আল্লাহর পছন্দের ৫টি আমল। আল্লাহকে খুশি করার উপায়। আল্লাহ রাজি নাকি নারাজ কিভাবে বুঝবেন?

 আল্লাহর পছন্দের ৫টি আমল। আল্লাহকে খুশি করার উপায়। আল্লাহ রাজি নাকি নারাজ কিভাবে বুঝবেন?



প্রিয় বন্ধুরা আজকে জানতে পারবেন আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় ৫টি আমল কি কি? কিভাবে বুঝতে পারবেন আল্লাহ আপনার উপর খুশি এবং কিভাবে বুঝতে পারবেন আল্লাহ তায়ালা আপনার উপর নারাজ বিস্তারিত জানার জন্য শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকার অনুরোধ রইল
হাদীস শরীফে ৫টি আমল পাওয়া যায় যা আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বেশী প্রিয় যেমন


১) মুসলিম শরীফের ১৭১৩ নং হাদিস
আয়িশাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এ মর্মে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে, আল্লাহ তাআলার কাছে কোন ধরনের আমল সবচাইতে বেশী প্রিয়। জবাবে তিনি বলেছিলেনঃ
" أَدْوَمُهُ وَإِنْ قَلَّ " .
কম হলেও যে আমল স্থায়ী বা নিয়মিত করা হয় সে আমল আল্লাহর কাছে খুব প্রিয়


২) সুনানে তিরমিজির ২৯৪৮ নং হাদিস
ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ এক ব্যাক্তি প্রশ্ন করল, হে আল্লাহর রাসুল! কোন কাজ আল্লাহর কাছে বেশী পছন্দনীয়? তিনি বলেনঃ (আল হাল্লু আল মুরতাহিলু)
সাহাবী জিজ্ঞেস করে এটা আবার কি?
নবীজি বললেনঃ যে ব্যক্তি কুরআন শেষ করেই আবার প্রথম হতে পাঠ করা শুরু করে দেয়।


৩) বুখারী ৫৫৩৭ হাদিস
আবদুল্লাহ (ইবনু মাসঊদ) (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলাম,
أَىُّ الْعَمَلِ أَحَبُّ إِلَى اللَّهِ قَالَ " الصَّلاَةُ عَلَى وَقْتِهَا "‏‏. قَالَ ثُمَّ أَىُّ قَالَ " ثُمَّ بِرُّ الْوَالِدَيْنِ "‏‏. قَالَ ثُمَّ أَىّ قَالَ " الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ "‏‏
আল্লাহর নিকট কোন্ কাজ সব থেকে অধিক পছন্দনীয়? তিনি বললেনঃ সময় মত সালাত আদায় করা। (আবদুল্লাহ) জিজ্ঞেস করলেনঃ তারপর কোনটি? তিনি বললেনঃ পিতা-মাতার সঙ্গে উত্তম ব্যবহার করা। আবদুল্লাহ জিজ্ঞেস করলেনঃ তারপর কোনটি? তিনি বললেনঃ আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা।

আল্লাহ রাজি কিনা কিভাবে বুঝবেন?
সাহাবায়ে কেরাম ও আউলিয়া কেরামগনকে আল্লাহ তায়ালা সাটিফিকেট দিয়েছেন যে আল্লাহ তাদের উপর রাজি যেমন আল্লাহ বলেন (রাদি আল্লাহু আনহুম ওয়া রাদু আন) (আলা ইন্না আউলিয়া আল্লাহে লা খাউফুন আলাইহিম ওয়ালাহুম এয়াখজানুন)
কিন্তু কেয়ামত পযন্ত উম্মতে মুহাম্মদী নামাজ পড়ে রোজা রাখে তেলাওয়াত করে আল্লাহকে রাজি এত মেহনত করার পরও কিভাবে বুঝতে পারবেন যে আল্লাহ আপনার উপর রাজি?
হযরত আনাস (রা) একদিন প্রশ্ন করেন এয়া রাসুলাল্লাহ আমরা কিভাবে বুঝতে পারব আল্লাহ রাজি নাকি নারাজ? হুজুর (দ) এরশাদ করেন যারা মা বাবা তার উপর রাজি আল্লাহও তার উপর রাজি।

আল্লাহ নারাজ কিনা কিভাবে বুঝবেন?
১) যার মা বাবা তার উপর নারাজ আল্লাহও তার উপর নারাজ।
২) যদি কেহ গুনাহে ডুবে থাকে, তওবার সৌভাগ্য নসিব না হয় বুঝে নিবেন আল্লাহ তার উপর নারাজ
৩) যদি কারো কাছ থেকে সিজদার তৌফিক ছিনিয়ে নেন তাহলে বুঝে নিন আল্লাহ তার উপর নারাজ
#
আমরা সাধারণত দুনিয়ার পেরেশানিকে আল্লাহর নারাজির দলিল মনে করি, আর দুনিয়ার সুখ শান্তিকে আল্লাহর রাজি হওয়ার দলিল মনে করি


ওমর (রা) নবীকে দেখে কান্না
একদিন ওমর (রা) নবীজির ঘরে গেলেন তখন নবীজি চাটাইতে শুয়ে ছিলেন শরীরে চাটাই এর দাগ লেগে ছিল ওমর (রা) কেদে দিয়ে বলেন এয়া রাসুলাল্লাহ কিসরা কাইসার বেদ্বিন খোদার দুষমন যারা তারা অট্টালিকাতে আরামের বিছানায় আরাম করেন আর আপনি আল্লাহর হাবিব হয়ে এমন বিছানায় ঘুমান শরীরের চাটাই এর নিশানা প্রকাশ পাচ্ছে, তখন নবীজি বলেন হে ওমর কান্না করিও না মনে রাখবে তাদের জন্য দুনিয়া আর আমাদের জন্য আখেরাত।


তাই দুনিয়ার সুখ ধন দৌলত পেলে মনে করবেন না আপনার উপর আল্লাহ খুশি দুঃখ কষ্টে থাকা সত্বেও যদি আপনি আল্লাহর শোকর আদায় করতে পারেন, দুঃখ কষ্ট সত্বেও যদি আপনি আল্লাহর এবাদত করতে পারেন, মা বাবার খেদমত করতে পারেন তাহলে বুঝে নিবেন আল্লাহ আপনার উপর রাজি আপনার উপর খুশি।

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.