ভালবাসার মানুষকে কাছে পাওয়ার দোয়া। পছন্দের মানুষকে বিয়ে করার আমল। Love marriage

 

ভালবাসার মানুষকে কাছে পাওয়ার দোয়া। পছন্দের মানুষকে বিয়ে করার আমল। Love marriage



অনেকে প্রশ্ন করেন পছন্দের মানুষের সাথে বিয়ে করার কোন দোয়া আছে কিনা, মনের মানুষের সাথে বিবাহ হওয়ার কোন আমল কোন ওজিফা আছে কিনা? ইসলামে লাভ ম্যারেজ এর হকুম কি? পছন্দের কথা মা বাবাকে বলা যাবে কিনা?

প্রিয় বন্ধুরা আজকে আপনাদের এসব প্রশ্নের জবাব আমার এই ভিডিও জুড়ে থাকবে, আশা করি এই ভিডিও দেখার পর আপনার প্রশ্নের জবাব পেয়ে যাবেন

মনে রাখবেন যদি আপনি লাভ ম্যারেজ এর সঠিক অথ কি তা বুঝতে পারেন তাহলে আর সমস্যা হবেনা কারন ইসলাম যত বিধান দিয়েছে তা খুবই পুত পবিত্র, যদি এই লাভ ম্যারেজ শব্দটি খারাপ অথে ব্যবহার না হত তাহলে আমরা বলতে পারতাম যে ইসলামে যা আছে তা মুলত লাভ ম্যারেজ কেননা একজন মুসলমান বিবাহ করার জন্য কি দেখে লাভ করবে? আল্লাহর দ্বিন, চরিত্র, নেক আমল, পবিত্রতা, সতিত্ব যদি সে এই সব বিষয়ের প্রতি ভালবাসে তাহলে তা হবে পবিত্র ভালবাসা যাতে বেহায়াপনা, নিলজ্জতা, বেপদেগি, এসব থাকবেনা

সে জন্য সালফে সালিহিন দোয়া করতেন হে আল্লাহ এমন সাথী দাও যে জান্নাত পযন্ত আমার সঙ্গী হবে সলফগন আরো বলেন মানুষ যে র্হাট বানিয়ে তাতে ফুল লাগিয়ে মনের মানুষের কাছে পাঠায় এটা মুমিনের জন্য মানানসই নয় কারন একজন মুমিনের অন্তরে লিখা থাকে আল্লাহ, হাটের ভিতর লিখা থাকে মুহাম্মদ তাই ভুল কাজ করে আল্লাহ রাসুলের শানে বেয়াদবী করা উচিত নয় নিঃসন্দেহে মুমিনের অন্তরে সবচেয়ে বেশী মহব্বত থাকবে আল্লাহ রসুলের

বিয়ে শাদির আগে ছেলে মেয়ের পছন্দের প্রতি খেয়াল রাখার ইশারা আছে কুরআনে, কারন স্বামী স্ত্রীকে একে অপরের পোষাক বলা হয়েছে, আর ছেলে মেয়েরা যখন একটু বড় হয় তখন তারা পোষাক পছন্দ করে নিজের মত করে, তেমনি স্বামী স্ত্রীকে যেহেতু একে অপরের পোষাক বলা হয়েছে সেহেতু বিয়ের ব্যপারে ছেলে মেয়ের পছন্দের প্রতি খেয়াল রাখা মা বাবার কর্ত্যব্য

তবে পছন্দ করার নামে বছরের পর বছর অবৈধ মেলামেশাও ইসলাম সমথন করেনা এটা যেনা যার শাস্তি খুবই কঠিন

আমাদের সমাজে ছেলেরা দেখে পছন্দ করলেও মেয়েদের পছন্দের ব্যপারে মা বাবা জিজ্ঞেস করেনা সে জন্য ছেলে মেয়ে বিয়ের আগে অন্তত একবার একে অপরকে দেখে নেয়া উচিত যেমন এক সাহাবী এসে নবী করিম () কে বলেন এয়া রাসুলুল্লাহ আমি অমুককে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছি হুজুর () ফরমালেন সে মেয়েটিকে কি তুমি দেখেছ? সে জবাব দিল না, হুজুর বললেন দেখে নাও, তুমি তার সাথে জিন্দেগী অতিবাহিত করবে তাই তাকে দেখে নাও, ইসলামে এত টুকু সুযোগ রেখেছে যে ছেলে মেয়ে একত্রে বসবে, একে অপরকে দেখবে, কথাবার্তা বলবে,

আমাদের সমাজে হিন্দুদের থেকে যা প্রচলিত আছে তা হল, জাত পাত দেখতে হবে, তারা যেমন বলেন আমি রাজপুত থেকে বিয়ে করব, আমি আরাই থেকে বিয়ে করব, ইত্যাদি ইত্যাদি

অনেক সময় অভিভাবক সন্তানদেরকে জোড় জবরদস্তি বিয়ে দেয়ার জন্য চেষ্টা করে, সন্তান অবাধ্য হয়ে কোট ম্যারেজ করে বসে, এতে মা বাবার যেমন ভুল আছে তেমনি সন্তানেরও ভুল আছে, তাই বিয়ে শাদির ব্যপারে সন্তানের মতামতের গুরুত্ব যেমন দিতে হবে, তেমনি সন্তানদেরও মা বাবার সম্মান রক্ষাথে কোট ম্যারেজ থেকে বিরত থাকতে হবে মা বাবা যদি জবরদস্তি করে তখন সন্তানদের উচিত তা মেনে নেয়া আর আল্লাহর কাছে দোয়া করা হতে পারে মা বাবা যাকে পছন্দ করেছেন তার মধ্যে আল্লাহ আপনার জন্য কল্যান রেখেছে

অনেকে জানতে চায়- কোন ছেলে কিংবা মেয়ে কি তার মা বাবাকে বলতে পারবে? আমি অমুককে পছন্দ করি

এই প্রশ্নের জবাবে ফোকাহায়ে কেরাম বলেন পছন্দ অপছন্দের সম্পক ইসলামী শরীয়তের সাথে নাই বরং এটা হল রছম রেওয়াজের উপর চলে আমাদের সমাজে এটার রেওয়াজ আছে যে যদি কোন ছেলে বা মেয়ে নিজের পছন্দের কথা বলে তাহলে মা বাবা ছেলে মেয়ের সে পছন্দের মানুষের সাথে বিয়ে দিতে রাজি হয়না, দুনিয়ার বাকী সকলের সাথে বিয়ে শাদি দিতে রাজি হবে কিন্তু যাকে পছন্দের কথা বলেছে তার সাথে বিয়ে দিতে রাজি হবেনাএটাই আমাদের সমাজের কালচার আর পিতা মাতার এমন কঠোর নীতির কারনে সমাজে নানা ধারনে অপরাধা হয়, যেমন খুন, ফাসি, পালিয়ে বিয়ে কোট ম্যারেজ এসব হয়ে থাকে তাই ছেলে মেয়েকে জানতে হবে তাদের পারিবারিক রছম তাদের সমাজের কালচার কেমন তাই সে হিসেবে আদব রক্ষা করতে হবে, এমন কথা বলা থেকে সতকতা অবলম্বন করতে হবে, আর মা বাবাকেও এমন কঠোর নীতি অবলম্বন করা উচিত নয় যাতে হিতে বিপরীত হয়

আর ছেলে মেয়েকেও জানতে হবে বিয়ে হল তকদিরের মামলা যার সাথে আল্লাহ তায়ালা জোড়া ফিক্স করে রেখেছে তার সাথেই হবে তাই এত টেনশন এত মসিবতের পাহাড় দাঁড় করানোর কোন প্রয়োজন নাই

যারা জানতে চান পছন্দ করে বিয়ে করা কি হারাম?

এর জবাবে ফোকাহায়ে কেরাম বলেন পছন্দ করে বিয়ে করা হারাম নয় তবে পছন্দ করার পর আকদ হওয়ার আগে পছন্দের মানুষের সাথে রাতদিন গল্প করা, চেটিং করা, ডেটিং করা, এসব নিষিদ্ধ যদি পছন্দ হয়ে যায় তাহলে পারিবারিকভাবে বিবাহের পয়গাম পাঠাবেন এবং এই ভাবে দোয়া করবেন

হে আল্লাহ যদি তোমার জ্ঞানে এই ছেলে বা এই মেয়ের সাথে আমার বিবাহ নির্ধারিত থাকে তাহলে আমার জন্য এই বিবাহের কাজকে সহজ করে দাও আর এই বন্ধন যদি আমার জন্য অকল্যানকর হয় আমার জন্য ক্ষতির কারন হয় তাহলে একে আমার থেকে দুর করে দাও।

এমন দোয়া করা যাবেনা যে হে আল্লাহ আমি অমুকের সাথে বিয়ে করতে চাই তুমি যে কোন উপায়ে তার সাথে আমার বিবাহের ব্যবস্তা করে দাও

কারন হতে পারে আপনি যাকে বিয়ে করার জন্য দোয়ার মধ্যে আল্লাহকে ফোস করছেন তার বিয়ে আল্লাহ অন্য কারো সাথে নির্ধারণ করে রেখেছেন আর আপনি দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর ফয়সালা পরিবতন করার জন্য বলছেন যা শরীয়তে জায়েজ নাই

অনেকে ছবিতে ফুক দিয়ে মনের মানুষকে কাছে পাওয়া যাবে, মনের মানুষ পাগলের মত ছুটে আসবে এসবই হল ভাওতাবাজি এসব থেকে মুমিনরা বেঁচে থাকবেন তবে বন্ধন ভালো হবে নাকি খারাপ হবে তা জানার জন্যও প্রিয় নবীজি পদ্ধতি বলে দিয়েছেন তা হল এস্তেখারা এস্তেখারা করে যে কেউ আল্লাহর ফয়সালা জানতে পারে আর এস্তেখারায় আল্লাহর ফয়সালা যা তা জেনে তাতে রাজি থাকলেই মামলা সহজ হয়ে যায়

আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে বুঝার আমল করার তৌফিক দান করুন আমিন

 

 

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.