অজুর সময় গোপন আমলটি ১ বার করুন। ধনী হওয়ার আমল।
এত বরকত হবে ধন সম্পদ রাখার জায়গা হবেনা। বরকতের দোয়া।অযু সময় আমি আপনাদেরকে ১টি
ছোট দোয়া শিখিয়ে দিচ্ছিদোয়াটি যদি আপনারা
করতে পারেনতাহলে মহান আল্লাহ
তায়ালা আপনাকে এত বেশী ধন সম্পদ দান করবেন আপনার রাখার জায়গা হবেনাহাদীসটিতে এভাবে বলা হয়েছে যে ধন সম্পদ রাখার
জায়গা পর্যন্ত হবেনা আমি
অনুরোধ করছি পরীক্ষিত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই ভিডিওটি শেষ পর্যন্ত মনযোগ দিয়ে
অবশ্যই দেখবেন মনে রাখবেন- কোন কোন এবাদতের জন্য পবিত্রতা অপরিহার্য, নারী পুরুষ উভয়কেই পবিত্র হওয়ার জন্য অজু করতে হয় পবিত্রতার
ফজিলত সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন ]
وَثِيَابَكَفَطَهِّر
আপন পোশাক পবিত্র করুন [সুরা মুদ্দাসসির - ৭৪:৪
যারা
পবিত্রতা অর্জন করেন আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসার কথা বলেছেনযেমন পবিত্র কুরআনের সুরা বাকারার ২২২ নং আয়াতে এরশাদ হয়েছে إِنَّاللّهَيُحِبُّالتَّوَّابِينَوَيُحِبُّالْمُتَطَهِّرِينَ
নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং
অধিক পবিত্রতা অর্জনকারীদেরকে পছন্দ করেন। [সুরা বাকারা - ২:২২২]
অজুর
মাধ্যমে পাপ সমুহ ঝড়ে যায় এবং আল্লাহ তায়ালা মর্যাদা বৃদ্ধি করেন, যেমন হাদীস শরীফে এরশাদ হয়েছে নবী করিম (দ) এরশাদ করেন যখন
কোন মুমিন বান্দা অজু করে তখন মুখ ধৌত করার সময় পানির সঙ্গে অথবা শেষ বিন্দুর
সঙ্গে তার ওইসব গুনাহ বের হয়ে যায়, যার
দিকে তার দুইচোখের দৃষ্টি পড়েছিল যখন দুই হাত ধৌত করে তখন পানির সঙ্গে ওইসব গুনাহ
ঝড়ে যায় যা সে দুইহাত দিয়ে সম্পাদন করেছিল।
আবার
যখন দুইপা ধৌত করে তখন পানির সঙ্গে সে সব গুনাহ ঝড়ে যায় যে গুনার দিকে তার দুই পা
অগ্রসর হয়েছিল ফলে অযু শেষে সে লোক সমুদয় গুনাহ থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত হয়ে যায়।
(মুসলিম) অযুর আগে ও পরে কিছু দোয়া রয়েছে সে দোয়াসমুহ আমাদেরকে অবশ্যই করতে হবে- এ
দোয়াগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ যেমন
ইবনে মাজা শরীফের ৩৯৭ নং হাদিস – নবী করিম (দ) এরশাদ করেন- যে ব্যক্তি অযু করার আগে দোয়া
বলেনা সে ব্যক্তির অযু হয়না, একটি কথা প্রচলন আছে
অযু হল নামাজের চাবি এখন যদি অযুই না হয় তাহলে নামাজ কিভাবে হবে?
তাই
অযুর দোয়াগুলি আমল করা সকলের জন্য খুবই জরুরী আমি এবার অযুর আগে পরের সে দোয়া গুলি
বাংলা উচ্চারণ সহ একটি একটি করে উপস্থাপন করব অযুর আগে বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম পড়বেন (তিরমিজি)
অথবা
শুধুমাত্র বিসমিল্লাহ বললেও হবে ( তিরমিজি ২৫) হাদিস শরিফে আছে যে, অজু শেষে কালেমায়ে শাহাদাত পড়বে। এটা পড়লে জান্নাতের যে
দরজা দিয়ে ইচ্ছে, সেটা দিয়ে সে প্রবেশ
করতে পারবে।
তাহলে
অযুর শুরুতে বিসমিল্লাহ আর অযুর শেষে একবার কলমা শাহাদাত পাঠ করবেন আবার অযুর মাঝে
মাঝে ১টি দোয়া পড়বেন যে দোয়াটি করলে যাদের বাড়ী ঘর নাই তাদের বাড়ী ঘর হবে, আয় রোজগার ও রিজিকে বরকত হবে, গুনাহসমুহ মাফ হয়ে যাবে
এবার
বলব সে দোয়াটি যে দোয়াটি পড়লে আল্লাহ তায়ালা আপনাকে এত পরিমাণ ধন সম্পদ দান করবেন
আপনি তা রাখার জায়গা পাবেন না হযরত ইবনে ওমর (রা) বর্ণনা করেন, এক ব্যক্তি হুজুর (দ) এর নিকট এসে আরজ করেন এয়া রাসুলাল্লাহ
(দ) দুনিয়া আমাকে পরিত্যাগ করেছে, এবং আমি অভাবগ্রস্থ
এবং অক্ষম হয়ে পড়েছি, আমার পরিত্রানের কোন
উপায় আছেকি?
তদুত্তরে
হুযুর (দ) বললেন যে তসবিহের বদৌলতে প্রত্যেক ফেরেশতা ও মানবজাতি স্বস্ব
রিজিকপ্রাপ্ত হয় তাকি তুমি জাননা? সে ব্যক্তি আরজ করল
সে দোয়াটি কি এয়া রাসুলাল্লাহ (দ)? তখন রাসুল (দ) তাকে
এই দোয়াটি শিখিয়ে দিয়েছেন দোয়াটি হচ্ছে- সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল
আজিম ওয়া বিহামদিহি আসতাগফিরুল্লাহ
অর্থঃ
মহাপবিত্র আল্লাহ এবং সকল প্রশংসা তার জন্য;
মহাপবিত্র
আল্লাহ, যিনি সমুচ্চ, মহান; এবং সকল প্রশংসা তার
জন্য, আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই।
আবার
খাসায়েসে কুবরার ২য় খন্ডের ২৯৯ পৃষ্ঠায় আছে এ দোয়াটি সুবহে সাদেক যখন উদিত হয় তখন
যে ব্যক্তি ১০০ বার পাঠ করবে তার নিকট দুনিয়া অপমানিত হয়ে আসবে অর্থ্যাৎ সে অল্প সময়ে স্বচ্ছলতা লাভ করবে যেমন সে দরিদ্র সাহাবী এই
আমল করে স্বচ্ছলতা লাভ করে কিছুদিন পর নবী করিম (দ) এর কাছে এসে বলেন এয়া
রাসুলাল্লাহ
দুনিয়া
আমার নিকট এত বেশী আসছে আমি কোথায় উঠাব কোথায় রাখব বুঝতে পারছিনা।
সুতরাং
সুবেহ সাদিকের সময় ১০০ বার এই দোয়াটি পড়বেন তার সাথে সাথে সকাল সন্ধ্যা ১টি আয়াত ৩
বার পাঠ করবেন
وَمَنيَتَّقِاللَّهَيَجْعَللَّهُمَخْرَجًا
আর যে
আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্যে
নিস্কৃতির পথ করে দেবেন। [সুরা তালাক - ৬৫:২]
কোন মন্তব্য নেই