গিয়ে যদি মুনকার নকির চলে আসে তার পরীক্ষা শুরু
হয়ে যায়, তখন উম্মত মসিবতে পড়বে তাই সরকার বললেন তোমরা যদি
মায়ের নাম না জান তখন তার মায়ের জায়গায় হযরতে হাওয়া (আ)
এর নাম বল। ছোট মায়ের নাম না জানা থাকলে বড় মায়ের নাম নিয়ে হলেও
তলকিন করে দাও।
কবর তলকিনের নিয়ম: যখন লোকজন কবর ছেড়ে ৪০ কদম চলে যাবে, মৃত লোকের কবরের মাথার দিকে
দাঁড়িয়ে একজন লোক কেবলাকে পিছনে রেখে বলবে (হে খালেদ বিন
যয়নাব) অর্থ্যাৎ মৃত ব্যক্তির নাম ও তার মায়ের নাম সহ ডাকবে
যদি মাযের নাম না জানে তাহলে মাযের নামের জায়গা হযরত হাওয়া (আ)
এর নাম বলবে এভাবে ৩ বার ডাক দিবে তারপর বলবে (কুল আশহাদু আন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু
ওয়া রাসুলুহু, রাদিতু বিল্লাহি রাব্বা ওয়াবিল ইসলামি দিনা
ওয়া বি মুহাম্মাদিন নাবিয়্যা)
দেখুন কোটি কোটি আমেরিকা যদি এক হয় ১টি কবরের
সাথে যোগাযোগ করতে পারবেনা, একজন মৃত মানুষের সাথে কথা বলতে পারবেনা,
কিন্তু ইসলাম এত শক্তি শালী যোগাযোগ ব্যবস্তা দিয়েছে যাতে প্রত্যেক
মুমিন প্রত্যেক মুমিনের কবরে দাঁড়িয়েই এই যোগাযোগ করতে পারে। আল্লাহু আকবার কাবিরা
কোন মন্তব্য নেই