১ মিনিটে যৌবন শক্তি বৃদ্ধির আমল। শারিরিক শক্তি, ধন সম্পদ বৃদ্ধির দোয়া। ইস্তেগফার
শক্তির উপর শক্তি বৃদ্ধির আমল-এসতেগফারের আমল
প্রিয় বন্ধুরা আজকে এমন একটি সহজ আমলের কথা বলব যে আমলটি পবিত্র কুরআনের সুরা
হুদের মধ্যে উল্লেখ আছে, যারা ধন সম্পদের
শক্তি চান, মানসিক শক্তি চান, যারা শারিরিক শক্তি চান, প্রত্যেকের জন্য আজকের এই আমলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
যারা
টাকা পয়সা, রুজি রোজগারে অফুরন্ত বরকত
চান তারা নিয়মিত এই আমলটি করবেন। আর যাদের সাহসের অভাব, কোন কাজ শুরু করতে ভয় পাচ্ছেন তারা কাজটি করার আগে এই আমলটি
কিছুক্ষণ করবেন। যারা কোন সফরে বের হয়ে দুরের রাস্তায় হেটে যেতে ভয় পাচ্ছেন এত দুর
হেটে যেতে শরীরে এনার্জি পাবেন না বলে ভয় পাচ্ছেন তারা প্রথমে ১ মিনিট এই আমলটি
করবেন তারপর রওয়ানা দিবেন। যে সব মহিলারা ঘরের কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে যান তারা
কাজের ফাকে ফাকে এই আমলটি করে নিবেন দেখবেন আল্লাহ তায়ালা শক্তির উপর শক্তি দান
করবেন, শরীরের ক্লান্তি দুর হয়ে
যাবে। যারা পড়া লেখায় মনোনিবেশ করতে পারেন না তারা প্রথমে কয়েকবার এই আমলটি করে
তারপর পড়া লেখা আরম্ভ করবেন। যারা যৌবন শক্তি দূর্বল কিংবা যাদের সন্তান হয়না
তারাও প্রতিদিন এই আমলটি করবেন আল্লাহ তায়ালা সন্তান দান করবেন। যারা পানির
সমস্যায় আছেন তারাও এই আমলটি করবেন সমাধান হয়ে যাবে। যাদের ব্যবসায় কাস্টমার হয়না
তারাও আন্তরিকভাবে দোকানে বসে বসে এই আমলটি করবেন। যারা ক্ষেত খামারে বরকত চান
তারাও এই আমলটি নিয়মিত করবেন।
এতক্ষণ
যতগুলি ফায়দার কথা বলেছি সবগুলির জন্য একটিই আমল, যা পবিত্র কোরআনের কয়েকটি আয়াত শুনলেই আপনারা বুঝতে পারবেন। যেমন সুরা হুদের
৫২ নং আয়াত আল্লাহ তায়ালা বলেন শক্তির উপর শক্তি বৃদ্ধি করে দিবেন।
وَيَا قَوْمِ
اسْتَغْفِرُواْ رَبَّكُمْ
ثُمَّ تُوبُواْ
إِلَيْهِ يُرْسِلِ
السَّمَاء عَلَيْكُم
مِّدْرَارًا وَيَزِدْكُمْ قُوَّةً إِلَى
قُوَّتِكُمْ وَلاَ
تَتَوَلَّوْاْ مُجْرِمِينَ
আর হে
আমার কওম! তোমাদের পালন কর্তার কাছে তোমরা ক্ষমা প্রার্থনা কর, অতঃপর তাঁরই প্রতি মনোনিবেশ কর; তিনি আসমান থেকে তোমাদের উপর বৃষ্টি ধারা প্রেরণ করবেন এবং
তোমাদের শক্তির উপর শক্তি বৃদ্ধি করবেন,
তোমরা
কিন্তু অপরাধীদের মত বিমুখ হয়ো না। [সুরা হুদ -৫২]
তাই
যেখানেই শক্তি প্রয়োজন সে কাজটি করার আগে কিছুক্ষণ পড়বেন আসতাগফিরুল্লাহ, নিজের গুনাহের জন্য ক্ষমা চাইবেন আর বলবেন আসতাগফিরুল্লাহ ওয়া আতুবু ইলাইহ। প্রয়োজনে ২
রাকাত হাজতের নামাজ পড়ে সিজদায় গিয়ে খুব আন্তরিকতার সাথে দু চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে
বলুন আসতাগফিরুল্লাহ
فَقُلْتُ اسْتَغْفِرُوا رَبَّكُمْ إِنَّهُ
كَانَ غَفَّارًا
অতঃপর
বলেছিঃ তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ক্ষমা প্রার্থনা কর। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল।
يُرْسِلِ السَّمَاء
عَلَيْكُم مِّدْرَارًا
তিনি
তোমাদের উপর অজস্র বৃষ্টিধারা ছেড়ে দিবেন,
وَيُمْدِدْكُمْ بِأَمْوَالٍ
وَبَنِينَ وَيَجْعَل
لَّكُمْ جَنَّاتٍ
وَيَجْعَل لَّكُمْ
أَنْهَارًا
তোমাদের
ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি বাড়িয়ে দিবেন,
তোমাদের
জন্যে উদ্যান স্থাপন করবেন এবং তোমাদের জন্যে নদীনালা প্রবাহিত করবেন।
এক বোন
রমজান মাসে শুধু আসতাগফিরুল্লাহ আসতাগফিরুল্লাহ এভাবে মোট ৪ লাখ বার পড়েছেন তখন এক
মহিলা মুফতি তাকে ফতোয়া দিল তোমার এই আসতাগফিরুল্লাহ শুদ্ধ হয়নি, কারন তুমি পুরা পড়নি। অথচ আসতাগফিরুল্লাহ এটি একটি সম্পূর্ণ
বাক্য যার অর্থ হে আল্লাহ তায়ালা আমি তোমার কাছে আমার গুনাহসমুহ ক্ষমা চাই। সুতরাং
শুধুমাত্র আসতাগফিরুল্লাহ এতটুকু বললেই আপনার জন্য যথেষ্ট বাকী যদি আরো শব্দ আপনি
বাড়াতে চান যা হাদীসে আছে তা আপনার জন্য ভালো। যেমন নবী করিম (দ) যখন নামাজের
সালাম ফিরাতেন তখন একবার আল্লাহু আকবার এবং ৩ বার শুধুমাত্র আসতাগফিরুল্লাহ পড়তেন।
(মুসলিম ১৩১৬,১৩৩৭)
আর কেহ যদি এসতেগফারের
সরদার পড়তে চায় তা অনেক বড় তাও পড়তে পারেন যেমন বুখারী শরীফের ৬৩০৬ নং হাদিসে
সৈয়্যদুল এসতেগফার আছে আর তা হল
اللَّهُمَّ أَنْتَ
رَبِّي، لاَ إِلَهَ إِلاَّ
أَنْتَ، خَلَقْتَنِي
وَأَنَا عَبْدُكَ،
وَأَنَا عَلَى
عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ
مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوذُ بِكَ
مِنْ شَرِّ
مَا صَنَعْتُ،
أَبُوءُ لَكَ
بِنِعْمَتِكَ عَلَىَّ
وَأَبُوءُ لَكَ
بِذَنْبِي، فَاغْفِرْ
لِي، فَإِنَّهُ
لاَ يَغْفِرُ
الذُّنُوبَ إِلاَّ
أَنْتَ "
উচ্চারণ:
“আল্লাহুম্মা আনতা রব্বী
লা-ইলাহা ইল্লা আনতা খালাক্কতানী ওয়া আনা আ’বদুকা ওয়া আনা আ’লা আহ্দিকা ওয়া ও’য়াদিকা মাসতাত’তু আ’উযুবিকা মিন শার্রি
মা ছা’নাতু আবূউলাকা বিনি’মাতিকা আ’লাইয়্যা ওয়া
আবূউলাকা বিযানবী ফাগ্ফির্লী ফাইন্নাহু লা-ইয়াগফিরুয্যুনূবা ইল্লা আনতা”।
অতএব
ধন সম্পদ বৃদ্ধি, অভাব থেকে মুক্তি, সন্তান সন্তুতি বৃদ্ধি, বৃষ্টির জন্য, বাগানে ফসলের জন্য, ব্যবসায় উন্নতির জন্য,
শারিরিক
শক্তির উপর শক্তি বৃদ্ধির জন্য, মনের সাহস এর জন্য, মানসিক শক্তির জন্য মহিলাদের ক্লান্তি দুর করার জন্য বেশী
বেশী এই আমলটি করতে থাকুন। আর এই আমলটি স্পেশাল বৈশিস্ট হল এটি স্বয়ং আল্লাহ
তায়ালা শিখিয়েছেন আর আল্লাহ তায়ালা ওয়াদা করেছেন এই আমলটি করলে এসব নেয়ামত দান
করবেন। আর আল্লাহর ওয়াদা কখনো মিথ্যা হতে পারেনা।
কোন মন্তব্য নেই