2শব্দ তকদির বদলে দিবে, ৩১৩ বার ইসমে আজমের ওজিফা
2শব্দ তকদির বদলে দিবে, ৩১৩ বার ইসমে আজমের ওজিফা
প্রিয় বন্ধুরা আজকে ডঃ হামেদ
শাফেঈর বয়ানকৃত ১টি ওজিফা আপনাদের সাথে শেয়ার করব, তিনি বলেন – এটা
এত বেশী শক্তিশালি ও পরিক্ষিত আমল যেই এই আমলটি করবে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই সে তার রেজাল্ট
দেখতে পাবে। আল্লাহ তার রিজিকে ফরাগতি দিয়ে দেন, আমলকারীর
জন্য আল্লাহ হালাল রিজিক সহজ করে দেন। যারা রিজিকের জন্য এই ওজিফাটি
করবেন তারা রিজিকের জন্য আর অন্য কোন ওজিফা করবেন না। শুধু ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়বেন, কোরআন তেলাওয়াত
করবেন, এবং এখন আমি যে ওজিফাটি দিব সেটি করবেন। যদি ৭ সপ্তাহের মধ্যে আল্লাহ
তায়ালা আপনার রিজিকের দরজা না খুলে তার জিম্মাদার আমি হব। ওজিফাটি এতই সহজ অজু অবস্থায়, অজু ছাড়া,
পাক অবস্থায় নাপাক অবস্থায়, হাটা, বসা, শোয়া সকল অবস্থায় আপনি করতে পারবেন।
এরপরও যদি মানুষ আল্লাহর রহমত
হাছিল করতে না পারে সেটা তার বদনসিবি ছাড়া আর কিছুই নয়। আমি যদিও রিজিকের ওজিফা বলছি কিন্তু
আপনার সকল কাজ এই ওজিফার বরকতে সহজ হয়ে
যাবে ইনশা আল্লাহ। বিয়ে শাদির সমস্যা, ব্যবসার সমস্যা,
যাদু টোনার সমস্যা, সব কিছুই এর দ্বারাই সমাধান
হয়ে যাবে। আমলটি করার জন্য আপনি আপনার পছন্দমত যে কোন সময় নির্ধারণ
করতে পারেন, চাই সকালে চাই দুপুরে, চাই আসরে চাই এশারের
পর যেটাই আপনার জন্য উপযুক্ত সময় সে সময় আপনি আমলটি করতে পারবেন। কি পড়বেন? (আসসালাতু আসসালামু আলা রাসুলিল্লাহি আসতাগফিরুল্লাহ) এই ওজিফার বরকতে শারিরিক সমস্যাও দুর করে দিবেন, টাকা
পয়সার সমস্যাও সমাধান করে দিবেন, যাদু টোনা থাকলে তাও নষ্ট হয়ে
যাবে। আমি এতক্ষণ যতকিছু দাবী করেছি তার পক্ষে দলিল দিব যাতে
কারো মনে কোন সন্দেহ না থাকে।
ইবনে মাজা, সুনানে আবু দাউদ, তিরমিজি
শরীফ, এর হাদিস আল্লাহর রাসুল (দ)
এরশাদ করেন যে এসতেগফারকে নিজের উপর আবশ্যক করে নিবে আল্লাহ তার জন্য
অভাব অনটন থেকে বের হওয়ার রাস্তা বের করে দিবেন। তার দুঃখ পেরেশানি দুরে করে
দিবেন এবং তাকে এমন স্থান থেকে রিজিক দিবেন যেখানে সে কখনো কল্পনাও করে নাই। এখন আপনার শারিরিক সমস্যাও
দুঃখ, ভাই বোনের
ঝগড়া এটাও দুঃখ, মালি পেরেশানি এটাও দুঃখ, ব্যবসা হচ্ছেনা এটাও দুঃখ। কন্যা সন্তানের জন্য রিশতা আসছেনা এটাও দুঃখ, সন্তান নাফরমান
এটাও দুঃখ। স্বামী পরনারীর প্রতি আকৃষ্ট এটাও দুঃখ। এভাবে আপনার যত দুঃখ আছে যত
যাতনা আছে যত কষ্ট আছে এই একটি আমলের বরকতে আল্লাহ তায়ালা দুর করে দিবেন। সেজন্য আমি দাবী করছি এটা
এমন সহজ আমল এবং অল রাউন্ডার আমল যা করলে আপনার আর অন্য কোন আমল অন্য কোন ওজিফারই দরকার
নাই। দরুদ পড়া আল্লাহর সুন্নত আর এসতেগফার করা সমস্ত নবীদের সুন্নত।
অনেক সময় সুন্নত ওয়াজিবের
দরজায় পৌঁছে যায়। যেমন দাড়ি সুন্নত কিন্তু যেহেতু তা সমস্ত নবীদের সুন্নত
সাহাবীদের সুন্নত এবং তা ধারাবাহিক ভাবে সকলের সুন্নত হিসেবে চলে আসছে তাই এর এতই গুরুত্ব
যে তা ওয়াজিব এর দরজায় পৌঁছে গেছে। তেমনিভাবে এসতেগফার সুন্নত তবে তা ধারাবাহিক ভাবে চলতে
চলতে ওয়াজিব এর দরজায় পৌঁছে গেছে। দাড়ি যেমন মর্যাদার দিক থেকে ওয়াজিব এর কাছাকাছি তেমনি এসতেগফারও মর্যাদার
দিক থেকে ওয়াজিব এর কাছাকাছি। এখন এই ওজিফাটি আমরা একটি সময় নির্ধারিত করে সে সময় ৩১৩
বার সব ধরনের সমস্যা সব ধরনের হাজত এর জন্য নিয়ত করে পড়তে হবে (আসসালাতু
আস সালামু আলা রাসুলিল্লাহি আসতাগফিরুল্লাহ) দরুদ শরীফ পড়ার সময় মনে মনে চিন্তা
করবেন আমার এই দরুদ আমার প্রিয় নবী নিজ কানে শুনছেন, এবং জবাব
দিচ্ছেন আর এসতেগফার পড়ার সময় নিজের গুনাহের জন্য লজ্জিত হয়ে এসতেগফার পড়বেন। যথাসম্ভব পাক পবিত্র হয়ে পরিস্কার
পরিচ্ছন্ন কাপড় পরিধান করে আতর লাগিয়ে বসে এই ওজিফা করার চেষ্টা করবেন। তাতে ফায়দা বেশী হবে। এই আমল প্রতিদিন করতে হবে।
তাহলে এর ফায়দা দুনিয়াতেও
পাবেন কবরেও পাবেন হাশরের ময়দানেও পাবেন। আপনার প্রতিদিনের ওজিফা হবে ৩১৩ বার পড়া। এছাড়াও সারাদিন যখনই সুযোগ
হবে বিনা হিসাবে হাটতে বসতে চলতে ফিরতে যখনই সময় হবে চাই অজু না থাকুক তবুও এই দোয়াটিই
পড়তে থাকবেন। আপনি যে মকসদের জন্য যে হাজতের জন্য পড়বেন ইনশা আল্লাহ
আন্তরিকতার সাথে পড়লে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই আনার কাছে সুখবর আসবে। অনেকে হাজত পুরন হয়ে যাওয়ার
পর আর ওজিফা করেনা। এই ওজিফা অনাগত সমস্যার জন্যও খুবই কার্যকরী তাই প্রতিদিন
এটাকে জীবনের হিচ্ছা বানিয়ে নিন। তাহলে আপনার জীবনে আর কোন সমস্যা থাকবেনা, সমস্যা আসলেও
তা থেকে বের হওয়ার রাস্তা সহজ হয়ে যাবে।
কোন মন্তব্য নেই