ইমাম গাজ্জালি (রহ)। কাঠুরিয়ার শ্রেষ্ঠ কল্যাণের ওজিফা। কবর থেকে খুশবু বের হয় যে আমলে। All bangla dua
ইমাম গাজ্জালি (রহ)। কাঠুরিয়ার শ্রেষ্ঠ কল্যাণের ওজিফা। কবর থেকে খুশবু বের হয় যে আমলে। All bangla dua
ইমাম
গাজ্জালি (রহ) এক কাঠুরিয়ার গল্পের মাধ্যমে আজকে সর্বশ্রেষ্ঠ কল্যাণের ওজিফাটি
সম্পর্কে জানব, আশা করি আপনি জানার পর আপনিও এই ওজিফা থেকে
ফায়দা হাসিল করতে পারবেন
ইমাম
গাজ্জালি একদিন রাতে স্বপ্ন দেখে বলা হচ্ছে “হে ইমাম গাজ্জালি
তুমি অমুক গ্রামে যাও সে গ্রামে কোন আলেম নাই
আমার এক
পেয়ারা বান্দা সেখানে মারা গেছে তুমি তার দাফন কাফন জানাযা সব করবে,
ফজরের
নামাজের পর ইমাম গাজ্জালি সে গ্রামে ছুটে গেলেন আর গ্রাম বাসীকে প্রশ্ন করেন এখানে
কি কোন আল্লাহর ওলি বুযুর্গ মারা গেছেন
সকলে বলে এমন
কোন ওলি বুযুর্গতো এ গ্রামে নাই তবে এই গ্রামের শেষ প্রান্তে একজন কাঠুরিয়া আছ সে
গত রাতে মারা গেছে,
যার নাম
আবদুর রহমান, ইমাম গাজ্জালি বলেন হ্যাঁ আমি আবদুর রহমান
নামক সে আল্লাহর ওলিকেই খুজঁছি
তিনি সে
কাঠুরিয়ার ঘরে গেলেন আর দেখলেন ১টি লাশ কাপড় দিয়ে ঢেকে রেখে ছেলে মেয়েরা কাঁদছে,
গাজ্জালি
তাদের প্রশ্ন করেন তোমরা কাঁদ কেন, তারা বলে আমাদের বাবা মারা গেছেন
কিন্তু এ
এলাকায় এমন কোন লোক নাই যে আমার বাবাকে শুদ্ধ ভাবে গোসল দিবে জানাযা দিবে দাফন
করবে তাই কাদছি,
গাজ্জালি
বলেন আমি তোমার বাবাকে দাফন কাফন দিব, জানাযা কাফন দাফন এর কাজ সম্পন্ন করলেন
গাজ্জালি যখন সে কাঠুরিয়ার লাশ কবরে রাখলেন
সাথে সাথে
প্রচন্ড খুশবু তিনি অনুভব করলেন, কবর দিয়ে তিনি কাঠুরিয়ার ঘরে গেলেন
কাঠুরিয়ার
স্ত্রীকে প্রশ্ন করলেন তোমার স্বামীর আমল কি? যার কারনে
আল্লাহ তোমার স্বামীকে নিজের প্রিয় বান্দা বলে পরিচয় দিয়েছে,
স্ত্রী বলে
আমার স্বামী একজন মুর্খ মানুষ সারাদিন কাঠ কাটে আর হালাল রুজি রোজগার করে তবে আমার
স্বামী প্রতিদিন সকালে ফজরের নামাজ পড়ে
আমার ঘরে কোন
ফার্নিচার নাই একটি কুরআন আছে সে কুরআন খুলে আমার স্বামি বসে বসে কুরআনে আঙ্গুল
ফিরাত আর কাঁদত
আর বলত হে
আল্লাহ্ এ কালাম তুমি নাজিল করেছ কিন্তু আমিতো তা পড়তে পারিনা পড়া শিখব তেমন
সুযোগও নাই
হে আল্লাহ
তোমার এই কালামকে আমি ভালবাসি, তোমার এই কালামকে আমি মহব্বত করি, হে আল্লাহ তোমার এই কালামে তুমি যা বলেছ তা সত্য বলেছ,
তারপর কুরআনকে
মাথায় নিত, বুকে লাগাত কেঁদে কেঁদে চুমু খেত, তারপর কাঠ কাটতে চলে যেত, প্রতিদিন আমার স্বামী এই
কাজ করত,
তখন গাজ্জালি
বলে হ্যাঁ বুঝতে পেরেছি তোমার স্বামীর কোরআনের প্রতি এই মহব্বতের কারনে আল্লাহ
তাকে এত ভালবেসেছেন
আমরা মুসলমান
ফজরের নামাজ মসজিদে কবে পড়েছি জানি না। যদি
আমাদের জীবন এভাবে দ্বীন ধর্ম থেকে দুরে দুরে কাটাই
তাহলে আমাদের
কবরে কিভাবে শান্তি হবে? কিভাবে আমাদের আখেরাত সুখের হবে? কিভাবে আমাদের কবর থেকে খুশবু ছড়াবে?
আমরাও যদি
বেশী বেশী নেক আমল করি তাহলে আমাদের শরীর থেকেও খুশবু ছড়াবে, আমাদের মৃত্যুর পর শরীর পঁচবে না, কবরেও আমাদের শরীর
সালামত থাকবে।
আর যদি
সারাদিন গুনাহের মধ্যে কাটান তাহলে শরীর থেকে দুর্গন্ধ ছড়াবে, মৃত্যুর সাথে সাথে দাফনের আগে আগেই শরীর গলা আরম্ভ করবে
কোন মন্তব্য নেই