৩টি আয়াত ফরয নামাজের পর পড়লে যা চাইবেন তাই পাবেন।


 ৩টি আয়াত ফরয নামাজের পর পড়লে যা চাইবেন তাই পাবেন।

প্রিয় বন্ধুরা কিয়ামত পর্যন্ত এই ৩ আয়াতের ফজিলতকে যে কোন আলেম যে কোন শাইখ যদি বয়ান করতে থাকে কিয়ামত পর্যন্ত এই ৩টি আয়াতের ফজিলত বরকত বয়ান করে শেষ করতে পারবেনা। পবিত্র কুরআনে করিমে ১১৪টি সুরা আছে, তার মধ্যে যতগুলি আয়াতে মোবারক আছে, এবং যতগুলি হরফ আছে, প্রতিটি সুরা প্রতিটি আয়াত এবং প্রতিটি হরফ এর মর্যাদা আকাশচুম্বি। তবে আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত কিছু কিছু সুরা ও কিছু কিছু আয়াতে অবাককরা ফজিলত বরকত ও শান রেখেছেন। যেমন সুরা এয়াসিন, সুরা ওয়াকিয়া, সুরা মুজাম্মিল, সুরা মুলক, শেষ চার কুল, সুরা ফাতেহা ইত্যাদি। 

তেমনিভাবে কোরআনে মজিদ ফোরকানে হামিদের মধ্যে কিছু কিছু আয়াত এমন আছে, যেগুলির আলাদা মর্যাদা আছে, আলাদা বরকত আছে, যেমন আয়াতুল কুরসি, সুরা বাকারার শেষ ২ আয়াত, সুরা বাকারার ৩২ নং আয়াত, তেমনি ভাবে সুরা তওবার আখেরী আয়াত (লাকাদ জায়াকুম রাসুলুম মিন আনফুসিকুম———শেষ পর্যন্ত), তেমনি ভাবে সুরা আহযাবের আয়াতে মোবারক (ইন্নাল্লাহা ওয়ামালাইকাতাহু ইউসাল্লুনা আলান্নাবিয়্যি এয়া আইয়্যুহাল্লাজিনা আমানু ছাল্লু আলাইহি ওয়াসাল্লিমু তাসলিমা), তেমনি ভাবে সুরা হাশরের শেষ ৩ আয়াত, এ ধরনের অসংখ্য আয়াত আছে যে সব আয়াতকে আল্লাহ তায়ালা বিশেষ বরকত দান করেছেন। 

আজ আমি যে ৩টি আয়াত সম্পর্কে বলব সে আয়াতসমুহের মধ্যে আল্লাহ তায়ালা যে ফজিলত, যে মুজেজাত, যে কারিশমা, যে কামালিয়ত এই ৩ আয়াতে মোবারকের মধ্যে রেখেছেন, প্রিয় বন্ধুরা কিয়ামত পর্যন্ত এই ৩ আয়াতের ফজিলতকে যে কোন আলেম যে কোন শাইখ যদি বয়ান করতে থাকে কিয়ামত পর্যন্ত এই ৩টি আয়াতের ফজিলত বরকত বয়ান করে শেষ করতে পারবেনা। এক দিকে ৭ জমিন ৭ আসমানের নুর যদি হয় আর অণ্যদিকে এই ৩টি আয়াত যদি হয় তাহলে এই ৩ আয়াতকে ছুঁতেও পারবেনা। আল্লাহ এত বেশী ফয়েজ ও বরকত এই ৩ আয়াতের মধ্যে গোপন রেখেছেন। যদি সে বরকত আল্লাহ তায়ালা আমাদের জন্য প্রকাশ করে দেন তাহলে আমরা যেদিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করব যে চিন্তাই আমরা করব যা আমরা চাইব তাই আমরা পাব। ইজ্জত চাইলে আল্লাহ ইজ্জত দিবেন। 

তবে ৩টি আয়াত শুধুমাত্র মুখে উচ্চারণ করার দ্বারা হবেনা বরং এই ৩টি আয়াত আমাদের জীবনে প্রতিফলিত হতে হবে। ধীরে ধীরে এ আয়াত আমাদের রুহের ভিতর ধারন করতে হবে, কেননা আল্লাহর কালাম হল নুর। সে জন্য এই সম্পর্ক শরীরের সাথে নয় বরং এর সম্পর্ক রুহের সাথে। আল্লাহর রাসুল (দ) এরশাদ করেন আমি তোমাদের কাছে ২টি জিনিষ রেখে যাচ্ছি যদি এই ২টি জিনিষ তোমরা আঁকড়ে ধর, তাহলে কখনো গোমরাহ হবেনা। আর সে ২টি জিনিষ হল কোরআন ও সুন্নত। কিন্তু আমাদের দুভ্যর্াগ্য আমরা সে ২টি জিনিষই ছেড়ে দিয়েছি। 

সে জন্য আমরা কোরআন এর সে ফয়েজ ও বরকত থেকে সম্পূর্ণ রুপে বঞ্চিত।  অথচ এই কোরআন এমন শক্তিশালি যদি একে পাহাড়ের উপর অবতির্ণ করা হত পাহাড় চুর্নবিচুর্ন হয়ে যেত। 

যেমন হযরত আবদুল হক মুহাদ্দেস দেহলভি (রহ) এর যুগে হিন্দুস্থানে একটি ফিতনা শুরু হয়, তখন একদল ফিতনাবাজ আওয়াজ তুলল যে মুসলমান তোমাদের ধর্মও মিথ্যা এবং মসজিদও মিথ্যা (নাউজুবিল্লাহ) তাদের যুক্তি হল, যদি ইসলাম ধর্ম সত্য হত তাহলে তোমাদের মসজিদ কেন সংরক্ষণ হয়না, বছর বছর এই মসজিদকে কেন সংস্কার করতে হয়? পক্ষান্তরে আমাদের হিন্দুদের মন্দির হাজার হাজার বছর পুরানা কখনো এর সংস্কার এর প্রয়োজন হয়না।  যদি তোমাদের ধর্ম সত্য হত তোমাদের মসজিদ সত্য হত যে মসজিদকে তোমরা আল্লাহর ঘর বল সে ঘরকে তোমাদের আল্লাহ কেন হেফাজত করেন না? এটাই ছিল হিন্দুদের দলিল আর তাদের সে দলিলও সঠিক। এখনো আপনি বাংলাদেশ ভারত পাকিস্তানে হাজার বছর পুরানো মন্দির এর খোঁজ পাবেন। কিন্তু এত পুরাতন মসজিদ পাওয়া খুবই দুস্কর। যদিও অনেক পুরাতন মসজিদ থাকেও তা বারবার সংস্কার করা হয়েছে। অথবা পুরাতন নকশার উপর নাই বরং নতুন করে পুনরায় তৈরী করতে হয়েছে। আর প্রতি বছরই ছোটখাট কাজ করাতে হয়। হিন্দুদের এই সব কথাবার্তার ফিতনা যখন শুরু হল তখন মুসলমানদের কাছে এর কোন জবাব ছিলনা। এখন যারা দুর্বল ঈমানদার তারা হিন্দুদের এই ফিতনার মধ্যে ধোকা খেয়ে যাচ্ছিল, গোমরাহ হয়ে যাচ্ছিল। সে সময় একদিন শায়খ আবদুল হক মুহাদ্দিস দেহলভি (রহ) জুমার নামাজ পড়ানোর পর মসজিদ থেকে বাহিরে বের হচ্ছিল, তখণ একজন মুসলমান শায়খ এর কাছে এই ফিতনার ব্যপারে খরব দিলেন, আপনি এর একটি যথাযথ জবাব দিন, তখন তিনি বললেন শুধু মুখে জবাব দিলে এই ফিতনা খতম হবেনা বরং এ ফিতনা খতম করার জন্য কোরআন ও ইসলামের সত্যতার প্রমাণ মানুষকে দেখাতে হবে। আর আমাদের মসজিদসমুহ ৩০/৪০ বছরের বেশী টিকে না, আমাদের মসজিদ বেশী দিন না টিকার কারন হল আমাদের মসজিদে দিন দিন মুসল্লি বাড়তে থাকে যখন মুসল্লি বৃদ্ধি পায় তখনই আমরা সেটাকে শহিদ করে বড় করি। তাই আমরা তাদেরকে এত পুরাতন মসজিদ দেখাতে পারবনা। তাই শুধু মুখে জবাব দিলে হবেনা বরং তাদেরকে কিছু দেখাতে হবে। তাদের এই যুক্তির বিরুদ্ধে কিছু এমন করে দেখাতে হবে যাতে তাদের দাঁতভাঙ্গা জবাব হয় এবং এই ফিতনা সমুলে ধ্বংস হয়। তাই যারা এই সব কথা এই সব ফিতনা ছড়াচ্ছে তাদেরকে আমার কাছে নিয়ে আস, আমি তাদেরকে এমন কিছু দেখাব যাতে তারা আর সে কথা সে ফিতনা ছড়াতে সাহস পাবেনা। কথামত একদিনক্ষণ ঠিক করে যারা এই ফিতনা ছড়াচ্ছিল তারা এক জায়গায় জমা হল এবং শায়খ আবদুল হক মুহাদ্দিস দেহলভি (রহ) ও সেখানে উপস্থিত হলেন। তিনি ফিতনাবাজদের সব কথা শুনলেন তারা তাদের হাজার বছর পুরাতন মন্দির সমুহের কথা বলতে লাগল, এটা ৩ হাজার বছর পুরাতন মন্দির ওটা ৫ হাজার বছরের পুরাতন মন্দির, আর আপনারা যে মসজিদ তৈরী করেন তা কিছুদিন পর আর টিকে না, আপনাদের মসজিদ প্রতি বছর বছর মেরামত করতে হয়, পক্ষান্তরে আমরা একবার মন্দির তৈরী করে দিই সেটা আর মেরামতের প্রয়োজনও হয়না। তখন শায়খ আবদুল হক মুহাদ্দিস দেহলভি বললেন তোমাদের কোন মন্দিরটি সবচেয়ে বেশী পুরাতন? তারা দিল্লির একটি মন্দিরের কথা বলল তখন আবদুল হক মুহাদ্দিস দেহলভি সে ফেতনাবাজদেরকে সাথে নিয়ে সে মন্দিরে প্রবেশ করলেন, আর তিনি মন্দিরের ভিতর প্রবেশ করে উচ্চ আওয়াজে কোরআনের ১টি আয়াত পড়তে লাগলেন।  

لَوْ أَنزَلْنَا هَذَا الْقُرْآنَ عَلَى جَبَلٍ لَّرَأَيْتَهُ خَاشِعًا مُّتَصَدِّعًا مِّنْ خَشْيَةِ اللَّهِ وَتِلْكَ الْأَمْثَالُ نَضْرِبُهَا لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَفَكَّرُونَ

যদি আমি এই কোরআন পাহাড়ের উপর অবতীর্ণ করতাম, তবে তুমি দেখতে যে, পাহাড় বিনীত হয়ে আল্লাহ তা'আলার ভয়ে চুর্নবিচুর্ণ হয়ে গেছে। আমি এসব দৃষ্টান্ত মানুষের জন্যে বর্ণনা করি, যাতে তারা চিন্তা—ভাবনা করে। [সুরা হাশর — ৫৯:২১] তিনি যখন এই আয়াতটি উচ্চা আওয়াজে পড়তে লাগলেন দেখা গেল মন্দিরের ইট পাথরগুলি থরথর করে কাঁপতে লাগল। এই অবস্থা দেখে সে হিন্দু ফিতনাবাজরা শায়খের পায়ে ধরে বলতে লাগলেন হযরত আমাদের ভুল হয়েছে, আপনি দয়া করে আপনার তেলাওয়াত বন্ধ করুন না হয় আমাদের অনেক পুরানো মন্দির ভেঙ্গে খানখান হয়ে যাবে। তখণ শায়খ বললেন আমিতো হাতুড়ি দিয়ে খুন্তি দিয়ে তোমাদের মন্দির ভাঙ্গছিনা, আমিতো শুধুমাত্র আমার রবের কালাম তেলাওয়াত করছি, এখন তোমরা দাবী করছ তোমাদের ধর্ম সত্য আমাদের ধর্ম মিথ্যা আমি এখন আমার রবের কালাম পাঠ করছি তাতে যে তোমাদের মন্দির ভেঙ্গে যাচ্ছে এবার তোমরা যদি হকপন্থি হও তাহলে তোমরাও তোমাদের মাবুদের সাহায্য নিয়ে এই পুরানা মন্দিরকে রক্ষা করে দেখাও! এই ঘটনার পর সে সব ফিতনাবাজরা সম্পূর্ণভাবে পরাস্থ হয়ে গেল এবং এই ঘটনা দেখে অনেক হিন্দু তখন ইসলাম কবুল করল। 

দেখুন এই কোরআন প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যায় মসজিদ সমুহে তেলাওয়াত হয় তবুও আল্লাহ তায়ালা এই ঘরসমুহকে আবাদ রেখেছেন, এসব ঘর থর থর করে কেঁপে কেঁপে ধ্বংস হয়না, এর দ্বারা বুঝা যায় এটা আল্লাহর অনেক বড় রহমত। ইসলামের অনেক বড় নিদর্শন এর মধ্যে আছে।  কোরআন এর যে পাওয়ার তার হাজারো উদাহারণ এই যুগেও অহরহ পাওয়া যায়, যেমন যদি কোন লোককে জিনে ধরে তার সামনে কোরআন তেলাওয়াত করলে সে জিন কাকুতি মিনতি করে বলবে কুরআন পড়া বন্ধ করুন না হয় আমি জ্বলে পুরে ছাই হয়ে যাব, এমন শক্তিশালি ফয়ুজ ও বরকত ওয়ালা কোরআন থাকা সত্বেও আমরা দৌড়াই বিভিন্ন আমেল দের কাছে, বিভিন্ন ভন্ডদের কাছে, যারা আমাদের ঈমানকেও লুটে আমাদের টাকা পয়সাও লুটে নেয়। আমাদের উচিত কোরআনের সাহারা নেয়া, এর মধ্যেই আছে কল্যাণ রহমত বরকত সমাধান। আল্লাহ তায়ালার এই কালামে ৩টি আয়াত আছে যা সুরা সাফফাতের আখেরী ৩ আয়াত যেমন

سُبْحَانَ رَبِّكَ رَبِّ الْعِزَّةِ عَمَّا يَصِفُونَ

পবিত্র আপনার পরওয়ারদেগারের সত্তা, তিনি সম্মানিত ও পবিত্র যা তারা বর্ণনা করে তা থেকে। [সুরা সাফফাত — ৩৭:১৮০]

وَسَلَامٌ عَلَى الْمُرْسَلِينَ

পয়গম্বরগণের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক। [সুরা সাফফাত — ৩৭:১৮১]

وَالْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ

সমস্ত প্রশংসা বিশ্বপালক আল্লাহর নিমিত্ত। [সুরা সাফফাত — ৩৭:১৮২] 

নবী করিম (দ) এরশাদ করেন যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরয নামাজের পর ৩ বার এই ৩টি আয়াত পাঠ করবে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা তাকে এর অফুরন্ত প্রতিদান দান করবেন। 

তেমনি ভাবে হযরত আলী (রা) বলেন যদি কেহ চান কিয়ামতের দিন তার আমলের প্রতিদান মিজানের পাল্লা ভর্তি করে করে দেয়া হউক অর্থ্যাৎ আপনি আমল কম করবেন কিন্তু এর প্রতিদান অনেক বেশী হবে, সে যে কোন মজলিশে যখন বসবে সে মসলিশ থেকে সে বৈঠক থেকে যখন উঠবে তখন তার শেষ কলমা যেন হয় (ছুবহানা রাব্বিকা রাব্বিল ইজ্জাতি আম্মা এয়াসিফুন ওয়াসালামুন আলাল মুরসালিন ওয়াল হামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন)  

যদি শেষ কলমা এটা হয় তাহলে যতক্ষণ এই মজলিশে আপনি ছিলৈন তাতে যত আমল করেছেন সকল আমলের প্রতিদান আল্লাহ তায়ালা নিজ শান মোতাবেক দান করবেন। তেমনি ভাবে এই ৩টি আয়াত আপনি দুনিয়ার যে কোন কাজে যদি যান, যেমন কোন কিছু কিনতে গেলেন, ছেলে মেয়ের জন্য সম্বন্ধ তালাশে গিয়েছেন, কোন ব্যবসার কাজে গেলেন, কিংবা কোন জানাযায় গেলন, কোন বিয়ের অনুষ্ঠানে গেলেন,  কোন রোগাক্রান্ত ব্যক্তিকে দেখতে গেলেন যেখানে আপনার সাথে ২/৪ জন লোকের সাথে বৈঠক হবে, চাই সেখানে দুনিয়াবি কোন কথাই আপনি যদি বলেন, তখনও যদি আপনি এই ৩টি আয়াত (ছুবহানা রাব্বিকা রাব্বিল ইজ্জাতি আম্মা এয়াসিফুন ওয়াসালামুন আলাল মুরসালিন ওয়াল হামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন)  পাঠ করে সে মাহফিল সে বৈঠক সে মজলিশ যদি শেষ করেন তাহলে কেয়ামত পর্যন্ত আপনার ইজ্জত সন্মানের উপর কেহ আঙ্গুল তুলতে পারবেনা। কারন আপনি এই আয়াতের মাধ্যমে মুলত আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ইজ্জতদার হওয়ার সাক্ষি দিয়েছেন, সেহেতু আল্লাহ তায়ালাও আপনার ইজ্জতের উপর কাউকে হামলা করার সুযোগ দান করবেন না। অতএব প্রতি ফরয নামাজের পর এই ৩টি আয়াত একবার পড়লে এবং যে কোন মজলিশের শেষে ১ বার পাঠ করলে আপনি যেখানেই যান ইজ্জত সম্মানের সাথে থাকবেন, আপনাকে কেহ অপমান অপদস্থ করতে পারবেনা, আপনার উপর কেহ কোন ধরনের অন্যায় খবরদারি করতে পারবেনা। ইনশা আল্লাহ


কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.