৩৬৫ দিনের দরকারি আমল। ৭ প্রজন্মের ভাগ্য বদলে যাবে সুরা হুদের ওজিফাটি করুন।
৩৬৫ দিনের দরকারি আমল। ৭ প্রজন্মের ভাগ্য বদলে যাবে সুরা হুদের ওজিফাটি করুন।
আসসালামু আলাইকুম
ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহ, সম্মানিত
দর্শক শ্রোতা কেমন আছেন সবাই?
আশা করি আল্লাহ তায়ালার অশেষ
রহমতে সকলে সুস্থ আছেন এবং ভালো আছেন। সম্মানিত উপস্থিতি আজকে এমন ১টি আমল শিখব,
যে আমলের মাধ্যমে আপনি যদি
আল্লাহ তায়ালার কাছে কোন কিছু চান, তাহলে
ইনশা আল্লাহ আল্লাহ তায়ালা আপনার মনের সকল নেক ইচ্ছাগুলো নেক চাহিদাগুলো পুরণ করে
দিবেন।
শুধুমাত্র আমাদেরকে ধৈর্য্যধরে
সে আমলটুকু করতে হবে। এটি হল সুখের দুয়ারের চাবি, সুস্থতা ও হায়াতের দুয়ারের চাবি, রিজিকের
দুয়ারের চাবি
আমলটি
কখন করবেন কিভাবে করবেন বিস্তারিত জানাব। যে সমস্ত ভাই বোনদের দোয়া কবুল হচ্ছেনা, যারা তাদের কাংখিত ফলাফল না পাওয়ার কারনে হতাশ হয়ে যাচ্ছেন,
তাদের জন্য আজকের এই ভিডিওটি
খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভিডিও।আমাদের অনেক ভাই বোনের বিয়ে হচ্ছেনা, অনেকেই বিপদে আছেন,
অনেকেই অভাব অনটনে আছেন, অনেকেরই অনেক রকম চাওয়া পাওয়া থাকে, সে
জন্য আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আমল করে থাকি,
কিন্তু দেখা যায় যখনই সে আমলের
মাধ্যমে আমরা আমাদের সে কাংখিত ফলাফলটি পাইনা, তখন আমরা হতাশ হয়ে যাই,
এবং আমল করা ছেড়ে দেই, যা করা আমাদের কখনো উচিত নয়, এ সম্পর্কে
একটি হাদিসে এসেছে রাসুলুল্লাহ (দ) বলেছেন
বান্দার দোয়া আল্লাহ তায়ালা সব
সময় কবুল করে থাকেন। যদিনা সে তাড়াহুড়া করে।তখন উপস্থিত সাহাবাগণ বললেন এয়া রাসুলাল্লাহ তাড়াহুড়া কি?
তখন রাসুলুল্লাহ (দ) বলেন – বান্দা
বলে আমি দোয়া করেছি, কত দোয়া করেছি, কিন্তু
আমার দোয়া হয়ত আল্লাহ আর কবুল করবেনা।
এই বলে সে দোয়া করা ছেড়ে দেয়।আর এটিই হচ্ছে
তাড়াহুড়া। এখান থেকে আমরা
বুঝতে পারলাম যে, যদি আমরা তাড়াহুড়া করি,
তাহলে আমাদের দোয়া কবুল হওয়ার
ধারা বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের মাঝে অনেকরই এই স্বভাবটি রয়েছে, এই হাদিসের সাথে মিলে যায়,
অনেকেই আমরা দু একবার দোয়া করে
দোয়া করা ছেড়ে দেই।এবং আমাদের মাঝে একটা মনোভাব তৈরী হয় যে আমার দোয়া হয়ত আল্লাহ আর কবুল করবেনা।
অনেকে আবার তাদের কাংখিত ফলাফলটি
তাদের আমলের মাধ্যমে না পেলে তারা বলে থাকে এই আমলের মধ্যে আমিতো কিছু পেলামনা।
এই মনোভাব অনেকের মাঝেই আছে। আসলে এটি হচ্ছে
শয়তানের ধোকা।মনে রাখবেন বান্দার সব দোয়া আল্লাহ কবুল করেন তবে এর ফল দেন আপনার মনের অবস্থা
দেখে,
আপনার ধৈর্য্য দেখে এবং যে
জিনিষটা আপনি চেয়েছেন সেটি আপনার জন্য যখন উপযুক্ত হবে তখন।
সে জন্য দোয়া করতে হবে নিয়মিত
ধৈর্য্যের সাথে। নিরাশ হওয়া যাবেনা। আল্লাহ তায়ালা নিজেই বলেছেন বান্দার খালি হাত ফিরিয়ে দিতে
আমি লজ্জাবোধ করি।
তাহলে কেন ভাবছেন আপনার দোয়া
কবুল হচ্ছেনা। আপনি আপনার কংখিত জিনিষটি পাবেননা।
যখন আপনি আপনার কাংখিত জিনিষটি
পাচ্ছেননা তখন নিজের নফসকে বুঝাবেন এই জিনিষটা আমার জন্য উপযুক্ত না।
যদি আমার জন্য উপযুক্ত হত তাহলে
আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই আমাকে তা দিত।শয়তান আমাদেরকে ধোকা দিবে আমাদেরকে দোয়া থেকে ফিরিয়ে রাখতে
চাইবে,
তাই শয়তানের ধোকায় পড়ে আমাদেরকে
আমল করা দোয়া করা ছেড়ে দেয়া যাবেনা। আমাদেরকে ধৈর্য্য সহকারে আমল করতে হবে এবং শয়তানের সাথে
যুদ্ধ করতে হবে।
যদি আমরা আল্লাহকে যথাযথ ডাকতে
পারি তাহলে আল্লাহ আমাদেরকে সব দিবেন, আমি
যদি বলি রব্বুল আলামিন আমি যদি
তওবা করি, আমি যদি এসতেগফার করি আপনি আমাকে কি দিবেন? রব্বুল আলামিন বলেন যদি তুমি
তওবা কর এসতেগফার কর তাহলে
সুন্দর সুন্দর উপকরন দিয়ে আমি
তোমার জীবনকে সাজিয়ে দিব। যেমন সুরা হুদের ৩ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন
وَأَنِ اسْتَغْفِرُواْ
رَبَّكُمْ
ثُمَّ
تُوبُواْ
إِلَيْهِ
يُمَتِّعْكُم
مَّتَاعًا
حَسَنًا
إِلَى
أَجَلٍ
مُّسَمًّى
وَيُؤْتِ
كُلَّ
ذِي
فَضْلٍ
فَضْلَهُ
আর তোমরা নিজেদের পালনকর্তা
সমীপে ক্ষমা প্রার্থনা কর। অনন্তর তাঁরই প্রতি মনোনিবেশ কর। তাহলে তিনি তোমাদেরকে
নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত উৎকৃষ্ট জীবনোপকরণ দান করবেন এবং অধিক আমলকারীকে বেশী করে
দেবেন
এক কথায়
ইস্তেগফার করো, তোমার দুনিয়ার জীবনে যখন যা লাগবে তখন তাই দিব।
(সুবহানাল্লাহ)।
ইস্তেগফার করোঃ সুস্থতার এক জীবন দিয়ে দিব।
ইস্তেগফার করোঃ অভাবমুক্ত এক জীবন দিয়ে দিব।
ইস্তেগফার করোঃ বিয়ে করো নাই, সুন্দর এক বিয়ের ব্যবস্থা করে দিব।
ইস্তেগফার করোঃ বিয়ে করেছো, সন্তান হয় নাই, তোমাকে সুসন্তানের ব্যবস্থা করে দিব।
ইস্তেগফার করোঃ গরুর ফার্ম করেছে, গরুর ফার্মে বরকত দিয়ে দিব।
ইস্তেগফার করোঃ মুরগীর খামার
করেছো, মুরগীর খামারে বরকত
দিয়ে দিব।
ইস্তেগফার করোঃ মাছের খামার করেছো, মাছের খামারে বরকত দিয়ে দিব।
ইস্তেগফার করো: ছেলেটাকে বিদেশ
পাঠিয়েছো, ওখানে ছেলেটার
হায়াতে আমি বরকত দিয়ে দিব।
ইস্তেগফার করোঃ মেয়েটাকে বিয়ে দিয়েছো, ওখানে সুখের ব্যবস্থা করে দিব।
ইস্তেগফার করোঃ মেয়েটার সন্তান
হয় না, তুমি ইস্তেগফার
বাড়াও, মেয়েটাকে সন্তান
দিয়ে দিব।
ইস্তেগফার পড়োঃ তোমার ব্যবসায় আমি বরকত দিয়ে দিব।
ইস্তেগফার করোঃ তোমার
চাকরি-বাকরিতে আমি বরকত দিয়ে দিব।
ইস্তেগফার করোঃ তোমার সন্তানগুলোকে শিক্ষিত করে দিব।
ইস্তেগফার করোঃ তোমার সন্তানদের
চাকরির ব্যবস্থা করে দিব।
ইস্তেগফার করোঃ তোমার প্রজন্মের ৭ সিঁড়ি পর্যন্ত ইজ্জতের জিন্দেগী দিয়ে দিব।
‘ওয়া আনিছ তাগফিরু
রাব্বাকুম, সুম্মা তু-বু ইলাইহি’
ইস্তেগফার সুখের দুয়ারের চাবি-ইস্তেগফার শান্তির দুয়ারের চাবি। ইস্তেগফার:
সুস্থতা-হায়াতের চাবি।
আস্তাগফিরুল্লাহ অর্থ: আল্লাহ
পেছনে যেগুলো করেছি এর জন্য মাফ চাই।
‘ওয়া আতুবু ইলাহি’ অর্থ: আল্লাহ আগামী জীবনে আর গোনাহ করবো না।
এই একটি আমল সব সময় করতে থাকুন
ইনশা আল্লাহ আল্লাহ আপনার জীবনের সব কিছু সুন্দর সুন্দর উপকরন দিয়ে ভরে দিবেন এটাই
সুরা হুদে আল্লাহর ওয়াদা
কোন মন্তব্য নেই