৩ রাতের ভিতর বড় বড় সমস্যা সমাধানের আমল। সব আশা পুরণ হবে। দুঃখ বিপদ অভাব দূর হবে।

 ৩ রাতের ভিতর বড় বড় সমস্যা সমাধানের আমল।

সব আশা পুরণ হবে। দুঃখ বিপদ অভাব দূর হবে।

=====================================

আজকে আমি ৪ রাকাত এমন নামাজের নিয়ম বলব

যে নিয়মটি শাহ ওলিউল্লাহ মুহাদ্দেস দেহলভি (রহ)

যিনি এই উপমহাদেশে হাদিস শাস্ত্রের বিজ বপন করেছেন

এত বড় মাপের একজন মুহাদ্দিস

তিনি এই নামাজের নিয়মটি উনার কিতাবের মধ্যে লিখেছেন

সাথে সাথে তিনি দ্যর্থহীন কন্ঠে ঘোষনা করেছেন

যদি কেহ এই আমলটি বা এই নামাজটি পড়ার পর

তার মনে সামান্যটুকুও সন্দেহ থাকে

আমলটি করার পর, আমার যে কাজের জন্য আমলটি করেছি

যে সমস্যার সমাধানের জন্য যে হাজত পুরণের জন্য

আমলটি করেছি সেটি পুরণ হবেনা- এমন সন্দেহ করলে

তার ঈমান থাকবেনা, সে মুসলমানও থাকবেনা

এত কঠোরভাবে তিনি কথা বলেছেন

সুতরাং কত শক্তিশালি পাওয়ারফুল সে আমল

আসুন সে নামাজের নিয়মটা জেনে নিই

প্রথমে নিয়ত করবেন আমি ৪ রাকাত হাজতের নামাজ পড়ছি

এরপর ছানা- সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়াবিহামদিকা ওয়াতাবার আকাসমুকা ওয়াতায়ালা জাদ্দুকা ওয়ালাইলাহা গাইরুক

এরপর আউজুবিল্লাহ-বিসমিল্লাহ পড়ে

১ম রাকাতে সুরা ফাতেহার পর ১০০ বার পড়বেন

রাব্বি আন্নি মাসসানিয়াদ দুররু
ওয়া আনতা আরহামুর রাহিমিনি

রাব্বি আন্নি মাসসানিয়াদ দুররু
ওয়া আনতা আরহামুর রাহিমিনি

১০০ বার পড়বেন-এরপর রুকু সিজদা করবেন

২য় রাকাতে সুরা ফাতেহার পর ১০০ বার পড়বেন

ওয়া উফাব্বিদু আমরি ইলাল্লাহ ইন্নাল্লাহা বাসিরুম বিলইবাদ

এরপর রুকু সিজাদ করে আত্তাহিয়্যা পড়ে

৩য় রাকাতে সুরা ফাতেহার পর ১০০ বার পড়বেন

রাব্বি আন্নি মাসসানিয়াদ দুররু
ওয়া আনতা আরহামুর রাহিমিনি

৪থ রাকাতে সুরা ফাতেহার পর ১০০ বার পড়বেন

হাসবুনাল্লাহু ওয়া নেমাল ওয়াকিল
নেমাল মাওলা ওয়া নেমান নাসির

এভাবে ৪ রাকাত শেষ করে সালাম ফিরাবেন

সালামের পর সিজদায় গিয়ে ৩ বার দরুদ শরীফ পড়বেন

১০০ বার পড়বেন রাব্বি আন্নি মাগলুবুন ফানতাসির
তারপর আবার ৩ বার দরুদ শরীফ পাঠ করবেন

দরুদ শরীফ পড়ে আপনি যে উদ্দেশ্যে যে প্রয়োজনে আপনি

এই নামাজ পড়েছেন সে বিষয়ে আল্লাহর
 কাছে নিজের ভাষায় দোয়া করবেন

ইনশা আল্লাহ আপনার সে সমস্যা পাহাড়ের সমান হলেও

৩ রাতের ভিতর তা সমাধান হয়ে যাবে

শাহ ওয়ালিউল্লাহ কোন ছোটখাট মুহাদ্দিস নন

যার মাধ্যমে এই উপমহাদেশে এলমে হাদিসের

নেয়ামত আমরা লাভ করেছি

তিনি এই নামাজের এত উপকারের কারন হিসেবে বলেন

আইযুব (আ) যে দোয়া করেছেন সে দোয়া করার পর

আল্লাহ তায়ালা বলেছেন তোমার দোয়া কবুল হয়েছে

তার দোয়াটি ছিল- রাব্বি আন্নি মাসসানিয়াদ দুররু
ওয়া আনতা আরহামুর রাহিমিনি

এ দোয়াটি এই নামাজের মধ্যে সংযুক্ত করা হয়েছে

উহুদের যুদ্ধে সাহাবারা দোয়া করেছিলেন

হাসবুনাল্লাহু ওয়া নেমাল ওয়াকিল- আল্লাহ তায়ালা

এই দোয়ার বকরতে তাদের দোয়া কবুল করেছিলেন

নুহ (আ) এর দোয়া- রাব্বি আন্নি মাগলুবুন ফানতাসির

তখন আল্লাহ তার সে দোয়ার বরকতে দোয়া কবুল করেন

সুতরাং এই কোরআনী দোয়া এমন যার পর দোয়া কবুল

কথা এই কুরআনেই বিদ্যমান আছে

সুতরাং এই নামাজের পর যতবড় বিপদ আপদ

মসিবত সমস্যা হউকনা কেন সমাধান হয়ে যাবে

এ নামাজ তাহাজ্জুদের সময় পড়া বেশী উত্তম