বরকত ওয়ালা নোট বানানোর ইসমে আজম- ধন সম্পদ বৃদ্ধির দোয়া ও আমল
বরকত
ওয়ালা নোট বানানোর ইসমে আজম
আসসালামু
আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ, প্রিয় বন্ধুরা, আজকে বরকত ওয়ালা নোট বানানোর ওজিফা বলব যে নোট আপনার সাথে রাখলে জীবনে আপনার রিজিকে বরকত, হায়াতে বরকত খতম হবেনা, আপনার দোকানে রাখলে দোকানের বেচা কেনার বরকত খতম হবেনা। আপনার সম্পদ বাড়তেই থাকবে, সামলাতে আপনার হিমশিম খেতে হবে। এই ওজিফাটি বয়ান করেছেন আল্লামা ডঃ হামেদ শাফেই, তিনি নিজেই এই বরকতওয়ালা নোটের বরকত দেখে হয়রান। তিনি বলেন একবার আমি আমার বাচ্চাদেরকে নিয়ে কারে করে কোথাও যাচ্ছিলাম, সেদিন ছিল সোমবার দিন, আমি রোজা ছিলাম, কিন্তু গাড়ির পেট্রোল খতম হলে আমি গাড়ি পেট্রোল পাম্পে নিয়ে গেলাম, আর পেট্রোল পাম্পের পাশে যে দোকান থাকে তা থেকে বাচ্চাদের জন্য কিছু খাবার চকলেট ইত্যাদি কিনে নিলাম, আমি যখন বিল দিতে গেলাম সে দোকানদার আমার কাছ থেকে কোন ভাবেই বিল নিতে চাচ্ছিলনা, সে নাকি মিডিয়াতে আমার বয়ান শুনে আর সে আমার ভক্ত, তাই সে আমার কাছ থেকে প্রায় ১১৫০ টাকার মত বিল হল তা নিতে চাচ্ছিল না,
কিন্তু আমি তাকে বললাম আপনার ভালোবাসার জন্য আমি আপনাকে কৃতজ্ঞতা জানাই, তবে আমি আপনার কাছ থেকে পয়সা ছাড়া এই ছামান নিতে অপারগ, কিন্তু সে দোকানদারও নাছোড় বান্দা সে কোন ভাবেই আমার কাছ থেকে টাকা নিবে না, তখন আমি চিন্তা করলাম (হাল জাজাউল এহসান ইল্লাল্লাল এহসান) অর্থ্যাৎ এহসানের বদলা এহসান দিয়ে দিতে হয়, সে যেহেতু আমাকে ১১৫০ টাকার উপহার দিল আমি তার উপহারের বদলায় আমার কাছে একটা বরকতওয়ালা নোট ছিল সে নোটটি দিয়ে দিলাম। তাকে বললাম সে নোটটি তার ক্যাশে রাখতে, সে খুবই আন্তরিকতার সাথে সে নোটটি নিয়ে নিল। সে আমার মোবাইল নাম্বার নিল। ৩ মাস পর সে একদিন আমাকে ফোন করে বলল হুজুর আমি আপনার বরকতি নোটটি রাখার আগে আমার দোকানে বিক্রী হত ১৫/২০ হাজার টাকা কিন্তু এই নোটটি রাখার পর থেকে আমার দোকানে আল্লাহর ফযলে এখন প্রতিদিন লাখ টাকার সেইল হচ্ছে, আর এমন সেইল দেখে আমার দোকানের মালিক আমাকে দোকান ছেড়ে দিতে বলছে, এখন আমি কি করব?
তখন আমি তাকে বললাম তোমার ব্যবসা যেহেতু ভালো হচ্ছে তাকে ভাড়া বাড়িয়ে দাও এতেই তোমার ফায়দা হবে,
পরে সে ভাড়া ৫ হাজার টাকা বাড়িয়ে দিল আর ভরপুর ব্যবসা করে মালদার হয়ে গেল। সুবহানাল্লাহ
এখন
আমি বলব এই বরকতওয়ালা নোট আপনি কিভাবে বানাবেন? এটা বানাতে হলে আপনি একটি চকচকে নতুন নোট নিবেন চাই সে নোট ১০০০ টাকার নোট হউক, চাই ৫০০ টাকার নোট, চাই ২০০ টাকার নোট, চাই ১০০ টাকার নোট। আপনার যা সুবিধা হয় সে পরিমান একটি নতুন নোট নিবেন, তারপর সে নোটটি রাখার জন্য একটি প্লাষ্টিকের ছোট খাম নিবেন, তারপর ১টি আতর নিবেন, এই আমল শুরু করতে হবে জুমারাত অর্থ্যাৎ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত।বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে জায়নামাজে বসে এক বসাতে ৩য় কলমাটি পড়বেন, সুবহানাল্লাহি ওয়ালহামদুলিল্লাহ ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম। এই কলমাটি মোট ১০০০ বার পড়বে, আর আগে ও পরে ১১ বার করে দরুদ শরীফ পড়বেন তারপর সে নোটটির উভয় দিকে ফুক দিবেন। এবং সে নোটটিতে আতর লাগিয়ে তা রেখে দিবেন। তারপরের দিনও এশারের নামাজের পর এই কলমাটি ১০০০ বার পড়বেন আগে পরে ১১ বার দরুদ শরীফ পড়বেন এবং নোটের উভয় দিকে ফুক দিবেন আতর লাগাবেন। এভাবে প্রতিদিন রাতে আমলটি একই ভাবে করতে হবে। এভাবে মোট ২১ দিন আমলটি করতে হবে ফলে ২১ দিনে মোট ২১ হাজার বার ৩য় কলমা পড়ে নোটটিতে যখন ফুক দিবেন তখন সেটি বরকত ওয়ালা নোট হয়ে যাবে।আপনার এই নোটটি এখন আর সাধারণ কাগজি নোট থাকবেনা বরং এটি বরকতওয়ালা নোটে রুপান্তরিত হয়ে যাবে। এখন এই নোট যদি আপনি নিজের সাথে রাখেন আপনার জীবনে অভাব বলতে কিছু থাকবেনা। আপনার ঘরে বরকত হবে,
আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে রাখলে ব্যবসায় বরকত হবে। এই কলমাটি সম্পর্কে হাদিসে আছে যদি কেহ একবার এই কলমাটি পাঠ করে কিয়ামত পর্যন্ত এর নেকি লিখে ফেরেশতা শেষ করতে পারবেনা, এখন কেহ যদি সে কলমাটি দিনে ১০০০ বার পড়েন আর ২১ দিনে ২১ হাজার বার পড়েন তার নেকি তার বরকত কতটুকু হতে পারে একবার আন্দাজ করুন। এই নোটটি দোকানের ক্যাশে রাখলে তা আর ধরবেন না,
তেমনি ঘরের আলমিরাতে রাখলে সেইফ জায়গায় রেখে দিবেন দুদিন পর পর খুলে খুলে দেখবেন না। তাহলে এর বরকত আর নষ্ট হবেনা ইনশা আল্লাহ।
কোন মন্তব্য নেই