১০০% গ্যারান্টি। ইমার্জেন্সি কঠিন বিপদে ৩ মিনিটের দোয়া। সমস্যা সমাধান, সফলতা লাভে আসরের নামাজের আমল।

১০০% গ্যারান্টি। ইমার্জেন্সি কঠিন বিপদে ৩ মিনিটের দোয়া। সমস্যা সমাধান, সফলতা লাভে আসরের নামাজের আমল।



আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ! প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমি এমন একটি ওজিফা আপনাদের সাথে শেয়ার করব

যে ওজিফার ফজিলত যে ওজিফার বরকত ও কারিশমা দেখে মানুষ ওজিফাটির জন্য পাগল, যুগ যুগ ধরে নারী পুরুষ 

এ আমল করে বরকত লাভ করেছে সফলতা লাভ করছে আমরাও যদি এই আমলকে আকড়ে ধরি তাহলে প্রতি কদমে কদমে সফলতা আসবে, যারাই জীবনে সফল হয়েছেন তারাই এই আমল করেই সফল হয়েছেন আমলগুলি বুঝার জন্য ওজিফাটি করার জন্য সম্পূর্ণ আলোচনাটি খুব মনযোগ দিয়ে শুনবেন ওজিফাটি ৩টি আমলের সমন্বয়ে গঠিত তাই প্রতিটি আমল সম্পর্কে ধারনা দিব তারপর ওজিফাটি বলব ওজিফাটি করলে আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি আপনার জীবনের সকল অশান্তি পেরেশানি দুর হয়ে যাবে আপনার রুজি রোজগার বৃদ্ধি পাবে, পারিবারিক অশান্তি থাকলে দুর হয়ে যাবে, ব্যবসায়িক সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে চাকরির ক্ষেত্রে কোন সমস্যা থাকলে সমাধান হবে, সকল ঋণ অভাব গায়েবী ভাবে সাহায্য এসে দুর হয়ে যাবে সন্তান, বিয়ে, টাকা পয়সা, রোগ ব্যধী সহ সব ধরনের সমস্যায় এই ওজিফাটি আপনার জন্য ইনশা আল্লাহ উপকারী হবে ওজিফাটি কতবার পড়লে কি পরিমান বরকত হবে, কোন সময় পড়বেন বিস্তারিত জানার জন্য অবশ্যই ধৈর্য্য সহকারে শুনবেন

আল্লাহ তায়ালা সুরা বাকারার ২৩৮ নং আয়াতে বলেন
حَافِظُواْ عَلَى الصَّلَوَاتِ والصَّلاَةِ الْوُسْطَى وَقُومُواْ لِلّهِ قَانِتِينَ

সমস্ত নামাযের প্রতি যত্নবান হও, বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাযের ব্যাপারেআর আল্লাহর সামনে আদবের সাথে দাঁড়াও

নাসাঈ শরীফের ৪৬৬ নং হাদিস
:‏‏‏‏ إِنَّ أَوَّلَ مَا يُحَاسَبُ بِهِ الْعَبْدُ بِصَلَاتِهِ

নবীজি বলেন কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম তাঁর বান্দা হতে নামাজের হিসাব নেয়া হবে।

 ‏‏‏‏‏‏فَإِنْ صَلَحَتْ فَقَدْ أَفْلَحَ وَأَنْجَحَ، ‏‏‏‏‏‏وَإِنْ فَسَدَتْ فَقَدْ خَابَ وَخَسِرَ
সালাত যথাযথভাবে আদায় হয়ে থাকলে সে সফল হবে ও মুক্তি পাবে। সালাত যথাযথ আদায় না হয়ে থাকলে ক্ষতিগ্রস্ত ও ধ্বংস হবে।

আবার নাসাঈ শরীফের ৪৬৭ নং হাদিসের বর্ণনা যদি কিয়ামতের দিন কারো ফরয নামাজে কিছু কম পাওয়া যায়

তখন আল্লাহ তায়ালা বলবেন
 انْظُرُوا، ‏‏‏‏‏‏هَلْ تَجِدُونَ لَهُ مِنْ تَطَوُّعٍ يُكَمِّلُ لَهُ مَا ضَيَّعَ مِنْ فَرِيضَةٍ مِنْ تَطَوُّعِهِ ؟

দেখ তার নফল সালাত কিছু আছে কি না? (যদি থাকে) এগুলোর দ্বারা ফরয সালাতের ক্ষতিপূরণ করে দেয়া হবে। তাহলে ফরয এর পাশাপাশি সুন্নত নফল এসব নামাজও প্রত্যেকের জন্য খুবই উপকারী, কিয়ামতের দিন ফরযের হিসাবে যদি কোন কমতি হয় তাহলে এসব সুন্নত ও নফল নামাজ ফরযের অপূর্ণতাকে দুর করে জান্নাতের পথকে সুগম করে দিবে। সুরা বাকারার ২৩৮ নং আয়াতে ৫ ওয়াক্ত নামাজের কথা বলার পর মধ্যম নামাজের গুরুত্ব দেয়া হয়েছে আর এ মধ্যম নামাজের দ্বারা উদ্দেশ্য হল আসরের নামাজ। যেমন বুখারীর হাদিস হযরত আলী (রা) হতে বর্ণিত খন্দকের যুদ্ধের দিন আল্লাহর নবীর সাথে ছিলাম, তখন নবীজি বদদোয়া করে বলেন তাদের ঘর ও কবরগুলি আল্লাহ আগুন দিয়ে পূর্ণ করে দিক, কারন তারা আমাদেরকে মধ্যম নামাজ থেকে বিরত রেখেছে। খন্দক যুদ্ধে কাফেরদের সাথে লড়াই করতে করতে আসরের নামাজের সময় চলে গেল, সূর্য ডুবার পর আসরের নামাজ পড়তে হয়েছে তাই এত মূল্যবান নামাজ সময়মত পড়তে না পারায় নবীজি কাফের মুশরিক যারা খন্দকের যুদ্ধে এসেছে তাদের জন্য বদদোয়া করে বললেন আল্লাহ তাদের ঘর ও কবরসমুহ আগুন দিয়ে ভরিয়ে দিক। আল্লাহ আসরের নামাজের এত গুরুত্ব কেন দিয়েছেন? কারন সে সময়টি বাজারের সময়, খেলাধুলার সময়,

সে জন্য আসরের নামাজের প্রতি আল্লাহ এত বেশী গুরুত্ব দিয়েছেন। বুখারী শরীফের ৫৫২ নং হাদিস আরো মারাত্মক

الَّذِي تَفُوتُهُ صَلاَةُ الْعَصْرِ كَأَنَّمَا وُتِرَ أَهْلَهُ وَمَالَهُ
যদি কোন ব্যক্তির আসরের সালাত ছুটে যায়, তাহলে যেন পরিবার-পরিজন ও মাল-সম্পদ সব কিছুই ধ্বংস হয়ে গেল।  দেখুন আসরের নামাজ আমাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ আসরের নামাজ ছুটে গেল মানে পরিবার, পরিজন,

ধন সম্পদ সব কিছু ধ্বংস হয়ে গেল।

তাহলে একদিন যদি ইচ্ছাকৃত আসর নামাজ ছেড়ে দেন বুঝতে হবে আপনার সম্পদ থাকা আর না থাকা বরাবর হয়ে গেছে আপনার পরিবার পরিজন থাকা না থাকা বরাবর হয়ে গেছে কারন আপনি আসরের নামাজ ছেড়ে দিয়েছেন। আল্লাহ আমাকে ও আপনাদেরকে ৫ ওয়াক্ত নামাজ বিশেষ করে আসরের নামাজ গুরুত্বসহকারে আদায় করার তৌফিক দান করুন বুখারীর ৫৫৩ নং হাদিসে আছে নবীজি বলেন
مَنْ تَرَكَ صَلاَةَ الْعَصْرِ فَقَدْ حَبِطَ عَمَلُهُ.

যে ব্যক্তি আসরের সালাত ছেড়ে দেয় তার আমল বিনষ্ট হয়ে যায়।

বুখারীর ৫৭৪ নং হাদিসের বর্ণনা নবীজি বলেন
مَنْ صَلَّى الْبَرْدَيْنِ دَخَلَ الْجَنَّةَ

যে ব্যক্তি দুই শীতের (ফজর ও আসরের) সালাত আদায় করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। এ হাদীসে আসরের ও ফজরের নামাজের গুরুত্ব বুঝা যায়।

আবার সুরা বাকারার ১৫৩ নং আয়াতে আছে
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ اسْتَعِينُواْ بِالصَّبْرِ وَالصَّلاَةِ إِنَّ اللّهَ مَعَ الصَّابِرِينَ

হে মুমিন গন! তোমরা ধৈর্য্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চিতই আল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের সাথে রয়েছেন।

ছবর এমন এক এবাদত যার জন্য অযুর প্রয়োজন নাই। কিন্তু নামাজ পড়তে অযু লাগে। অজু ছাড়া নামাজ পড়া যায়না

অনেক বিপদ আসে ইমার্জেন্সি, কারো অপারেশন হচ্ছে, রাস্তায় কোন দুর্ঘটনা হয়ে গেল, তখন নামাজ পড়ার সুযোগ থাকেনা এমন ধরনের পরিস্থিতিতে ধৈর্য্য ধারন করা হল বড় আমল আর মাথা ঠান্ডা রেখে আল্লাহকে ডাকতে হবে।

ধৈর্য্যের সাথে সে মুহুর্তে ১১ বার দরুদ শরীফ পড়বেন, ১১ বার সুরা ইখলাস পড়বেন, ১১ বার কলমা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ পড়বেন, আবার ১১ বার দরুদ শরীফ পড়বেন তারপর এই ওজিফার সাওয়াব নবী করিম (দ) তামাম আম্বিয়া কেরাম, সাহাবায়ে কেরাম, আউলিয়া কেরাম, সমস্ত মুমিনিন মুমিনাত এর রুহে বকশিশ করে দিবেন। তারপর নিজের মসিবত সমুহ থেকে পরিত্রানের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন।

আপনি যখন এত বড় জামাতের জন্য ছাওয়াব রেছানি করবেন আর সকলের রুহানি ফয়েজ যখন আপনার দিকে আসবে তখন তার বরকতে মুহুর্তেই আপনার অবস্থার উন্নতি হতে আপনি নিজ চোখে দেখতে পাবেন। এটা ৩ মিনিটের আমল। জিবনে যখনই কোন পেরেশানি আসবে ছবর করবেন আর সে সময় অজু না থাকলেও এই আমলটি করবেন

কারো অপারেশন হচ্ছে, আপনি অপারেশন থিয়েটারের বাহিরে দাঁড়িয়ে বেহুদা কথাবার্তা না বলে ১১ বার দরুদ, ১১ বার সুরা ইখলাস, ১১ বার প্রথম কলমা ১১ বার দরুদ পড়ে তামাম মুমিনিনদের উপর ইছালে ছাওয়াব করবেন। যতক্ষণ সময় পাবেন এই আমলটি বার বার করতে থাকবেন আল্লাহর এমন সাহায্য আসবে আপনি ধারনা করতে পারেননা। আর এ ধরনের আমল ওজিফা কবুল হওয়ার জন্য নিজেকে গঠন করতে হবে  আর সেটা হল ৫ ওয়াক্ত নামাজ বিশেষ করে আসরের নামাজ গুরুত্বসহকারে সব সময় পড়তে হবে ইচ্চাকৃত কখনো আসরের নামাজ ত্যাগ করা যাবেনা, নাহয় নবীজির ভাষায় আপনার পরিবার পরিজন ধন সম্পদ সবই যেন ধ্বংসপ্রাপ্ত হল।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের ৫ ওয়াক্ত নামাজ, ধৈর্য্য, মধ্যবর্তী নামাজ ও সুরা ইখলাসের ওজিফা করার তৌফিক দান করুন আমিন

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.