যে আমলটির জন্য মহানবী (দ) কাঁদতেন নবী শিশুকাল থেকেই যে আমলটিকে খুব ভালোবাসতেন

 যে আমলটির জন্য মহানবী () কাঁদতেন



আজকের আলোচনা থেকে জানতে পারবেন আমাদের প্রিয় নবী শিশুকাল থেকেই যে আমলটিকে খুব ভালোবাসতেন, মা হালিমা বলেন এ আমলটির জন্য শিশু মুহাম্মদ খুব কান্না করতেন, এবং আজ আরো জানতে পারবেন হযরত ইবরাহিম () এর সাথে আমাদের প্রিয় নবীর আশ্চর্য্য ৭টি মিল এবং সবশেষে জানতে পারবেন হযরত ইবরাহিম () এর ১০টি এমন সুন্নত যা কিয়ামত পর্যন্ত জারি থাকবে, আশা করি আজকের আলোচনাটি আপনাদের পছন্দ হবে, বিশেষ করে প্রিয় নবীর সে আমলটি যেটির জন্য তিনি শিশুকাল থেকেই কান্না করতেন-

এমনটি তিনি সে আমলকে হেফাজত করতে একবার বেহুশ হয়ে গেছেন, কি সে আমল আজ জানতে পারবেন

আসুন মুল আলোচনা শুরু করি

প্রথমে বলব হযরত ইবরাহিমের সাথে আমাদের প্রিয় নবীর ৭টি আশ্চর্য্য মিল সম্পর্কে

) চেহেরায় মিল- মেরাজ থেকে এসে নবীজি বলেন আমি বিভিন্ন আসমানে নবীদের সাথে সাক্ষাৎ করেছি, এবং নবীদের শারিরিক গঠন ও চেহেরার সৌন্দর্য্যও নবীজি বয়ান করেন আর হযরত ইবরাহিম () এর ব্যপারে বলেন ইবরাহিম () এর কে দেখতে চাইলে আমাকে দেখ, কারন তাঁর ও আমার চেহেরা হুবহু মিল

) চরিত্রে মিল- দুই নবীর ক্ষেত্রে উসয়ায়ে হাসানা কুরানে ব্যবহার করা হয়েছে- যেমন আমাদের নবীর ব্যপারে এরশাদ হয়েছে (লাকাদ কানা লাকুম ফি রাসুলিল্লাহি ওসওয়াতুন হাসানা)আর ইবরাহিম () এর ব্যপারে এরশাদ হয়েছে (কাদ কানাত লাকুম উসওয়াতুন হাসানাতুন ফি ইবরাহিম) অর্থ্যাৎ নবী () এর জীবনে যেমন উত্তম আদশ ইবরাহিম () এর জীবনীতেও আছে আমাদের জন্য উত্তম আদর্শ।

) শ্রেষ্ঠ নবী হিসেবে মিল- আল্লাহ আমাদের নবীকেও উলুল আযম নবী বলেছেন, ইবরাহিম () কেও উলুল আযম নবী বলেছেনউলুল আযম পয়গাম্বার মোট ৫ জন (নুহ, ইবরাহিম, মুসা, ঈসা, মুহাম্মাদ ())

) কাবা নির্মাণে মিল: ইবরাহিম () ও কাবা নির্মান করেছেন আমাদের নবীজিও কাবা ঘরকে নির্মাণ করেছেন আমাদের নবী যখন ১০ বছর তখন কাবা পূননির্মাণ হয়, সে বয়সের সব ছেলেগুলি লুঙ্গি খুলে কাঁধে লুঙ্গি দিয়ে তার উপর পাথর রেখে তা কাবা নির্মাণে নিয়ে আসছিল, যাতে ব্যাথা না পায়, কিন্তু আমাদের নবী পাথর টানলেও লুঙ্গি খুলেন না, আমার নবী ছোটকাল থেকেই লাজুক ছিলেন, দুধ মাতা হালিমা বলেন- আমার সন্তান মুহাম্মদকে আমি ছোট বেলায় কাঁদতে দেখি নাই শুধু লজ্জা স্থান থেকে কাপড় সড়ে গেলেই কেঁদে উঠত চাঁচা আবু তালেব দেখেন নবীজি খালি গায়ে পাথর টানেন, তিনি গিয়ে বলেন মুহাম্মদ লুঙ্গি খুলে কাঁধে রেখে পাথর টান না হয় তুমি ব্যাথা পাবে, কিন্তু মুহাম্মদ () বলে না আমি ব্যাথা পাবনা, আমি লুঙ্গি খুলবনা, তখন চাচা লুঙ্গি ধরে টান দিয়ে লুঙ্গি খুলতে চাইলে মুহাম্মদ () বেহুশ হয়ে যায়সুবহানাল্লাহ লুঙ্গি খোলা আর হয় নাই আর বিশ্ব নবীর লজ্জাস্থানও কেহ দেখে নাই দেখুন এটাই ছিল প্রিয় নবী শিশুকালের লজ্জাশিলতার আমল

আমার নবী এরশাদ করেছেন (হায়া শরম হল ঈমানের একটি অংশ) আর সে হায়া শরমের আটলান্টিক মহাসগর হলেন আমাদের প্রিয় নবী কিন্তু আফসুসের বিষয় হল আজকাল আমরা সে নবীর উম্মত হয়ে লজ্জা শরম ভুলে গেছি, এটা যে আমাদের ঈমানের অংশ তাও ভুলে গেছি

) মহানবী ও ইবরাহিম (আ) দুজনকেই হিজরত করতে হয়েছ- ইসলাম প্রচারের খাতিরে দুজনকেই নিজ মাতৃভুমি নিজ বাড়ি ভিটা  ছাড়তে হয়েছে ইবরাহিম () এর জন্ম স্থান ইরাকের বাবেল শহরে সেখান থেকে হিজরত করলেন ফিলিস্তিন, ফিলিস্তিন থেকে হিজরত করলেন মিশর, মিশর থেকে হিজরত করলেন মক্কা, মক্কা থেকে আবার ফিলিস্তিন তারপর আবার বাবেলে তেমনি আমাদের নবীজিও মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেছেন

) মক্কা মদীনাকে হারাম ঘোষনায় মিল: আমাদের নবী বলেন আমি মদিনাকে হারাম ঘোষনা করেছি যেমন ইবরাহিম () মক্কাকে হারাম ঘোষনা করেছেন

) নামাজে উভয়ের উপর দরুদ পাঠ করা হয় আল্লা-হুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিঁউঅআলা আ-লি মুহাম্মাদ, কামা স্বাল্লাইতা আলা ইবরা-হীমা অ আলা আ-লি ইবরা-হিম, ইন্নাকাহামিদুম মাজিদ। আল্লা-হুম্মা বা-রিক আলা মুহাম্মাদিঁউঅ আলা আ-লি মুহাম্মাদ, কামা বা-রাকতা আলা ইবরা-হিমা অ আলা আ-লি ইবরা-হিম, ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ।

এবার আসুন ১০টি ইবরাহিমি সুন্নত যা কিয়ামত পর্যন্ত জারি থাকবে সেগুলি হল

১. গোঁফ খাটো করা, ২. কুলি করা, ৩. নাক পরিষ্কার করা, ৪. মিসওয়াক করা, ৫. মাথার চুল দুই ভাগ করে আঁচড়ানো।

৬. নখ কাটা, ৭. নাভির নিচের পশম মুণ্ডানো, ৮. খতনা করা, ৯. বগলের পশম উপড়ে ফেলা, ১০. মলদ্বার ও মূত্রদ্বার পানি দ্বারা ধৌত করা।

তাছাড়া কুরবানি করা, আতিথেয়তা বা মেহমানদারি করা, মিম্বারে (উঁচু স্থানে) দাঁড়িয়ে  ‍খুতবা প্রদান করা, এগুলিও ইবরাহিম (আ) এর সুন্নত

কোন মন্তব্য নেই

sbayram থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.