সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করছেন? দোয়াটি অবশ্যই পড়বেন।
সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করছেন? দোয়াটি অবশ্যই পড়বেন।
আজকের দোয়া ও আমলটি প্রত্যেক পিতা মাতার জন্য খুবই জরুরী, বিশেষ করে যাদের সন্তান স্কুল মাদরাসায় দিবেন বা দিয়েছেন
সকলের জন্য আজকের এই আলোচনাটি শুনা অত্যন্ত জরুরী তাই গুরুত্বের সাথে অবশ্যই শেষ পর্যন্ত শুনবেন
আলোচনাটি পছন্দ হলে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আর আপনার পরিচিতদের কাছে শেয়ার করতে অবহেলা করবেন না।
আল্লাহ তায়ালা কলম সৃষ্টি করে কলমকে বললেন যা হচ্ছে এবং কেয়ামত পর্যন্ত যা হবে তা লিখ। এরপর আল্লাহ সৃষ্টি করলেন আকল।
আল্লাহ বললেন আমার মর্যাদা ও বড়ত্বের কসম আমি যাকে ভালবাসব, তার মধ্যে তোমাকে (আকল) দান করব।
আর যার প্রতি রাগান্বিত হব, তার মধ্যে তোমাকে দেব কমিয়ে।
সুতরাং আকল বা বুদ্ধি এটা হল আল্লাহ নেয়ামত।
ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, আল্লাহ আকল সৃষ্টি করেন বলেন, পিছে ঘোরো, আকল পিছে ঘোরল, আবার বললেন সামনে ফিরো, সামনে ফিরল,
এবার আল্লাহ বললেন আমি আমার সৃষ্টির মধ্যে তোমার চেয়ে সুন্দর কিছু সৃষ্টি করিনি।
হযরত লোকমান হাকিম তাঁর ছেলেকে বলতেন, হে ছেলে, আল্লাহর পক্ষ থেকে আকল বোধ বুদ্ধি চেয়ে নাও।
কেননা মানুষের মধ্যে যে সবচেয়ে আকলমন্দ তার আমল সবচেয়ে সুন্দর। আকল ও বুদ্ধীমত্বার সাথে আমল করার চেয়ে দুনিয়াতে শ্রেষ্ঠ বলে কিছু নেই।
হযরত ওহাব ইবনে মুনাব্বেহ বর্ণনা করেন- হযরত লোকমান হাকিম তাঁর ছেলেকে বলেছিলেন হে বেটা, কোন ব্যক্তির আকল
ততক্ষন পর্যন্ত পরিপূর্ণ হয়না, যতক্ষণ পর্যন্ত না তার মাঝে ১০টি বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়
(১) অহংকার থাকবে না (২) মনের দিক থেকে নিশ্চিত সঠিক পথে থাকবে (৩) দুনিয়া থেকে শক্তি ও অভিজ্ঞতা অর্জন করবে
(৪) সম্মানের চেয়ে বিনয়টা বেশী প্রিয় হবে (৫) মিথ্যা মর্যাদা পাওয়ার চেয়ে সাময়িক অপমানই কাম্য হবে
(৬) দীর্ঘক্ষণ ফিকহের জ্ঞান অন্বেষনেও ক্লান্ত হবে না (৭) বিত্তশালীর কাছে জরুরী কিছু চাওয়াকে লঞ্চনার মনে করবে না
(৮) অন্যরা তাকে খুব চিনবে কিন্তু সে নিজেকে প্রকাশ করবে কম (৯) পৃথিবীর সকলকে তার থেকে ভালো মনে করবে (১০) প্রচুর দান করবে।
হযরত ইউসুফ ইবনে হুসাইন বলেন, আমি জুন্নুন মিসরীকে ব’লতে শুনেছি যার মধ্যে ৫টি বৈশিষ্ট্য পাওয়া যাবে, তুমি তার বুদ্ধি ও সৌভাগ্যের ব্যপারে আশাবাদী হতে পারো
যেমন (১) মধ্যম গঠন (২) চঞ্চল চিত্ত (৩) জ্ঞানের প্রাচুর্য (৪) নির্ভেজাল একত্ববাদ (৫) উত্তম জন্ম।
আপনার সন্তান যদি চঞ্চল হয় তাতে বিরক্ত হওয়ার কি আছে সেটাতো বুদ্ধিমত্বার পরিচায়ক,
সন্তানকে বুদ্ধিমান বানাতে প্রথমেই আল্লাহর একত্ববাদের শিক্ষা দিন অর্থ্যাৎ কলমা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহর শিক্ষা
হযরত মুহাসাবী বলেছেন- জীবনের আঁধার অনিশ্চিত পথে মানুষকে যে আলো পথ দেখায়, সেটাই মুলত আকল, মেধা ও বুদ্ধিমত্তা
আমরা বলি মাথায় বুদ্ধি আছে, ঘিলু আছে, ব্রেইন শার্প, এসব এ জন্যই বলি কারন আমাদের বিশ্বাস হল বুদ্ধি থাকে মাথায়।
ইমাম আহমদ ও ইমাম আজমের মতে আকলের বাড়ী হল মস্তিস্কে, ইমাম শাফেঈর মতে আকলের বাড়ী হল অন্তরে,
হযরত আলী (রাঃ) বলেছেন, মানুষের বুদ্ধিমত্বা লুকিয়ে থাকে তার জিহ্বার নিচে। এ কারণেই মানুষের বুদ্ধি পরিচয় পাওয়া যায় তার চুপ থাকা, যথাস্থানে স্বল্প কথা বলা দ্বারা।
বুদ্ধিমান প্রত্যেক কাজের শেষ পরিণতির চিন্তা করেই কদম বাড়ায়। বুদ্ধিমানরা সব সময় কথা বার্তা, চালচলন, কাজে কর্মে সকলের প্রসংশা কুড়ান। আর বোকারা দুর্নাম।
আপনার সন্তানকে অযথা মানসিক চাপ দিবেন না, তাঁদেরকে হেসে খেলে বড় হতে দিন, ৬ বছরের আগে অবুঝ শিশুটিকে স্কুলে দিবেন না,
আপনি ঘরেই আপনার সন্তানকে অ-আ, আলিফ বা- এক দুই, কয়েকটি ছড়া, ছোট ছোট সুরাগুলি, কলমা, এসব শিখান,
৭ বছর এর আগে নামাজের হকুমও দেননি কিন্তু এখন ৩ বছরের বাচ্চাটিকেও বই এর চাপে অভিবাবকরা মানসিক ভাবে বেকার বানিয়ে ফেলছে
প্রতিদিন প্রত্যেক নামাজের পর সূরা আলাম নাশরাহ পড়ে সন্তানের বুকে ফুঁ দিবে।
সূরা পাঠ করার শুরু ও শেষে একবার করে দরূদ শরিফ পড়বে। যদি শিক্ষার্থী সমঝদার হয়, তবে প্রতিবার পড়তে বসার সময়,
প্রত্যেক ক্লাসের শুরুতে, শিক্ষার প্রতিটি আসরের শুরুতে আগে-পরে দরূদ শরিফসহ এ সূরা আলামনাশরাহ পড়ে নিজের বুকে ফুঁ দিবে।
সে যদি মুখস্থ না পারে মুখে মুখে পড়াবেন, অথবা আপনি পড়ে তার বুকে ফুঁক দিয়ে দিবেন যে নিয়মিত এ আমল করবে, আল্লাহর রহমতে তার স্মৃতিশক্তি বাড়বে।
أَلَمْ نَشْرَحْ لَكَ صَدْرَكَ
আমি কি আপনার বক্ষ উম্মুক্ত করে দেইনি?
وَوَضَعْنَا عَنكَ وِزْرَكَ
আমি লাঘব করেছি আপনার বোঝা,
الَّذِي أَنقَضَ ظَهْرَكَ
যা ছিল আপনার জন্যে অতিশয় দুঃশহ
وَرَفَعْنَا لَكَ ذِكْرَكَ
আমি আপনার আলোচনাকে সমুচ্চ করেছি।
فَإِنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًا
নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে।
إِنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًا
নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে।
فَإِذَا فَرَغْتَ فَانصَبْ
অতএব, যখন অবসর পান পরিশ্রম করুন।
وَإِلَى رَبِّكَ فَارْغَبْ
এবং আপনার পালনকর্তার প্রতি মনোনিবেশ করুন।
কোন মন্তব্য নেই