দুই সিজদার মাঝের দোয়া, ৭০০০০ প্রয়োজণ পূরণ হবে

 

দুই সিজদার মাঝের দোয়া, ৭০০০০ প্রয়োজণ পূরণ হবে



হাদীস শরীফে আছে দুই সিজদার মাঝে ৭ শব্দের ১টি দোয়া পড়বেন, এ দোয়ার এত বেশী ফজিলত আপনি চিন্তাও করতে পারবেন না রিজিক বৃদ্ধি, গুনাহ মাফ, সার্বিক নিরাপত্তা, পদবী ও সম্মান বৃদ্ধির জন্য এ দোয়াটি শিখে রাখুন মুল দোয়াটি বুঝার জন্য শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ ভিডিওটি মনযোগ দিয়ে দেখবেন তাহলে প্রিয় নবীর জবান থেকে বের হওয়া দোয়াটির মর্মার্থ যথাযথ অনুধাবন করতে পারবেন এবং আমি গেরান্টি দিয়ে বলতে পারি এ দোয়ার ৭টি শব্দের বরকতে আপনার দুনিয়া আখেরাতের ৭০০০০ প্রয়োজন পূরণ হবে, 

আবু দাউদ শরীফের ৮৭৪ নং হাদিস হযরত হুযায়ফা (রা) সুত্রে বর্ণিত। একদা রাতে তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে নামাজ আদায় করতে দেখলেন। এ সময় তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তিনবার আল্লাহু আকবারবলার পর যুল-মালাকূতি ওয়াল জাবারূতি ওয়াল কিবরিয়াই ওয়াল আযমাতিপাঠ করেন।

অতঃপর তিনি সূরাহ্ বাক্বারাহ তিলাওয়াত শুরু করেন এবং তাঁর রুকূছিলো ক্বিয়ামের সমপরিমাণ সময়। তিনি রুকূতে সুবহানা রব্বিয়াল আযীম, সুবহানা রব্বিয়াল আযীমপাঠ করেন। অতঃপর রুকূহতে মাথা উঠিয়ে প্রায় রুকূর সমপরিমাণ সময় দাঁড়িয়ে থাকেন এবং এ সময় ’’লি-রব্বিয়াল হামদ’’ পাঠ করেন।

অতঃপর তিনি সিজদায় গিয়ে তাতে ক্বিয়ামের অনুরূপ সময় অবস্থান করেন এবং এ সময় সুবহানা রব্বিয়াল আলাপাঠ করেন। অতঃপর সিজদা্ হতে মাথা উঠিয়ে দুসাজদার মাঝে সিজদায় অবস্থানের সমপরিমাণ সময় বসে থাকেন  এবং এখানে তিনি রব্বিগফিরলীপাঠ করেন। এরূপে তিনি চার রাকআত সালাত আদায় করেন  এবং এ সালাতে সূরাহ আল-বাক্বারাহ, সূরাহ আলে-ইমরান, সূরাহ নিসা এবং সূরাহ মায়িদাহ্ অথবা সূরাহ আনআম তিলাওয়াত করেন।

তাহলে সুরা বাকারা পড়তে যতক্ষণ সময় লাগে তিনি ততক্ষণ সিজদায় ছিলেন এবং দুই সিজদার মাঝেও ঠিক ততক্ষণ পর্যন্ত পাঠ করেছেন (রাব্বিগ ফিরলি) হে রব আমাকে ক্ষমা করে দিন। এবার চিন্তা করে দেখুন প্রিয় নবীর রুকু সিজদা কতটা লম্বা ছিল কিন্তু আফসুসের বিষয় আমাদের অনেকের রুকু সিজদা হয় সে রকম যেমন কাক ঠোকর মারে আর এ ধরনের সিজদাকারীদের ব্যপারে নবী করিম (দ) বলেন এসব হল মুনাফিকের নামাজ তারা সে ভাবে সিজদা করে যেভাবে কাক দ্রুত তাদের ঠোকর মারে- সুতরাং এমন দ্রুত নামাজ মুমিনের নামাজ হতে পারেনা বরং মুনাফিকের নামাজ এখন ২য় আরো ১টি হাদীস শুনলে বিষয়টি আরো স্পষ্ট হয়ে যাবে

আল্লাহর রাসুল (দ) এর ফরমান- যে লোক অজু করে তারপর ২ রাকাত নামাজ পড়ে, এরপর বলে (রাব্বিগফিরলি) (রাব্বিগফিরলি) আল্লাহ তায়ালা ২ বার যখন এই শব্দটি বান্দার মুখে শুনেন তাকে ২টি পুরস্কার দিয়ে দেন

১ম পুরস্কার- আল্লাহ তার ফেরেশতাদেরকে বলেন (হে ফেরেশতারা তোমরা দেখ, আজ আমার এই বান্দার পূর্ণ একিন হয়ে গেছে  তার একজন রব আছে যিনি মাফ করেন) (হে আমার ফেরেশতারা তোমরা সাক্ষি থাক এবং একবার এই বান্দাকে দেখে রাখ এ হল আমার বান্দা) এরপর আল্লাহ বান্দাকে লক্ষ্য করে বলেন ( হে আমার বান্দা এমাল মা শি তা ফাকাদ গুফিরালাক) অর্থ্যাৎ তুমি আজ পর্যন্ত যত গুনাহ করেছ- আমি এইসব ফেরেশতাদেরকে সাক্ষি রেখে বলছি তোমার সব গুনাহ মাফ করে দিলাম।

তাহলে অজুর পর নামাজে দু সিজদার মাঝে অধিক বার না হলেও অন্তত ২ বার পাঠ করব রাব্বিগফিরলি একবার চিন্তা করুন এই ১টি শব্দের দ্বারা আমাদের রব যদি খুশি হয়ে আমাদের জীবনের সমস্ত গুনাহের অন্ধকার দুর করে দেন তাহলে আপনার ও আমার চেয়ে বড় খোশনসিব কে হতে পারে?

কিন্তু আফসুস আজ আমরা এই দোয়া পড়িনা, দ্রুত মাথা তুলে আবার জমিনে মেরে দিই।

আর ২য় হাদীস যা সুনানে আবু দাউদ এর ৮৫০ নং হাদিস ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন,
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম   দুসাজদার মাঝে এ দুআ পড়তেনঃ ’’আল্লাহুম্মাগফির লী, ওয়ারহামনী, ওয়া আফিনী, ওয়াহদিনী, ওয়ারযুক্বনী’’ হে আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করুন, আমর প্রতি দয়া করুন, আমাকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করুন, আমকে সৎপথ প্রদর্শন করুন এবং আমাকে রিযক দান করুন।

সুনানে তিরমিজির ২৮৪ নং হাদিসে আছে আল্লাহুম্মাগফিরলী ওয়ারহামনী ওয়াজবুরনী ওয়াহদিনী ওয়ারযুকনী।
অন্য বননায় ওয়ারাফানি ১টি শব্দ বেশী আছে নবীজি ইন্তেকালের পূর্বেও এই দোয়াটি এভাবে পড়েছেন যেমন বুখারীর ৫২৭২ নং হাদিসে আছে
য়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে আমার পায়ের উপর হেলান দেওয়া অবস্থায় বলতে শুনেছি

  "‏ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَارْحَمْنِي وَأَلْحِقْنِي بِالرَّفِيقِ الأَعْلَى "‏‏.

হে আল্লাহ! তুমি আমাকে ক্ষমা কর, রহম কর এবং আমাকে (ঊর্ধ্ব জগতের) বন্ধুর সাথে মিলিত কর।

আপনি যখন দু সিজদার মাঝে বলবেন- (রাব্বিগফিরলি) হে আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করে দিন তাহলে ক্ষমা পাবেন যখন বলবেন হে আল্লাহ (ওয়ারহামনি) আমাকে রহম করুন তাহলে আল্লাহর রহমত পেয়ে যাবেন তারপর যখন বলবেন হে আল্লাহ (ওয়াজবুরনি) আমাকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করুন তাহলে আপনি ক্ষতি থেকেও বেঁচে যাবেন তারপর যখন বলবেন হে আল্লাহ (ওয়া আফিনি) আমাকে সব ধরনের নিরাপত্তা দান করুন তাহলে আপনি দুনিয়া আখেরাতের সকল ধরনের নিরাপত্তা লাভ করবেন তারপর বললেন ওয়াহদিনি হে আল্লাহ আমাকে হেদায়েত দান করুন, তাহলে আল্লাহ আপনাকে সঠিক পথের সন্ধ্যান দান করবেন এবং যখন বললেন ওয়ারজুকনি হে আল্লাহ আমাকে রিজিক দান করুন তাহলে আপনার রিজিকের সমস্যাও আল্লাহ দুর করে দিবেন।

তারপর বলবেন (ওয়ারফানি) হে আল্লাহ আমার পদ পদবী মর্যাদাকে বাড়িয়ে দিন, তাহলে আল্লাহ তায়ালা আপনার মর্যাদা বাড়িয়ে দিবেন ৩টি হাদীস থেকে মোট ৭টি শব্দের দোয়া পাওয়া যায় (আল্লাহুম্মাগফিরফি, আল্লাহুম্মাগফিরলি, ওয়ারহামনি, ওয়া আফিনি, ওয়াহদিনি, ওয়ারজুকনি, ওয়াজবুরনি, ওয়ারফানি)

একবার চিন্তা করে দেখুন এমন কোন বিষয় বাকী নাই যা বান্দার প্রয়োজন আছে, সব কিছুই এই ৭টি শব্দের মধ্যে অন্তভূক্ত, ক্ষমার দোয়া, রহমতের দোয়া, হেদায়েতের দোয়া, রিজিকের দোয়া, নিরাপত্তার দোয়া, ক্ষতি থেকে বাঁচার দোয়া, মর্যাদা বৃদ্ধির দোয়া যদি ২ সিজদার মাঝে এই ৭টি দোয়া কবুল হয়ে যায় তাহলে সে বান্দার চেয়ে বড় সৌভাগ্যবান আর কে হতে পারে?

তাহলে মুল কথা হল দুই সিজদার মাছে প্রথমে ২ বার বলবেন (রব্বিগফিরলি)(রাব্বগফিরলি) তারপর বলবেন (ওয়ারহামনি, ওয়া আফিনি, ওয়াহদিনি, ওয়ারজুকনি, ওয়াজবুরনি, ওয়ারফানি)

কোন কোন হাদীসে এই ৭টি শব্দ আগে পিছেও আছে ভালো লাগলে ১টি লাইক অবশ্যই দিবেন আর কমেন্টে আপনি কোন দেশ থেকে আমাদের ভিডিও দেখছেন লিখে জানাবেন আর এই অতি মূল্যবান দোয়াটি আপনজনদের কাছে শেয়ার করে দিবেন ফলে তারা আমলে করলে আপনিও নেকি পাবেন

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.