ওজিফাটি করলে ফেরেশতা ব্যাগ ভরে টাকা নিয়ে আসবে। রুজি রোজগার বৃদ্ধির আমল। দারিদ্রতা দূর করার দোয়া।

 ওজিফাটি করলে ফেরেশতা ব্যাগ ভরে টাকা নিয়ে আসবে। রুজি রোজগার বৃদ্ধির আমল। দারিদ্রতা দূর করার দোয়া।



সন্মানিত দর্শক শ্রোতা মন্ডলী আজকে মাওলানা ইউনুস পালনপুরির বয়ান থেকে ২টি ওজিফা আপনাদের সাথে শেয়ার করব

মাওলানা ইউনুস পালনপুরি, তিনি ২টি ওজিফা বয়ান করেছেন একটি হল সুরা কোরাইশ এর ওজিফা আরেকটি হল সুরা এখলাস দরুদ শরীফ ও এসতেগফারের ওজিফা। ২টি ওজিফাই রিজিক টাকা পয়সা ধন দৌলত বৃদ্ধির ওজিফা মাওলানা সাহেব সুরা কুরাইশ এর ওজিফার ব্যপারে বলেন এ ওজিফাটি কোন হাদিসে নাই, তবে ওলামায়ে কেরাম ছলফে ছালিহিন গন এই সুরা কুরাইশ এর ওজিফাটির মাধ্যমে অনেক ফায়দা পেয়েছেন। এই ওজিফাটি রুজি রোজগারে বরকতের ওজিফা। যারাই এর উপর আমল করেছেন সুফল পেয়েছেন

মাওলানা সাহেব বলেন আমি এমন এক দরিদ্র ব্যক্তিকে এই ওজিফাটি দিয়েছি, যে কোনদিন হাজার টাকার নোট গননা করেনি, কিন্তু সে সুরা কুরাইশ এর ওজিফার বরকতে বর্তমানে কোটিপতি বর্তমানে দ্রব্যমূল্যে উর্দ্ধগতির কারনে হাজারো লোক পেরেশান প্রত্যেকে এই ওজিফাটি করতে পারবেন, তবে এই ওজিফাটি কোন হাদিস গ্রন্থে নাই, বরং ছলফে ছালেহিন এর পরীক্ষিত ওজিফা এবং এটি খুবই খুবই প্রমাণিত ওজিফা। তবে ওজিফাটি করতে হবে ফরয নামাজের পর, এই ওজিফার জন্য ফরয নামাজ পড়া জরুরী

ফরয নামাজের পর ২ মিনিটের ওজিফা করে নিবেন, আল্লাহ তায়ালা আপনার কামাই ‍রুজি রোজগারে খুব বেশী বরকত দান করবেন

১) ফরয নামাজের পর এই ওজফাটি করতে হবে
২) একবার দরুদ শরীফ পড়বেন
৩) ৭ বার লিই লাফি কুরাইশ (সুরা কুরাইশ) পড়বেন

৪) সুরা কুরাইশ পড়ার সময় (আল্লাজি আতয়ামাহুম মিন জুইন ওয়া আমাহুম মিন খাওফ) এই আয়াত পড়ার সময় আপনার রুজি রোজগারের অভাবের কথা স্মরণ করবেন

৫) সবশেষে ১বার দরুদ শরীফ পড়বেন। এই ওজিফাটি যারাই পালন করেছেন তারাই হাতে হাতে ফল পেয়েছেন।

মনে রাখবেন এই ওজিফা দ্বারা তারাই উপকৃত হয়েছেন যারা ৫ ওয়াক্ত নামাজ ঠিক মত আদায় করেন, সুতরাং ফরয নামাজের পর আপনার কোন সুন্নত নামাজ থাকলে সেগুলি আগে পড়বেন যে সব মাসনুন দোয়া জিকির আছে সেগুলি করার পর আপনি সুরা কুরাইশ এর এই ওজিফাটি করবেন। এবার আসুন ২য় মুজররব ওজিফাটি জেনে নিই মাওলানা পালনপুরি বলেন, জীবনে ৩টি বিষয়ে অভ্যস্থ হয়ে যান, যদি আপনারা এই ৩টি বিষয়ে আমল করেন তাহলে কিয়ামত পর্যন্ত আপনার বংশে যারা আগমন করবে

ইনশা আল্লাহ সকলে দ্বীনদার হয়ে যাবে, সকলে মালদারও হবে, আপনার বংশে কেহ ফকির থাকবেনা।

১) ৩১৩ বার সুরা ইখলাছ পড়ার অভ্যাস করুন
২) ৩১৩ বার দরুদ শরীফ পড়ার অভ্যাস করুন
৩) ৩১৩ বার এসতেগফার পড়ার অভ্যাস করুন

এই ৩টি আমল নিয়মিত করতে হবে তবে নামাজের পাবন্দি করতে হবে, ইনশা আল্লাহ এত বেশী বরকত হবে এত বেশী দোয়া কবুল হবে এত বেশী রহমত নাজিল হবে এত বেশী ধন দৌলত আল্লাহ তায়াল দান করবেন ফেরেশতা পেটি ভরে ভরে আপনার জন্য ধন সম্পদ নিয়ে আসবে  সহি হাদিসে আছে ১০ বার সুরা এখলাস পড়ার সাথে সাথে জান্নাতে মহল তৈরী হয়ে যায়। ২০ বার পড়লে ২টি মহল, ৩০ বার পড়লে ৩টি মহল যদি ৩১৩ বার পড়েন ৩১টি মহল তৈরী হয়ে যাবে ১০৪ বার পুরা কোরআন খতম করার ছাওয়াবও আপনি পেয়ে যাবেন। আর সে মহল এমন যে মহলের ইলেকট্রিক বিলও আপনাকে দিতে হবেনা,

মাওলানা সাহেব বলেন, আমার পিতা আমাকে বলতেন বেটা ইউনুস, যদি রাতে তোমার নিদ্রা না আসে বিছানায় করট বদল করতে থাক তখন করট বদল করতে করতে জান্নাতে কয়েকটি মহল তৈরী করে নাও, অথ্যাৎ ৪০/৫০ বার সুরা ইখলাস পড়লে ৪/৫টি মহলও তৈরী হয়ে যাবে আর সাথে সাথে নিদ্রাও চলে আসবে।

আমার বাবা বলতেন আমি কোথায় পায়ে হেটে গেলে হাটতে হাটতে জান্নাতে অনেকগুলি মহল তৈরী করতে করতে হাটি, জান্নাতি মহল তৈরী করার  জন্য আমাদেরও চেষ্টা থাকা দরকার। ৩১৩ বার পড়ার রহস্যের ব্যপারে মাওলানা সাহেব বলেন এই সংখ্যার মধ্যে এত বরকত কারন এটা হল বদর যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারীদের সংখ্যা আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে এই ওজিফা করার তৌফিক দান করুন, বদরী সাহাবীদের ফয়ুজ ও বরকত আমাদেরকে দান করুন,

সুরা কুরাইশ, সুরা এখলাস, দরুদ শরীফ ও এসতেগফারের বরকত দান করুন আমিন।

সুরা কুরাইশ
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ لِإِيلَافِ قُرَيْشٍ
কোরাইশের আসক্তির কারণে,
إِيلَافِهِمْ رِحْلَةَ الشِّتَاء وَالصَّيْفِ
আসক্তির কারণে তাদের শীত ও গ্রীষ্মকালীন সফরের।

فَلْيَعْبُدُوا رَبَّ هَذَا الْبَيْتِ
অতএব তারা যেন এবাদত করে এই ঘরের পালনকর্তার
الَّذِي أَطْعَمَهُم مِّن جُوعٍ وَآمَنَهُم مِّنْ خَوْفٍ
যিনি তাদেরকে ক্ষুধায় আহার দিয়েছেন এবং যুদ্ধভীতি থেকে তাদেরকে নিরাপদ করেছেন।

সুরা ইখলাস
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ
বলুন, তিনি আল্লাহ, এক,
اللَّهُ الصَّمَدُ
আল্লাহ অমুখাপেক্ষী,

لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ
তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি
وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ
এবং তার সমতুল্য কেউ নেই।

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.