এক বুযুর্গ ও কাঠুরিয়ার আমল- সব দোয়া কবুল হবে, সব আশা পুরণ হবে, প্রিয়নবীজিকে স্বপ্ন দেখা যাবে
এক বুযুর্গ ও কাঠুরিয়ার আমল- সব দোয়া কবুল হবে, সব আশা পুরণ হবে, প্রিয়নবীজিকে স্বপ্ন দেখা যাবে
প্রিয় বন্ধুরা আজ এমন এক
আমলের গল্প বলব
যে আমল করলে প্রতিদিন
প্রিয় নবীকে স্বপ্ন দেখা যায়
আপনারা জানেন যে নবীকে
স্বপ্ন দেখল সে নবীকে বাস্তবে দেখার সমতুল্য। কারন শয়তান নবীজির সুরত ধরতে পারেনা
সব দোয়া কবুল হয়, সব আমল এবাদত কবুল হয়,
শয়তান গুনাহে লিপ্ত করতে পারে না, সবকিছুতে
বরকত লাভ হয়
আমলটি বুঝার জন্য এক
বুযুর্গের ঘটনা শুনতে হবে
ঘটনাটি হল- এক বুযুর্গ এক
এলাকায় ইসলামের দাওয়াত দিতে গেছেন, সেখানে তিনি ৩ দিন দাওয়াতের কাজ করেছেন
দাওয়াতের কাজ করে তিনি সে
এলাকার মসজিদে রাত যাপন করেন
সে মসজিদের পাশেই এক
কাঠুরিয়ার বাড়ী,
কাঠুরিয়া সে বুযুর্গের মেহমানদারী করেন
৩য় দিন সে কাঠুরিয়া সে
বুযুর্গকে
মেহমানদারী করে মাত্র ১টি রুটি খাওয়ালেন
রুটি খাওয়ানোর পর কাঠুরিয়া
বুযুর্গের হাত ধরে বলেন ভাই আগামীকাল আপনি দয়া করে এই এলাকা থেকে চলে যাবেন
বুযুর্গ প্রশ্ন করেন কেন
যাইতে বল? কাঠুরিয়া
বলতে চাচ্ছিলনা, তখন বুযুর্গ বলেন যদি আপনি কারন না বলেন
তাহলে আমি এই এলাকা ছেড়ে
যাবনা, আপনার
মেহমান হিসেবে আমি আরো কিছুদিন থাকব।
তখন কাঠুরিয়া বলতে বাধ্য
হল- সে বলল হুজুর দেখেন প্রথম দিন আমি আপনাকে ৩টি রুটি দিয়ে মেহমানদারী করেছি
২য় দিন ২টি রুটি দিয়ে আর
আজকে ৩য় দিন ১টি রুটি দিয়ে মেহমানদারী করেছি এর কারন কি জানেন?
১ম দিন ৩ রুটি খাওয়ানোর
কারন হল- সারাদিন আমি জঙ্গলে কাঠ কাটি, আর সে কাঠ বিক্রী করে আমি ৩টি রুটির পরিমাণ
আটা কিনতে পারি
আর আমার বাড়ির সদস্যও
মাত্র ৩ জন, ১টি রুটি আমি খাই, ১টি আমার বিবি খায়, ১টি আমার সন্তান খায়।
প্রথম দিন আপনি যখন এই
মসজিদে অবস্থান করছিলেন আপনার মুখ দেখে মনে
হয়েছে আপনি ক্ষুধার্থ,
আমি ঘরে গিয়ে বিবিকে বললাম
আমার ভাগের রুটিটি আমাকে দাও কারন মসজিদে একজন মেহমান আছে তাকে মেহমানদারী করব
তখন আমার স্ত্রী আমার টা
এবং তারটা সহ ২টি রুটি আমার হাতে দিয়ে বলেন শুধু আপনি নেকি কামাই করবেন আমি করবনা?
সে যেমন আপনার মেহমান, আমারও মেহমান, দুজন উপোশ
থাকব তবুও মেহমানদারী করার সুন্নত মিস করবনা
আমাদের কথা শুনে আমাদের
সন্তান তার রুটিটিও আমাকে দিয়ে বলে – আব্বা তোমাদের সাথে আমিও মেহমানদারীতে শরিক
হব
আমার ভাগের রুটিটিও
মেহমানকে দিয়ে দিন
আমিও নেকির ভাগিদার হব।
মেহমানকে ভালো করে খাওয়াও
কারন মেহমান খাওয়াইলে আল্লাহ খুশি হন- হে আল্লাহর ওলি ১ম দিন আমার পরিবারের ৩ জনই
উপোশ থেকে আপনাকে ৩ রুটি
দিয়ে মেহমানদারী করেছি
২য় দিন যখন রাতের বেলায়
আপনাকে মসজিদে দেখলাম তখন ২টি রুটি এনেছি কারন সন্তান ছোট মানুষ তাই না খেয়ে থাকার
শক্তি
তার দেহে নাই, তাই সন্তানের রুটিটি
সন্তানকে খাইয়ে গোপনে আমরা স্বামী স্ত্রীর ২টি রুটি আপনাকে দিয়ে মেহমানদারী করেছি
আজকে ঘরে গিয়ে দেখি আমার
স্ত্রী ২ দিন উপোশ থেকে খুবই দুর্বল হয়ে গেছে, তাই আজকে আমি শুধু নিজের রুটিটি দিয়ে
আপনাকে মেহমানদারী করেছি, আর আমি পেটে পাথর
বেঁধে রেখেছি কারন আমি আজ ৩ দিন যাবৎ উপোশ
আগামীকালও যদি আপনি এই
মহল্লায় থাকেন তাহলে
আমি কিভাবে আপনার মেহমানদারী করব?
আমারও একটি জীবন আছে আর সে
জীবন বাঁচাতেই আমি
আপনাকে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে অনুরোধ করছি।
এবার বুযুর্গ বলেন- হে ভাই
শুন আমি কেন এখানে আরো কয়টা দিন থাকতে চাচ্ছি কারন তোমার বাড়ীর হালাল খাবার এর
বরকত
আমাকে মুগ্ধ করেছে, আমি প্রথম দিন ৩ রুটি খেয়েছি
আর সেদিন সে ৩ রুটির বরকতে আমার রাসুলকে ৩ বার স্ব্প্ন দেখেছি
২য় দিন ২ রুটির বরকতে
নবীজিকে ২ বার স্বপ্ন দেখেছি
রাসুলুল্লাহকে স্বপ্ন
দেখার লোভে আমি তোমার এলাকা ছাড়তে চাইনা
আজকেও রয়ে গেছি যাতে তোমার
হালাল খাদ্য থেকে যদি আজকেও একটু জুটে যায় তার বরকতে আমার নবীকে
যদি একবার হলেও স্বপ্নে
দেখা যায় – সে লোভে আমি এ এলাকায় রয়ে
গেছি তোমার হালাল খাদ্যের বরকত অর্জন করার জন্য।
হালাল ও পাক খাবারের কত
বরকত চিন্তা করুন- যদি পাক ও হালাল খাবার খেয়ে কেহ ঘুমিয়েও যায় সে ঘুমও বরকতময় হয়
ইমাম আজম আবু হানিফা (রহ)
নিজের ছাত্র আবু ইউসুফের বাড়ীতে গিয়ে হালাল খাবার খেয়েছেন আর রাতের খাবার খেয়ে
তিনি সে রাতেই ১০০০
মাসায়ালার সমাধান বের করেছেন
তাই হালাল খাবার এর যে
বরকত আছে তা থেকে যদি মুসলমানরা বঞ্চিত হয় তাহলেই বিজাতিরা মুসলমানদেরকে ধ্বংস
করতে পারবে
তাই বিজাতিরা চাই
মুসলমানদের শরীরে হারাম ঢুকে যাক
তবে প্রত্যেক মুসলমানদের
শপথ হওয়া দরকার
সে কোন ধরনের হারাম খাবার গ্রহণ করবেনা।
কারন হালাল খাবারই
মুসলমানের ঈমানী রুহানি শক্তি বৃদ্ধি করে আমল কবুল হয়, আমলে মজা লাগে, এবাদতে মজা লাগে
হালাল গ্রহণকারীকে শয়তান
সহজে গোমরাহ করতে পারেনা,
হালাল গ্রহণকারীকে শয়তান সহজে গুনাহে লিপ্ত করতে পারেনা।
কোন মন্তব্য নেই