সুরা মুজাম্মিল এর পরীক্ষিত ওজিফা- যে ওজিফার উপকারিতা হল
সুরা মুজাম্মিল এর
পরীক্ষিত ওজিফা- যে ওজিফার উপকারিতা হল
যে ঘরের লোকেরা ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত সকল
ঝগড়া বিবাদের সমাধান হবে, ভাই ভাই অমিল, বউ
শাশুড়ির ঝগড়া, স্বামী স্ত্রীর মনোমালিন্য দূর হবে। ওজিফাটি
করে ইন্টারভিও দিতে যান চাকরী হবে। ওজিফাটি করে অফিসের বসের কাছে কোন আবেদন নিয়ে
গেলে আবেদন কবুল হবে। বিচারকের সামনে গেলে বিচারক সদয় হবে। অসুস্থ রোগীর জন্য আছে
সুরা মুজাম্মিলের ওজিফায় শেফা, যারা রুজি রোজগারে বরকত চান,
রিজিকে বরকত চান, আর্থিক সংকট দুর করতে চান
তাদের জন্যও আছে এই ওজিফায় দারুন সুসংবাদ আসুন ওজিফা কিভাবে করতে হবে বিস্তারিত
জেনে নিই
যদি স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা না হয়, অথবা এমন দুজন লোক যাদের
মধ্যে সন্ধি হওয়া জরুরী, দুইজন মুমিন ভাই যদি একে অপরের
প্রতি নারাজ তাদেরমধ্যে মিল করার জন্য, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে
মহব্বত বৃদ্ধির জন্য সুরা মুজাম্মিল ২১ বার পড়ে কোন মিষ্টি জাতিয় বস্তু বাযে কোন
খাবারে দম করে সে দুজনকে খাওয়াতে হবে আল্লাহ তায়ালা দুজনের মনোমালিন্য দুর
করেদুজনের মধ্যে মিল মহব্বত সৃষ্টি করে দিবেন।
যে ঘরের লোকেরা সব সময় একে অপরের সাথে
ঝগড়া বিবাদে
লিপ্ত সে ঘরের ঝগড়া দুর করার জন্যও ২১ বার সুরাটি পড়ে খাবারসমুহের মধ্যে দম করে সে
খাবার ঘরের সকলকে খাওয়ালে ঘরের ঝগড়া বিবাদ হিংসা প্রতিহিংসা ইনশা আল্লাহ দুর হয়ে
যাবে ২০ আয়াতের সুরাটি ২১ বার পড়তে তেমন সময় লাগবেনা ভাই ভাই লড়াই, ভাই বোন লড়াই, বউ শাশুড়ি লড়াই, স্বামী স্ত্রী লড়াই চিরতরে খতম হয়ে যাবে।
এর ২য় ফায়দা হল- যদি আপনি কোন অফিসে
চাকরি করেন, কিংবা কোন বিচারতের সম্মুখিন হতে হয়, যদি
আপনি ভয় করেন যে আপনার অফিসের বস আপনার উপর নাখোশ হবেন, কিংবা
বিচারক আপনার প্রতি কোন অণ্যায় ফয়সালা করবেন তখন সে সুরা মুজাম্মিলের ১ম রুকু অর্থ্যাৎ
প্রথম ১৯ আয়াত ২১ বার এবং শেষ রুকু অর্থ্যাৎ শেষ আয়াতটি ১১ বার পড়তে হবে তারপর
নিজের শরীরের উপর দম করে অফিসে কিংবা বিচারকের সামনে যাবেন ইনশা আল্লাহ আপনি
ধারনাতিত সম্মান লাভ করবেন আপনার বস আপনাকে ফিরিয়ে দিবেন না, আপনি যে আরজি নিয়ে বসের কাছে যাবেন বস আপনার সে আরজি গ্রহণ করবেন বিশেষ
করে যখন চাকরীর ইন্টারভিও হয় মানুষ চাকরীর জন্য ইন্টারভিও দিতে যায় তারাও এই
সুরাটি এভাবে আমল করবেন প্রথম ১৯ আয়াত ২১ বার আর শেষ আয়াত ১১ বার পড়ে নিজের শরীরে
ফুক দিয়ে ইন্টারভিওতে এটেন্ড করবেন।
ইনশা আল্লাহ ইন্টারভিউ সহজ হবে এবং সফলতা
আসবে।
এই সুরার ওজিফার ৩য় ফায়দা হল- যদি কেহ
অসুস্থ হয় তার সুস্থতার জন্য এই সুরা ১১ বার পড়ে পানিতে দম করে সে পানি রোগীকে পান
করাতে হবে ইনশা আল্লাহ সে রোগীর সহজে আরোগ্য নসিব হবে। এই সুরার আরো ১টি ফায়দা হল – যে ঘরের লোকেরা প্রতিদিন
১১ বার সুরা মুজাম্মিল তেলাওয়াত করবে তাহলে ঘরে অফুরন্ত বরকত হবে সব ধরনের বিপদ
মসিবত দুর হয়ে যাবে।
মুফতি মুনির আকনকে প্রশ্ন করা হল সুরা
মুজাম্মিল পড়ে পানিতে দম করে সে পানি পান করাতে হবে এবং যার সাথে ঝগড়া তাকে যদি
পানি পান করানো সম্ভব না হয় তখন কি করব? মুফতি সাহেব জবাব দেন সে ক্ষেত্রে উক্ত
ব্যক্তির ছবি যদি মোবাইলে থাকে সুরাটি পড়ে সে ব্যক্তির ছবিতে ফুক দিলেও ইনশাআল্লাহ ফল পাবেন এ সুরাটি
স্বপ্ন দেখলে এর তাবির হল যে ব্যক্তি তাহাজ্জুদ গুজার ছিল এখন তাহাজ্জুদ নামাজে
অবহেলা করছেন সে যদি এই সুরাটি স্বপ্ন দেখে তার অর্থ সে যেন তাহাজ্জুদে অবহেলা না
করে, পাবন্দির সাথে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে তাহলে এই তাহাজ্জুদের
বদৌলতে তার জীবন বরকতময় হবে এর আরো ১টি ব্যাখ্যা হল তার উপর সাময়িক বিপদ মসিবত
আসবে আর্থিক সংকট সাময়িক অভাব অনটন নেমে আসবে কিন্তু সে যদি নিয়মিত সুরা মুজাম্মিল
পাঠ করে তাহলেআল্লাহ তায়ালা তার সকল বিপদ দুর করে দিবেন
এটাই হল সুরা মুজাম্মিল ওজিফার ফায়দা ও
এর স্বপ্ন দেখার তাবির
কোন মন্তব্য নেই