সুরাটি যে ঘরে লিখে রাখবে সে ঘরে কোনদিন অভাব হবেনা
সুরাটি যে ঘরে লিখে রাখবে সে ঘরে কোনদিন অভাব হবেনা
কোরআনে মজিদে এমন একটি সুরা আছে যে সুরাটি ঘরের মধ্যে লিখে রাখলে কি পরিমাণ বরকত হয়
শুনলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। রুহুল মায়ানী নামক তফসিরের কিতাবে রয়েছে
হযরত আনাস (রা) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (দ) বলেছেন সুরাটি সম্পূর্ণটাই এক সাথে নাজিল হয়েছে
সে ফজিলতময় সুরাটি সম্পর্কে পরে বলব তার আগে আরো কয়েকটি সুরার অভাবনিয় ফজিলত জেনে রাখুন
ইবনে মারদুবিয়া হজরত আবু উমামা বাহেলি রাদিয়াল্লাহু আনহুর সূত্রে বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি জুমআর রাতে অথবা জুমআর দিনে
সুরা দুখান তেলাওয়াত করে, আল্লাহ তাআলা তাঁর জন্য জান্নাতে একটি মহল তৈরি করেন।
ইমাম তিরমিজি ও বাইহাকি হজরত আবু হুরায়রা থেকে বর্ণনা করেছেন, যে ব্যক্তি রাতে সুরা দুখান তেলাওয়াত করবে,
সত্তর হাজার ফেরেশতা সকাল পর্যন্ত তার জন্য মাগফিরাতের দোয়া করতে থাকবে।
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি সন্ধ্যা বেলায় সুরা দুখান, সুরা গাফের
ও আয়াতুল কুরসি তেলাওয়াত করবে, সকাল পর্যন্ত তাঁর হেফাজত করা হবে এবং সে কোনো প্রকার মন্দ কিছু দেখবে না।
যে ব্যক্তি স্বপ্নে সুরা ঝাছিয়া পাঠ করতে দেখে, তার মধ্যে দুনিয়া ত্যাগের ভাব তৈরি হবে এবং সে পরহেজগার তথা আল্লাহভীরু হবে।
সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার পর কেউ যদি এ সুরা লিবিপদ্ব করে তার দেহে বেঁধে রাখে, তবে সব ধরনের কষ্টদায়ক বস্তু থেকে নবজাতক শিশু হেফাজত থাকবে।
তাফসিরে দুররুন নজমে এসেছে, সুরা যুখরূফ সুরাটি লিখে বৃষ্টির পানি দ্বারা ধৌত করে পান করলে কফ—কাশি দূর হয়।
যে ব্যক্তি স্বপ্নে দেখবে যে, সুরা যুখরূফ তেলাওয়াত করছে, তার অর্থ দাঁড়াবে
ঐ ব্যক্তি দুনিয়ার জীবনে সফল হবে আর পরকালে সে উচ্চ মর্যাদা লাভ করবে।
সুরা কাহাফের ব্যপারটা আরো দারুন, রুহুল মায়ানী নামক তফসিরের কিতাবে রয়েছে
সুরা কাহাফ নাজিল এর সময় এর সাথে ৭০ হাজার ফেরেশতা আগমন করেছেন
হযরত আবদুল্লাহ বিন আব্বাস (রা) বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন অথবা জুমার রাতে
সুরা কাহাফ তেলাওয়াত করবে সে এমন এক নুর লাভ করবে যা তার পড়ার স্থান থেকে মক্কা পর্যন্ত বিস্তৃত হবে
পরবতীর্ জুমা পর্যন্ত তাঁর সকল গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। এবং ৭০ হাজার ফেরেশতা তাঁর জন্য দোয়া করবে।
এ সুরাটির কয়েকটি উপকারিতা হল যে ব্যক্তি পাক পবিত্র অবস্থায় কেবলামুখি হয়ে
এক খন্ড সাদা কাগজে সুরা কাহাফ লিখে বোতলে ভরে ঘরে রেখে দিবে সে ঘরে কখনো অভাব দেখা দেবেনা
এবং ঘরের মালিক কখনো ঋণ গ্রস্থ হবেনা।
তাছাড়া কোন ঋণগ্রস্থ ব্যক্তি এই সুরাটি লিখে তাবিজ আকারে নিজের সাথে রাখলে
অচিরেই সে ঋণের দায় থেকে মুক্ত হবে।
তৃতীয়ত কোন নির্দোষ ব্যক্তি হয়রানিমুলক মামলায় জড়িয়ে পড়লে
এই সুরা কাহাফ লিখে নিজের সাথে রাখবে এবং মামলার নির্ধারিত দিন কোর্টে যাওয়ার পূর্বে
বিসমিল্লাহি রাহমানির রাহিম সহ ৩ বার এই সুরা তেলাওয়াত করে
বিচারকের সামনে গেলে ইনশা আল্লাহ সে মুক্তি পেয়ে যাবে।
চতুর্থত— এই সুরা লিখে ক্ষেতখামারে পুতে রাখলে সে ক্ষেত খামারের ফসল পোকার আক্রমন
ও ইঁদুরের উপদ্রব থেকে রক্ষা পাবে। ফলনও অভাবনীয় ভাবে বেড়ে যাবে
এই সুরাটি এমন একটি সুরা যার ফজিলত সংক্রান্ত মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিজি, নাসাঈ
সহ অসংখ্য হাদিস গ্রন্থের মধ্যে আছে হযরত আবুদ দারদা (রা) হতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (দ) বলেন
যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের ১ম ১০ আয়াত মুখস্থ করবে সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে
অন্য এক হাদিসে সুরা কাহাফের শেষ ১০ আয়াতের কথা উল্লেখ আছে।
আসুন আমরা এই মূল্যবান উপকারি সুরা সমুহের আমল করি
বিশেষ করে সুরা কাহাফের প্রথম ও শেষ ১০ আয়াত মুখস্থ করার চেষ্টা করি।
কোন মন্তব্য নেই