৩০০ হাজার কোটি থেকে ভারী দোয়া। ফজরের নামাজের পর দোয়া ৩ বার পড়ুন
৩০০ হাজার কোটি থেকে ভারী দোয়া ফজরের নামাজের পর ৩ সেকেন্ডের সবচেয়ে ভারী দোয়া
أَعُوذُ
بِٱللَّٰهِ
مِنَ ٱلشَّيْطَانِ
ٱلرَّجِيمِ
بِسْمِ
ٱللَّٰهِ
ٱلرَّحْمَٰنِ
ٱلرَّحِيمِ
প্রিয় দ্বিনদার ঈমানদার পরহেযগার
মুত্তাকি মুমিন মুসলমান দর্শক শ্রোতা, আশা করি মহান রাব্বুল আলামিনের
অশেষ রহমতে আপনারা সবাই ভালো আছেন।
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নাই, হযরত মুহাম্মদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও তার রাসুল।
প্রিয় দর্শক ফজরের নামাজের পর মাত্র ৩ সেকেন্ডে যে দোয়াটি পড়ে আপনি হাজার
হাজার কোটি, মিলিয়ন বিলিয়ন নেকি
লাভ করতে পারবেন,
দোয়াটির ওজন এত বেশী যা দুনিয়া এবং দুনিয়ার মধ্যে যা আছে, জমিনে যা আছে, সাগর মহাসাগরে যা আছে,
৭ আসমানে যা আছে সবকিছু থেকে ভারি
এত পাওয়ারফুর দোয়া আপনি আর খোঁজে পাবেননা। এ দোয়াটি যার জানা আছে যে সকালে
কয়েক সেকেন্ড সময় ব্যায় করে দোয়াটি পাঠ করল তার আর কোন চিন্তা নাই
দোয়াটি কেন এত স্পেশাল তা বুঝার জন্য অবশ্যই শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ আলোচনাটি
শুনবেন তাহলে বুঝতে পারবেন।
আল্লাহ যত মাখলুক সৃষ্টি করেছেন তার মধ্য থেকে যদি আমরা শুধুমাত্র তারকার কথাই বলি এই
তারাগুলির যদি এক একটি নাম রাখা হয়
এবং কেহ যদি এই নাম গুলি গননা করে তাহলে গননা শেষ করতে বিশেষজ্ঞগণের মতে ৩শত হাজার কোটি বছর লাগবে।
এবার চিন্তা করে দেখুন আল্লাহর একটি মাত্র সৃষ্টি তারার সংখ্যা কত হবে। তারার
সংখ্যা চিন্তা করার পর
আসমান জমিন ও সমুদ্রের মধ্যে আল্লাহর সৃষ্টির পরিমান কত হবে একবার চিন্তা করে
দেখুন,
এখন আপনি যদি তসবিহতে গুনে গুনে বা আংগুলের কড়াই গুনে গুনে জিকির করেন
তাহলে সারাদিনে মিলে কতবার সুবহানাল্লাহ সুবহানাল্লাহ জিকিরটি করতে পারবেন?
ধরুন সারাদিনে আপনি ১ লক্ষবার জিকির করতে পারবেন, কিন্তু যদি আপনি বলেন
(সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি আদাদা খালকিহি) অর্থ্যাৎ আমি আল্লাহর প্রসংশা
পবিত্রতা ঘোষণা করছি তার অগণিত সৃষ্টির সমান,
আর আল্লাহর সৃষ্টির সংখ্যা কত? আল্লাহ নিজেই বলেন (ওয়া ইন তাউদ্দু নেমাতাল্লাহি লা
তুহসুহা)
তোমরা আল্লাহর নেয়ামত গননা করে শেষ করতে পারবেনা। যেখানে শুধু তারকারাজি গুনতে
৩শত হাজার কোটি বছর লাগবে সেখানে সকল সৃষ্টি সংখ্যা কত হবে একবার চিন্তা করুন,
আর আপনি তত পরিমাণ সংখ্যক আল্লাহর জিকির করে ফেললেন শুধু ১ সেকেন্ডে
এটা বলে যে (সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি আদাদা খালকিহি)
অর্থ্যাৎ আমি আল্লাহর প্রসংশা পবিত্রতা ঘোষণা করছি তার অগণিত সৃষ্টির সমান,
(ওয়া রেদা নাফসিহি) অর্থ্যাৎ সে মহান জাতে পাকের আরো প্রসংশা করছি যাতে সে
মহান জাত সন্তুষ্ট হয়ে যান।
এরপর বলছেন (ওয়াজিনাতা আরশিহি) তার আরশের ওযনের সমপরিমাণ,
এবার বলুন আরশের ওযন কতটুকু? কেউকি আছে? কোন শক্তি কি আছে? আরশের ওযন পরিমাপ করার? সম্ভব নয়।
(ওয়া মিদাদা কালিমাতিহি) তার কলমার কালির সংখ্যার পরিমাণ।
আর আল্লাহর কলমা লিখতে কতটুকু কালির দারকার? তা জানতে হলে সুরা কাহাফে আপনি
উত্তর খুঁজে পাবেন,
আল্লাহ তায়ালা ফরমান (লাউ কানাল বাহরু মিদাদান লিকালিমাতি রাব্বি) (লানাফিদাল
বাহরু কাবলা আন তান ফাদা কালিমাতু রাব্বি)
আমার প্রতিপালকের কথা লেখার জন্য যদি সাগর কালি হয়ে যায়, তবে আমার প্রতিপালকের কথা শেষ
হওয়ার আগেই সাগর নিঃশেষ হয়ে যাবে,
এবার চিন্তা করুন, ৪ কলমার দোয়ার দ্বারা- আল্লাহর প্রসংশা ও পবিত্রতা ঘোষনা
হবে তার অগণিত সৃষ্টির সমপরিমাণ,
এমন প্রসংশা যাতে আল্লাহ সন্তুষ্ট হয়ে যান, এমন প্রসংশা যার ওজন হবে আরশের
ওযনের সমপরিমান,
এমন প্রসংশা যার পরিমাণ হবে আল্লাহর কলমার কালির সংখ্যার পরিমনা, আর আল্লাহর কলমা লিখতে কালি কতটুকু
লাগবে?
আল্লাহ বলছেন সমুদ্রের সব কালি যদি কালি হয় তবুও আল্লাহর কথা লেখা শেষ হবেনা।
সুবহানাল্লাহ
এমন একটি দামী দোয়া আল্লাহর প্রিয় হাবিব (দ) হযরত জুয়াইরিয়া (রা) কে শিখিয়েছেন,
হাদিসটি হল মুসলিম শরিফের ৬৬৬৫ নং হাদিস
জুওয়ায়রিয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম ভোরে তাঁর নিকট থেকে বের হলেন
যখন তিনি ফজরের সালাত আদায় করলেন তখন তিনি সালাতের জায়গায় ছিলেন।
এরপর তিনি দুহা’র বা চাশতের পরে ঘরে ফিরে এলেন। তখনও জুয়াইরিয়া বসেছিলেন।
নবীজি বললেন, আমি তোমাকে যে অবস্থায় রেখে
গিয়েছিলাম তুমি সেই অবস্থায়ই আছ।
তিনি বললেন, হ্যাঁ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমি তোমার নিকট থেকে
যাওয়ার পর চারটি কালেমা তিনবার পাঠ করেছি। আর তুমি এই দীর্ঘক্ষণ যা যা জিকির করেছ
তার সাথে ওযন করলে আমার এই কালেমা চারটির
ওযনই বেশী হবে। কালেমাগুলো এই-
سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ عَدَدَ خَلْقِهِ وَرِضَا نَفْسِهِ وَزِنَةَ عَرْشِهِ وَمِدَادَ كَلِمَاتِهِ
(সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি আদাদা খালকিহি ওয়ারিদা নাফসিহি ওয়াজিনাতা আরশিহি
ওয়া মিদাদা কালিমাতিহি)
আমি আল্লাহর সপ্রশংস পবিত্রতা জ্ঞাপন করছি তার অগণিত সৃষ্টির সমান, তার সন্তুষ্টি, তার আরশের ওযনের পরিমাণ ও তার
কালেমার (কালির) সংখ্যার পরিমাণ।"
আমরাও প্রতিদিন সকালে শুধু কয়েক সেকেন্ডে ৩ বার যদি এই দোয়াটি পাঠ করি তাহলে
আমরাও হাজার হাজার কোটি বার আল্লাহর জিকির করার নেকী অজন করতে পারব।
কোন মন্তব্য নেই