হযরত খিজির (আ) জীবিত নাকি মৃত? হযরত খিজির (আ) কে আমি দেখেছি

 

হযরত খিজির (আ) জীবিত নাকি মৃত? হযরত খিজির (আ) কে আমি দেখেছি

 


بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ 

 তফসিরে মাজহারির লেখক হযরত সালানাউল্লাহ পানিপত্থি (রহ) যখন নিজের শায়খ হযরত মির্জা মুহাম্মদ মাজহার জানেজানান এর নামে তফসির লিখছিলেন তখন তিনি শায়খকে প্রশ্ন করলেন আপনি একজন আল্লাহর অলি আপনি বলুন হযরত খিজির () জীবিত নাকি মৃত? তখণ মির্জা মাজহার মুরাকাবায় বসে গেলেন অনেক্ষন পর তিনি হুসে আসলেন, আমার খিজির () এর সাথে সাক্ষাৎ হয়েছে

আমি তাকে তাঁর মৃত্যুর ব্যপারে প্রশ্ন করলাম তিনি জবাব দিলেন আমি মারা গিয়েছি, তবে আমি মৃত লোকদের থেকে আফযল অর্থ্যাৎ তাঁর মৃত্যু হলেও আল্লাহ তায়ালা তাকে এমন হায়াত দিয়েছেন প্রয়োজনে বিভিন্ন জায়গায় তাকে আল্লাহওয়ালারা দেখতে পান মুফতি জরওয়ালি খান বলেন ধরনের কিছু ঘটনা আমার সাথেও হয়েছে

 

প্রথম যে ঘটনা আমার এক ভাইকে ১টি বিষাক্ত সাপে কামড় দেয় আমরা ভাইকে এক জায়গায় নিয়ে যাচ্ছিলাম যেখানে সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসা করা হয়, আমার মা খুবই কান্নাকাটি করছিলেন আমরা বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলাম অনেকক্ষণপর ১টি বাস আসল বাস থেকে একজন মুসাফির ব্যক্তি নামলেন তিনি আমাদের হালত দেখে আমার মায়ের কান্না শুনে আমার ভাইকে ৩টি ফুক দিলেন সাথে সাথে আমার ভাই সুস্থ হয়ে গেলেন।

 

২য় ঘটনা হল- আমাদের এই মসজিদ নির্মানের সময় আমরা আযানের মিনার তৈরী করছিলাম ডান দিকে আর বামে কুয়া খনন করছিলাম আযানের মিনারের জন্য উত্তম হল মিনার বাম দিকে হবে অর্থ্যাৎ মসজিদের বাম পাশে মুয়াজ্জিন আযান দিবে তখণ একজন বুযুর্গ লোক এসে আমাকে বললেন আমি তোমাকে একটি জায়গা দেখিয়ে দিচ্ছি তুমি এখানে খনন করতে বল এই জায়গা থেকে মিষ্টি পানি বের হবে। আর মসজিদের বামে আজান খানা তৈরী কর, কেননা আজান খানা সব সময় মসজিদের বাম পাশে হয়, ওয়াক্ত আযানের সুন্নত তরিকা হল ইমামের মেহরাবের বাম পাশে দাঁড়িয়ে আযান দিবে। আমি সে বুযুর্গের পরামর্শ মোতাবেক কুয়া খনন করালাম সেখান থেকে খুনই মিষ্টি সুস্বাধু পানি বের হল। সে বুযুর্গকে আমি দেখছিলাম উনার পরামর্শ নিয়ে কুয়া খনন করালাম উনি যখন চলে যেতে লাগলেন আমি ছাত্রদেরকে বললাম বুযুর্গকে ডেকে আন উনাকে চা পান করাতে হবে কিন্তু ছাত্ররা বলতে লাগল হুজুর আমরাতো কাউকে দেখতে পাচ্ছিনা তারা চিন্তা করল আমার উপর কোন জিনের আছর হয়েছে আমার উচিত ছিল সে বুযুর্গকে ডাকার জন্য নিজে দৌঁড়ে যাওয়া কিন্তু ছাত্রদের ভরসা করে আমি সেদিন সে বুযুর্গকে হারিয়ে ফেললাম

 

৩য় ঘটনা আমি যখন ছাত্র ছিলাম তখনকার মাদরাসার পাশে এক গ্রামে আমি মসজিদের ইমামতি করতাম সে এলাকার এক লোক এসে বলে হুজুর আমার বাবা ১৪ বছর যাবৎ বিছানায় অসুস্থ পরে আছে আমার মা খেদমত করতে করতে পাগলপ্রায় ডাক্তার বলেছে আমার বাবা সুস্থ হবেনা এভাবে হয়ত আরো ৫০ বছর বাঁচবে এখন আমরা যদি বাবাকে কোন ইনজেকশন লাগিয়ে মেরে ফেলি তা কি জায়েজ হবে? আমি এমন প্রশ্ন শুনে হয়রান হয়ে গেলামতাকে বললাম আমি মাদ্রাসায় গিয়ে আমার উস্তাদকে জিজ্ঞেস করে জানাব  আমি সে ছেলেটির সাথে কথা বলার সময় মসজিদে একজন  অপরিচিত লোক আসলেন তিনি সামনে অজুখানাতে অজু করতে লাগলেন আর আমার দিকে তাকিয়ে থাকলেন, যখন সে ছেলেটি চলে গেল  সে বুযুর্গ আমার কাছে আসলেন আমাকে জিজ্ঞেস করলেন কি হয়েছে?

 

 এত পেরেশান কেন? আমি সে বুযুর্গকে সব কিছু খুলে বললাম  সে বুযুর্গ বললেন চল আমার সাথে আমি সে ১৪ বছরের রোগীর  কোরআনী চিকিৎসা করব- তবে শর্ত হল আমি যখন তাঁর চিকিৎসা করব  সে ঘরের কেহ কথা বলতে পারবেনা, কেহ কিছু খেতে পারবেনা যে যে অবস্থায় থাকবে সে সে অবস্থায় থাকতে হবে আর কেহ আমার কোন নাম ঠিকানা জিজ্ঞেস করবেনা  তখন আমি বললাম ঠিক আছে, আমি সে বুযুর্গকে নিয়ে সে রোগীর ঘরে গেলাম  ঘরের লোকদেরকে সব খুলে বললাম, সকলে এসব শর্তে রাজি হয়ে গেলেন  এবার বুযুর্গ রোগীর কামরায় ঢুকে তাকে বিভিন্ন কোরআনী দোয়া পড়ে ফুঁক দিলেন এরপর বললেন আপনি এবার আস্তে আস্তে শোয়া থেকে উঠে আসুন আল্লাহর ফযলে ১৪ বছরের বিছানায় পরে থাকা ব্যক্তি শোয়া থেকে উঠে গেলেন উঠে দেওয়াল ধরে ধরে হাটতে শুরু করলেন যখন দেওয়াল শেষ হয়ে গেল বুযুর্গ বললেন আপনি দেওয়াল ছেড়ে দিয়ে নিজে নিজে হাটুন তারপর তাকে বললেন মসজিদের পুকুরে গিয়ে গোসল করে আসতে তিনি মসজিদের পুকুরে গিয়ে গোসল করে আসলেন এরপর বুযুর্গ বিদায় নিয়ে চলে গেলন, কিন্তু আমি যেহেতু উনার সাথে ওয়াদা করেছি তাই উনার কোন নাম ঠিকানা জানতে পারলামনা পরের দিন বিভিন্ন জায়গা থেকে জটিল কঠিন রোগীরা আমার কাছে আসতে আরম্ভ করল কিন্তু আমি তাদেরকে বললাম যে বুযুর্গ চিকিৎসা করে গেছেন তিনি কোন পরিচয় দিয়ে যাননি। আমার মনে হয় তিনি হযরত খিজির। এভাবেই হযরত খিজির নানান সময় নানান রুপে হাজির হন- মুফতি জরওয়ালি বলেন আমার মতে হযরত খিজির জিন্দা যুগে যুগে আল্লাহ ওয়ালা মুত্তাকি পরহেযগারগন হযরত খিজিরের সাক্ষাৎ লাভ করে ধন্য হয়েছেন আমরা যদি পরহেযগারীতা অবলম্বন করতে পারি তাহলে আমাদেরও হয়ত হযরত খিজিরের দিদার নসিব হবে আর রমজানের রোজা ফরয করা হয়েছে আল্লাহ বলেন

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ
হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরয করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের
পূর্ববর্তী লোকদের উপর, যেন তোমরা পরহেযগারী অর্জন করতে পার। [সুরা বাকারা - :১৮৩]

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.