সুরা আলামনাশরাহ এর ফজিলত ও আমল। ঋণ, দুঃখ, কষ্ট, বিপদ, দুশ্চিন্তা, অভাব দূর করার ওজিফা। বরকতের আমল


 সুরা আলামনাশরাহ এর ফজিলত ও আমল। ঋণ, দুঃখ, কষ্ট, বিপদ, দুশ্চিন্তা, অভাব দূর করার ওজিফা। বরকতের আমল



প্রিয় বন্ধুরা আজকে পবিত্র কুরআনের ছোট সুরা আলাম নাশরাহ এর কয়েকটি জবরদস্ত ওজিফা শেয়ার করব যে ওজিফা দিয়ে মানুষের প্রতিদিনের অসংখ্য

সমস্যা সমাধান হবে যেমন  যাদের মনের কঠিন দুঃখ, ড্রিপ্রেশন সমস্যাশয়তানি ওয়াসওয়াসা, ঋণের সমস্যা, সন্তানের বিগড়ে যাওয়ার সমস্যা,

বিপদ আপদের সমস্যা, আর্থিক সমস্যা, বেতন ও দোকানের বিক্রীতে বরকতের সমস্যা  দুর করার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী ও পরীক্ষিত এই আমলগুলি।

বিশেষ করে বেতনের টাকা হাতে পেয়ে তাতে এ সুরা পড়ে ফুক দিলে
 কি আযব ফায়দা হয় তা নিজে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন

কোন সমস্যার জন্য কতবার পড়বেন, কয়দিন পড়বেন,
কোন সময় পড়বেন বিস্তারিত জানার জন্য

শেষ পর্যন্ত অবশ্যেই মনযোগ দিয়ে শুনার অনুরোধ রইল এবং
সবশেষে এই সুরা স্বপ্নে দেখলে কি ফায়দা তাও আলোচনা করব

সুরা আলামনাশরাহ লাকার অসংখ্য উপকারিতা আছে

এ সুরার একটি ফায়দা হল যদি কারো মনে শয়তানি কুমন্ত্রনা বেশী আসে, সব সময় গুনাহের খেয়াল আসে

তার উচিত প্রত্যেক নামাজের পর ৭ বার
সুরাটি পড়ে নিজ বুকে ফুক দেয়া

যে কোন ধরনের কুমন্ত্রণা ইনশাআল্লাহ দুর হয়ে যাবে

যদি কেহ মনে দুঃখ পায় যেমন কারো বিবাহ ভেঙ্গে গেছে এখন সে এর ফলে যে দুঃখ পেয়েছে তা দুর হচ্ছেনা

অথবা কারো তালাক হয়ে গেছে বলে মনের দুঃখ যাচ্ছেনা  অথবা কারো কোন আপনজন মৃত্যুবরণ করেছে বলে

মনের দুঃখ কমছে না, এমন ধরনের লোকদের জন্য

ওজিফা হল প্রত্যেক নামাজের পর সুরা আলামনাশরাহলাকা ৭ বার পড়তে হবে

এবং রাতে ঘুমানের আগে ৭১ বার পড়বে এবং আগে পরে ১১ বার সুরা ফাতেহা পাঠ করবে

পড়ার শেষে নিজের বুকে ফুক দিবেন এবং দোয়া করবেন ৭ দিন পর্যন্ত এই আমলটি করলে

যত বড় দুঃখ কষ্টই হউকনা কেন
তা ইনশা আল্লাহ দুর হয়ে যাবে।

এটা অনেক বড় ওজিফা, কেননা অন্তরের উপরে মানুষের হাত নাই তাই মানুষ অন্তরে কোন ব্যাথা পেলে

সহ্য করতে পারেনাসে জন্য অনেক মানুষ ডিপ্রেশনে চলে যায়, তাদের জন্য এটা অনেক বড় সমাধান

আর যদি এই আমল অন্য কারো জন্য করতে চান তাহলে এই একই আমল করে পানিতে ফুক দিয়ে সে পানি

মানসিক বিপর্যস্ত লোকটিকে পান করালেই কাজ হবে।

এই সুরার ৩য় ফায়দা হল- যদি কেহ ঋণগ্রস্থ হয়ে যায় তার জন্য এর মধ্যে অনেক বড় তাছির আছে

৪১ বার ফজরের পর পড়বেআগে পরে ১১ বার দরুদ শরীফ পড়বে, এভাবে ৭ দিন আমলটি করতে হবে।

ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তাকে মালদার করে দিবেন, শুধু ঋণই পরিশোধ হবেনা বরং মালদার হয়ে যাবে।

আর যদি ৭ দিনের পর এই আমল সদা সর্বদা জারি রাখে তাহলে সে কখনো গরিব হবেনা।

এ সুরাটির মধ্যে আরো ১টি ফায়দা হল- অনেক সময় ঘরে নানা ধরনের মসিবত আসে, একটার পর একটা বিপদ

হতে থাকে, মানুষ বুঝতে পারেনা কি করবে তারা

৩৬০ বার এক বসাতেই খতম করবে, আগে পড়ে ১১ বার দরুদ শরীফ পড়বে, একজনও করতে পারে কিংবা

কয়েকজন মিলেও ৩৬০ বার খতম করতে পারে, খতমের পর পানিতে ফুক দিয়ে সে পানি যাকে চান তাকে পান করাতে পারবেন

আর বাকী পানি ঘরের দেওয়ালে ছিটিয়ে দিবেন ইনশা আল্লাহ ঘর এবং ঘরের বাসিন্দারা সব ধরনের বিপদ

মসিবত থেকে নিরাপত্তা লাভ করবে।

এই সুরার আরো ১টি ফায়দা হল- অনেক সময় সন্তান বিগড়ে যায়, অনেক সময় মানুষ দ্বীন ধর্ম থেকে

দুরে সরে যায়, স্ত্রী স্বামীর জন্য চিন্তা করে কারন সে নামাজ পড়েনা, স্বামী স্ত্রীর জন্য চিন্তা করে কারন স্ত্রী নামাজ পড়েনা

এই যুগের বেশীরভাগ যুবক যুবতী বেদ্বীনির দিকে ঝুকে যাচ্ছেএমন ধরনের লোকদের জন্য এই ওজিফাতে

অনেক বড় ধরনের তাছির আছেওজিফাটি পড়ার নিয়ম হল ফজরের পর সুরা কাহাফ ১বার পড়তে হবে,

এরপর সুরা আলামনাশরাহলাকা ১০১ বার পড়তে হবে

তারপর দোয়া করতে হবে সে নাফরমানের জন্য

এবং পানিতে ফুক দিয়ে তাকে পান করাতে হবে

এভাবে ৭ দিন পর্যন্ত করলে যে কোন ধরনের দ্বীনী অলসতা যদি তার মধ্যে থাকে তা দুর হয়ে যাবে

সে ইনশা আল্লাহ দ্বীনের উপর মজবুত হয়ে যাবে, নামাজ কালাম ও ফরমাবরদার বান্দায় পরিণত হবে

এ সুরাটিতে মাল সম্পদে বরকতের জবরদস্ত তাছির আছেযেমন আপনার ব্যবসার মাল বা

আপনি যা ইনকাম করেছেন সে ইনকামের উপর মাত্র ৩ বার পাঠ করে ফুক দিবেন তাহলে আপনার সে

মাল সম্পদ টাকা পয়সায় এত বেশী
বরকত হবে আপনি হয়রান হয়ে যাবেন।

বেতন হাতে পেয়ে ৩ বার সুরাটি পড়ে তাতে ৩বার ফুক দিন তারপর খরচ করুন দেখবেন সে বেতনে কেমন

বরকত হয়আর দোকানদার তার মালামালে ফুক দিলে সে মাল বিক্রীর মধ্যে বরকত হবে

আর এই সুরাটি স্বপ্ন দেখলে এর তাবির হল আল্লাহ তায়ালা তার আর্থিক সংকট দুর করে দিবেন

দ্বিতীয়ত যারা কর্জের মধ্যে ডুবে আছেন তারা যদি এই সুরাটি স্বপ্ন দেখে তাহলে তার জন্য সুসংবাদ হল

আল্লাহ তায়ালা তাকে কর্জ থেকে মুক্তি দান করবেন

এক অর্থ এটাও যে আল্লাহ তায়ালা তাকে গরীব মিসকিনদেরকে খাবার খাওয়ানোর তৌফিক দান করবেন

মোট কথা এই ছোট সুরাটি প্রতিদিনের মানুষের সকল সমস্যা সমাধান করার অনেক বড় ওজিফা

আল্লাহ তায়ালা বান্দার ওজিফা আমল এর বরকতে অনেক সমস্যা সমাধান করেন তবে

শর্ত হল একনিষ্ঠতার সাথে করতে হবে, হালাল রিজিক খেতে হবে, হারাম থেকে বাঁচতে হবে,

কবিরা গুনাহ থেকে বাঁচতে হবে তারপর কায়মনোবাক্যে ওজিফা করুন ইনশা আল্লাহ ফলাফল হাতে পাতে পাবেন 

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.