খোদার কসম ১০০০% সব ক্ষতি, দুঃখ, কষ্ট, দুশ্চিন্তা, রোগ, শোক, আযাব গযব, বিপদ থেকে বাঁচার দোয়া।
খোদার কসম ১০০০% সব ক্ষতি, দুঃখ, কষ্ট, দুশ্চিন্তা, রোগ, শোক, আযাব গযব, বিপদ থেকে বাঁচার দোয়া।
আজকে হাদীস শরীফের রেফান্সে সহ ১১টি দোয়া তুলে ধরব যে দোয়া গুলি সব ধরনের অনিষ্ট থেকে , দু:খ থেকে, বিপদ থেকে, রোগ থেকে, সমস্যা থেকে, ক্ষতি থেকে, দুশ্চিন্তা থেকে, শত্রুর অনিষ্ট থেকে বাঁচার জন্য- মোটামোটি যত ধরনের ক্ষতি আছে সব ধরনের ক্ষতি থেকে বাঁচার পাওয়ারফুল ১০০% কার্যকরী ও পরীক্ষিত ১১টি দোয়া।
আল্লাহর রাসুল (দ) এর শিখানো
এই ১১টি দোয়া প্রত্যেকের জেনে রাখা উচিত
১) নং দোয়াটি হল তিরমিজি শরীফের ৩৩৮৮ নং হাদীসের দোয়া- সকাল ও সন্ধ্যায় ৩ বার দোয়াটি পড়লে
সে হঠাৎ করে কোন বিপদে পতিত হওয়া থেকে আল্লাহর রহমতে রক্ষা পাবে। কোন কিছু তার কোন ক্ষতি করতে পারবেনা
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الأَرْضِ وَلاَ فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ“বিসমিল্লা-হিল্লাজী লা ইয়াযুররু মা’আসমিহি শাইয়ুন ফিল আরযি, ওয়ালা ফিস সামায়ি ওয়া হুয়াস সামীউল আলীম”।
২ নং দোয়া আবু দাউদের ৩৮৯৮ নং হাদিসের বর্ণনা আল্লাহর রাসুল (দ) থেকে বর্ণিত এই দোয়াটি যদি কেহ পড়ে
দুনিয়ার কোন কিছুই তার কোন ক্ষতি করতে পারবেনা,
أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ
আউজুবি কালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন শাররি মা খালাক
আমি পরিপূর্ণ কালামের দ্বারা যাবতীয় দুষ্টের অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাইছি
৩ নং দোয়া প্রত্যেক মানুষের উচিত নিয়মিত পাঠ করা,
যদি কোন দুঃখ আসে বিপদ আসে রোগ শোক আসে
তখন সুনানে ইবনে মাজার ৩৮৮২ নং হাদিসের দোয়াটি পড়বেন
" اللَّهُ اللَّهُ رَبِّي لاَ أُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا “
আল্লাহু আল্লাহু রাব্বি লা উশরিকু বিহি শাইয়্যা
আল্লাহ আমার প্রতিপালক আমি তাঁর সাথে কোন কিছুকে শরীক করিনা
৪র্থ দোয়া যা রাসুলুল্লাহ (দ) বিপদে পড়তেন জামে তিরমিজির
৩৫২৪ নং হাদিসের বর্ননা " يَا حَىُّ يَا قَيُّومُ بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغِيثُ "
এয়া হইয়্যু এয়া কাইয়্যুম বিরাহমাতিকা আসতাগিসু
হে চিরজীব, হে চিরস্থায়ী, আমি তোমার রহমতের উসিলায় সাহায্য প্রার্থনা করি
৫ম দোয়া যা আল্লাহ তায়ালা কোরআনে এরশাদ করেছেন যে দোয়াটি হযরত ইউনুস (আ) ৩টি অন্ধকারে পড়েছেন
রাতের আঁধার, সমুদ্রের তলদেশের অন্ধকার, মাছের পেটের অন্ধকার- সুরা আম্বিয়ার ৮৭ নং আয়াত
লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জোয়ালিমিন দোয়াটি পড়ার পর আল্লাহ তায়ালা
ইউনুস (আ) কে ৩টি অন্ধকার এর মসিবত থেকে মুক্তি দান করেন। আমরাও যদি যে কোন কঠিন বিপদে এই দোয়া পড়ি তাহলে আল্লাহ আমাদেরকে মুক্তি দান করবেন।
হাদীসের ভাষ্য- যে মসিবতের জন্য মানুষ এই দোয়া পাঠ করবে আল্লাহ সে মসিবত দুর করে দিবেন।
৬নং দোয়া সুনানে আবু দাউদের ৫০৯০ নং হাদিসের দোয়া যেটি সকালে ও সন্ধ্যায় ৩ বার করে পড়তে হবে
اللَّهُمَّ عَافِنِي فِي بَدَنِي، اللَّهُمَّ عَافِنِي فِي سَمْعِي، اللَّهُمَّ عَافِنِي فِي بَصَرِي، لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ،
আল্লাহুম্মা আফিনি ফি বাদানি, আল্লাহুম্মা আফিনি ফি সামঈ,
আল্লাহুম্মা আফিনি ফি বাছারি, লা ইলাহা ইল্লা আনতা
’’হে আল্লাহ! আমার দেহ সুস্থ রাখুন। হে আল্লাহ! আমাকে সুস্থ রাখুন আমার শ্রবণ ইন্দ্রিয়ে। হে আল্লাহ! আমাকে সুস্থ রাখুন আমার দৃষ্টিশক্তিতে। আপনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই।’’
৭নং দোয়া তিরমিজি শরীফের ১৪৮২ নং হাদিস
নবী করিম (দ) এই দোয়াটি পড়তেন-
«اَللهم إنِّي أعُوذُ بِكَ مِنْ مُنْكَرَاتِ الأخْلاَقِ، وَالأعْمَالِ، والأهْواءِ» আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন মুনকারাতিল আখলাকি, ওয়াল আমালি ওয়াল আহওয়াঈ
অর্থাৎ হে আল্লাহ! অবশ্যই আমি তোমার নিকট দুশ্চরিত্র,
অসৎ কর্ম ও কু-প্রবৃত্তি থেকে আশ্রয় চাচ্ছি।
৮ নং দোয়া- আবু দাউদের ১৫৫৪ নং হাদিসের বণনা
" اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْبَرَصِ وَالْجُنُونِ وَالْجُذَامِ وَمِنْ سَيِّئِ الأَسْقَامِ " .
আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল বারাছি, ওয়াল জুনুনি ওয়াল জুজাম ওয়া মিন সায়্যিঈল আছকাম
অর্থ্যাৎ ইয়া আল্লাহ! আমি শ্বেত (কুষ্ঠ) রোগ হতে, পাগ্লামী হতে, খুজ্লী-পাঁচড়া হতে এবং ঘৃণ্য রোগ হতে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
৯ম দোয়া মুসলিম শরীফের ৬৮৩৭ নং হাদিসের বর্ণনা রাসুলুল্লাহ (দ) এর দোয়া সমুহের মধ্যে একটি দোয়া ছিল
" اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ زَوَالِ نِعْمَتِكَ وَتَحَوُّلِ
عَافِيَتِكَ وَفُجَاءَةِ نِقْمَتِكَ وَجَمِيعِ سَخَطِكَ "
আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন জাওয়ালি নিমাতিক ওয়া তাহাউলি
আফিয়াতিক ওয়া ফুজাআতি নিকমাতিক ওয়া জামিঈ ছাখাতিক
অর্থাৎ- "হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাই নি’আমাত দূর
হয়ে যাওয়া হতে, তোমার দেয়া সুস্থতা পরিবর্তন হয়ে যাওয়া থেকে,
তোমার অকস্মাৎ শাস্তি আসা হতে এবং তোমার সকল প্রকার অসন্তুষ্টি থেকে"
১০ম দোয়া রাসুলুল্লাহ (দ) যারা অধিক চিন্তাগ্রস্থ হয়ে যান তাদেরকে একটি দোয়া পড়ার শিক্ষা দিয়েছেন
মিশকাত শরীফের ২৪৫২ নং হাদিসের বর্ণনা
اللَّهُمَّ إِنِّي عَبْدُكَ وَابْنُ عَبْدِكَ وَابْنُ أَمَتِكَ وَفِي قَبْضَتِكَ نَاصِيَتِي بِيَدِكَ مَاضٍ فِيَّ حُكْمُكَ عَدْلٌ فِيَّ قَضَاؤُكَ أَسْأَلُكَ بِكُلِّ اسْمٍ هُوَ لَكَ سَمَّيْتَ بِهِ نَفْسَكَ أَوْ أَنْزَلْتَهُ فِي كِتَابِكَ أَوْ عَلَّمْتَهُ أَحَدًا مِنْ خَلْقِكَ أَوْ أَلْهَمْتَ عِبَادَكَ أَوِ اسْتَأْثَرْتَ بِهِ فِي مَكْنُونِ الْغَيْبِ عِنْدَكَ أَنْ تَجْعَلَ الْقُرْآنَ رَبِيعَ قلبِي وجِلاء هَمِّي وغَمِّي
অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমি তোমার বান্দা, তোমার বান্দার পুত্র, তোমার দাসীর পুত্র। আমি তোমার হাতের মুঠে, আমার অদৃষ্ট তোমার হাতে। তোমার হুকুম আমার ওপর কার্যকর, তোমার আদেশ আমার পক্ষে ন্যায়। আমি তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি তোমার সেসব নামের ওয়াসীলায় যাতে তুমি নিজেকে অভিহিত করেছো, অথবা তুমি তোমার কিতাবে নাযিল করেছো অথবা তুমি তোমার সৃষ্টির কাউকেও তা শিক্ষা দিয়েছো, অথবা তুমি তোমার বান্দাদের ওপর ইলহাম করেছো (অদৃশ্য অবস্থায় থেকে অন্তরে কথা বসিয়ে দেয়া) অথবা তুমি গায়বের পর্দায় তা তোমার কাছে অদৃশ্য রেখেছো- তুমি কুরআনকে আমার অন্তরের বসন্তকাল স্বরূপ চিন্তা-ফিকির দূর করার উপায় স্বরূপ গঠন করো।)। যে বান্দা যখনই তা পড়বে আল্লাহ তার চিন্তা-ভাবনা দূর করে দেবেন এবং তার পরিবর্তে মনে নিশ্চিন্ততা (প্রশান্তি) দান করবেন।
১১ নং দোয়া – নবী করিম (দ) শিক্ষা দিয়েছেন যখন কোন রোগী বা বিপদগ্রস্থকে দেখবে তখন এই দোয়াটি পড়বে
তাহলে তুমি আর সে বিপদে সে রোগে পতিত হবেনা সুনানে তিরমিজির ৩৪৩১ নং হাদিসের বর্ণনা الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي عَافَانِي مِمَّا ابْتَلاَكَ بِهِ وَفَضَّلَنِي عَلَى كَثِيرٍ مِمَّنْ خَلَقَ تَفْضِيلاً
সব তারিফ আল্লাহর, যিনি আমাকে মুক্ত রেখেছেন সেই বিপদ থেকে, যে বিপদে তোমাকে তিনি নিপতিত করেছেন এবং তিনি তার বহু সৃষ্টির উপর মর্যাদা দিয়েছেন আমাকে।
আল্লাহ আমাদেরকে সব ধরনের বিপদ রোগ ক্ষতি দুঃখ দুশ্চিন্তা আযাব গজবে এই দোয়া সমুহের আমল করার তৌফিক দান করুন এবং এই দোয়ার বরকতে সব ধরনের অনিষ্ট থেকে হেফাজত করুন আমিন
কোন মন্তব্য নেই