দৈনিক ১০০০ বার ছোট্ট দরুদটি পড়ার মুজেজা। দুরুদ শরীফের ফজিলত
দৈনিক ১০০০ বার ছোট্ট দরুদটি পড়ার মুজেজা। দুরুদ শরীফের ফজিলত
যদি
কেহ নিয়মিতভাবে দরুদ শরীফ পাঠ করে। যেমন কোন ব্যক্তি যদি দৈনিক ১০০০ বার দরুদ শরীফ
পাঠ করে। মাত্র ১০০০ বার। অনেকের কাছে মনে হচ্ছে যে ১০০০ বার অনেক বড় সংখ্যা।
কিন্তু কোন ব্যক্তি যদি এই আমলটা করতে পারে তার যে কি হবে? এটা আমি পরীক্ষিত একটা আমলের কথা বলছি তাদের যত জটিল কঠিন সমস্যা হউক যত
আর্থিক সমস্যা হউক, ব্যবসার সমস্যা হউক, ঋণের সমস্যা হউক সন্তানের সমস্যা, বিয়ে শাদির সমস্যা
হউক, শত্রুর সমস্যা হউক
বেকারত্বের
সমস্যা হউক, পড়ালেখা, স্মরণশক্তি,
পারিবারিক অশান্তি, মামলা মোকাদ্দমার সমস্যা
হউক, শারিরিক মানসিক অসুস্থতার সমস্যা হউক ইনশা আল্লাহ
সমাধান হয়ে যাবে
সব
শেষে ৭টি অত্যন্ত মূল্যবান দরুদ শরীফ ফজিলত সহ তুলে ধরব ইনশ আল্লাহ
এক মাওলানা সাহেব বলেন ২০১৮ সালে আমার একটা জিনিষের খুব বেশী প্রয়োজন ছিলো। এবং এটা এমন একটা সময়ে প্রয়োজন, ঐ সময়ে সেটা পাওয়ারআর কোন সম্ভাবনা নাই।
একটা আশা ছিল যে আমলটা করতে থাকি দেখি আল্লাহ এর দ্বারা কোন ফলাফল দেয় কিনা? দৈনিক ফজরের নামাজের পর ১০০০ বার দরুদ শরীফের আমল করেছিলাম। বেশিক্ষণ সময় লাগেনা। একটা ছোট্ট দরুদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
যদি আমরা আমল করি এটা একটা দুরুদ, এটা যদি কোন
ব্যক্তি ১০০০ বার পড়ে তাহলে তার সর্বোচ্চ 20-25 মিনিট সময়
লাগে। আমার ২৫ মিনিট লাগত। প্রতিদিন ফজরের নামাজের পর এই আমলটি করা শুরু করলাম।
শুরু করার পর আল্লাহর উপর ভরসা করে গেলাম, যাওয়ার পর আল্লাহ
তায়ালা এত সহজে ঐ জিনিষটা আমাকে দান করছেন, এটা আমি কল্পনাও
করতে পারিনাই। এত সহজে দান করেছেন।
অথচ ঐটার জন্য অনেক প্রতিযোগিতা হয়, অনেক কিছু হয়। পরে আমি চিন্তা করলাম আল্লাহ তায়ালা এত সহজে এটাকে দান করলেন? তখন আমার মন সাক্ষ্য দিল প্রতিদিনের ১০০০ বার দরুদ শরীফের আমলটা হয়ত আল্লাহ তায়ালার পছন্দ হয়েছে এটা হয়ত আল্লাহ তায়ালা কবুল করেছেন সে জন্য যারা এই দরুদ শরীফের আমলকে অভ্যাসে পরিণত করবে মনে রাখবেন মৃত্যুর সময় কলমা নসিব হওয়া অনেক কঠিন একটা বিষয় আমাদের কাছে এটা সহজ মনে হতে পারে। কিন্তু মৃত্যু পথযাত্রী যারা মৃত্যুর সম্মুখিন যারা হয়েছেন, একমাত্র তারা বলতে পারবে যে মৃত্যু যন্ত্রনাটা কতটা কঠিন।
হাদিসের মধ্যে আসছে যখন একজন ব্যক্তির কাছে মালাকুল মওত চলে আসে, ঠিক তখন শয়তানের
একটা টিম চলে আসে আপনাকে যদি শেষ মুহুর্তে ঈমানহারা করতে পারে তাহলে
শয়তান সাকসেস
তখন
শয়তান মুমুর্ষ লোকটিকে বিভিন্ন যুক্তি দেয়, বিভিন্ন কথা
স্মরণ করিয়ে দেয় ঈমানহনন করার জন্য শয়তান যত ধরনের অপকৌশল আছে সব সে প্রয়োগ করে তখন
একেতো চলে মৃত্যু যন্ত্রণা তার সাথে সাথে চলে শয়তানের ওয়াসওয়াসা এই দুইটা
যন্ত্রনার মধ্যে একজন মুমিনের ঈমান ধরে রাখাটা খুব কঠিন
এখন কেহ যদি নিয়ত করে হে আল্লাহ আমি প্রতিদিন ১০০০ বার দরুদ শরীফের আমলটি করব তুমি আমাকে মৃত্যুর সময় ঈমানের হালতে মৃত্যু নসিব করিও। যদি এই নিয়তে কোন ব্যক্তি দরুদ শরীফের এই আমলটি করতে পারে আমি আশাবাদি সে ঈমান নিয়ে দুনিয়া থেকে যেতে পারবে।
আপনি বসে বসে পড়তে হবে কথা নাই, আপনি প্রতিদিন ৫ ওয়াক্তে যে মসজিদে যান মসজিদে যাওয়ার সময় ১০০ বার পড়বেন আসার সময় ১০০ বার পড়বেন তাহলে ৫ ওয়াক্তে ১০০০ বারঅনায়াসে হয়ে যাবে।
যারা অফিস আদালতে যান, যাত্রাপথে গাড়িতে বসে বসে পাশের ব্যক্তির সাথে কথা না বলে যদি ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পড়েন ২০ মিনিটে ১০০০ বার হয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ
আর যারা নামাজের পরে পড়তে চান তারা প্রতিওয়াক্তে ৫ মিনিট সময় নিত পারেন ৫-৭ মিনিটে ২০০ বার হয়ে যাবে, এভাবে ৫ ওয়াক্তে ১০০০ বার হয়ে যাবেতেমনি ভাবে যারা বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত তারাও এই আমলটা করে দেখেনএটা পরীক্ষিত আমল, অনেকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় জর্জরিতনিয়ত করুন হে আল্লাহ আমাকে এই সমস্যা থেকে মুক্তি দান করুন আমি প্রতিদিন
১০০০
বার করে দরুদ শরীফ পাঠ করবআমলটা করে দেখেন যদি না হয়
তারপর আমাকে বলবেন।
অনেক বুযুর্গানে দ্বীন এই ১০০০ বার দরুদ এর আমলটি করেছেন তারা জটিল ও কঠিন সমস্যায় আল্লাহর সাহায্য পেয়েছেন এবং তারা বিভিন্ন ধরনের নেয়ামত হাসিল করতে পেরেছেন।
সে জন্য আমরা এই মাসকে কেন্দ্র করে এ আমলটি শুরু করব আল্লাহ আমাদের সকলকে
তৌফিক দান করুন আমিন।
এবার ৭টি অত্যন্ত ফজিলতমন্ডিত সহজ দরুদ শরীফ নোট করে রাখুন
কোন মন্তব্য নেই