ভয়ানক দাজ্জালী মিশন ফাঁস, ফিলিস্তিনের জন্য মুসলমানদের দোয়া কবুল হচ্ছেনা কেন?
ভয়ানক দাজ্জালী মিশন ফাঁস, ফিলিস্তিনের জন্য মুসলমানদের দোয়া কবুল হচ্ছেনা কেন?
يَا
أَيُّهَا النَّاسُ كُلُواْ مِمَّا فِي الأَرْضِ حَلاَلاً طَيِّباً وَلاَ
تَتَّبِعُواْ خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِينٌ
হে মানব মন্ডলী, পৃথিবীর হালাল ও পবিত্র বস্তু-সামগ্ রী ভক্ষন কর। আর শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। সে নিঃসন্দেহে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। [সুরা বাকারা 167
আজকে জানতে পারবেন দাজ্জাল
এই মুহুর্তে কোথায় আছে? তার জন্ম কখন হয়েছে? আরো জানতে পারবেন, ইহুদীরা দাজ্জালকে এত ভালোবাসে কেন? দাজ্জালের সাথে
তাদের কি সম্পর্ক? ইহুদীরা গযব প্রাপ্ত জাতি হওয়া সত্বেও
দুনিয়ার বুকে এত বেশী ক্ষমতা ও শক্তিধর কেন? এখন আমাদের
করনীয় কি? ফিলিস্তিনের জন্য মুসলমানদের দোয়া কবুল হচ্ছেনা
কেন?
তামিম
দারীর হাদিস
মুসলিম শরীফের ২৯৪২ নং হাদিসের বণনা: জাসসার ঘটনা
নামক অধ্যায়ে অনেক লম্বা ঘটনা: (বাইসান বাগান, তাবারিয়া হ্রদ, যুগার ঝণ, উম্মী
নবী)
আমাদের নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন সাহাবায়ে কেরামকে
একত্রিত করলেন এবং বিশেষভাবে একটি প্রশ্ন করলেন। তিনি জুমার খুতবার মতো না করে,
বরং এক ভিন্ন পদ্ধতিতে কথা শুরু করলেন।
এই জমায়েত ছিল সাধারণ নিয়মের বাইরে। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সাহাবাদের বললেন,
“জানো কি,
আমি আজ তোমাদের কেন একত্রিত করেছি?”
সাহাবায়ে কেরাম (রাযি.) উত্তরে বললেন—
“আল্লাহ ও তাঁর
রাসূলই ভালো জানেন।” কারণ, তারা জানতেন না, কেন এই বিশেষভাবে ডাকা হয়েছে।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন: “আমি আজ তোমাদের দাজ্জালের বিষয়ে কথা বলার জন্য একত্রিত
করেছি।” যদিও
তিনি পূর্বেও বহুবার দাজ্জাল সম্পর্কে আলোচনা করেছেন,
কিন্তু আজ একটি বিশেষ কারণ ছিল—একজন ব্যক্তি সাক্ষী হিসেবে এসেছেন যিনি নিজ চোখে কিছু
দেখেছেন। এই ব্যক্তি যখন ঘটনাটি দেখেন, তখন তিনি খ্রিস্টান ছিলেন। পরে তিনি
মুসলিম হয়ে যান এবং সেই সময়ের ঘটনা রাসূল (সাঃ)-কে জানিয়ে দেন। তখন নবী কারীম
(সাঃ) সেই ব্যক্তির বর্ণনাটি নিজ জবানিতে সাহাবাদের উদ্দেশ্যে পুনরায় বলেন এবং
বলেন: “দেখো,
আমি যা বলতাম,
ঠিক সেই কথাই সে বলছে।”
এই সাহাবির নাম ছিল হযরত তামিম দারী (রদিয়াল্লাহু আনহু)। তাঁর নাম স্মরণে রাখা উচিত। তিনি একজন খ্রিস্টান ছিলেন,
পরে ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনি একটি দ্বীপে
গিয়েছিলেন এবং সেখানেই দাজ্জালের অবস্থান দেখে এসেছিলেন। নবী কারীম (সাঃ) বললেন,
“তামিম দারী
আমাকে ঠিক সেসব কথাই বলেছেন, যেগুলো আমি তোমাদের অনেক আগে থেকে বলে আসছিলাম।”
তিনি এই সাক্ষ্যকে সামনে এনে সাহাবাদের
আবারও দাজ্জালের বিষয়ে সতর্ক করে দিলেন।
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই বিষয়ে বলেন যে: তামিম দারী (রাঃ)
একবার একটি বিশাল জাহাজে সফরে বের হন। এটি কোনো ছোট নৌকা ছিল না,
বরং বড় জাহাজ। সে জাহাজে তামিম দারী
ছাড়াও লাখান (আরবের একটি গোত্র) ও বনু সালাম
নামক গোত্রের প্রায় ৩০
জন ব্যক্তি ছিলেন। একসময় তারা ভুল পথে
চলে যান বা প্রবল ঝড়ে পড়ে যান,
যার ফলে তাদের জাহাজ নিয়ন্ত্রণহীন
হয়ে পড়ে এবং অজানা এক দ্বীপে গিয়ে পৌঁছায়।
দাজ্জালের দ্বীপে পৌঁছানো
এই দ্বীপে তারা জাসসাসা নামক এক ভয়ংকর প্রাণীর সাথে সাক্ষাৎ
করেন। এরপর তারা দাজ্জালের সাথে সাক্ষাৎ করেন, যিনি শিকলে বাঁধা ছিলেন। এই সাক্ষাতের বর্ণনাই নবী করীম
(সাঃ) সাহাবাদের সামনে তামিম দারী (রাঃ)-এর মাধ্যমে তুলে ধরেন।
হযরত তামিম দারী (রাঃ) বলছেন— আমরা যখন সেই
জাহাজে চড়েছিলাম, তখন আমাদের কিছুই বুঝে আসছিল না—আমরা কোথায় যাচ্ছি, কোন দিকে এগোচ্ছি। জাহাজটি যেন নিজে
থেকেই চলে যাচ্ছিল, একপ্রকার "হাওয়ায় ভাসমান বিমানের মতো",
যা আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল না। সমুদ্রের
ঢেউ যেন আমাদের নিয়ে খেলছিল, কখনো সামনে, কখনো পিছনে—আমরা কোন দিকেই স্থির থাকতে পারছিলাম না। একসময় জাহাজ ভেসে এসে এমন এক স্থানে পৌঁছায়,
যা যেন
সমুদ্রের মাঝে
কোনো এক দ্বীপ।
সেখানে কিছুটা স্থির জায়গা দেখা যায়,
তখন আমাদের মনে একটু স্বস্তি আসে। সেই
সময়টি ছিল সুবহে সাদিকের (ফজরের ঠিক আগের মুহূর্ত) কাছাকাছি। আমরা
দ্বীপের কাছাকাছি পৌঁছেই বুঝতে পারলাম—এটি আমাদের পরিচিত কোনো জায়গা নয়, একেবারে অজানা! এরপর হযরত তামিম দারী (রাঃ) ও তাঁর সঙ্গীরা ছোট ছোট নৌকায় করে মূল দ্বীপে
প্রবেশ করলেন। তারা দ্বীপে নামতেই সামনে একটি অদ্ভুত ধরনের প্রাণী দেখতে
পেলেন। প্রাণীটির শরীর ছিল ঘন, মোটা লোমে ঢাকা—এতটাই যে বোঝাই যাচ্ছিল না তার মাথা কোথায়, পা কোথায়। কে সামনের দিক, কে পিছনের দিক, তাও স্পষ্ট ছিল না।
কিন্তু বিস্ময়ের ব্যাপার হলো, প্রাণীটি মানুষের মতো কথা বলছিল! "জাসসাসা" –
এক গুপ্তচর
প্রাণী তাদের প্রশ্নে
সে উত্তর দিল: “আমার নাম জাসসাসা। আমি একজন গুপ্তচর—যে দাজ্জালের খবর দেয়।” ইসলামী সাহিত্যে এই প্রাণীটির উল্লেখ রয়েছে। অনেকে বলেন,
এটি
দাজ্জালের দূত বা
তার আগমনের ইঙ্গিত বহনকারী এক রহস্যময় সত্তা।
কিছু হাদীসে বলা হয়...
·
এই ঘটনাটি যখন সাহাবীদের সামনে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বর্ণনা
করছিলেন, তখন
তারা গভীর মনোযোগে শুনছিলেন।
·
কেউ কেউ বলেন, যখন সাহাবারা দ্বীপে প্রবেশ করেন,
তখন প্রথমে একজন নারীকে দেখতে পান।
·
কিন্তু তামিম দারী (রাঃ)-এর হাদীসে প্রাণীটি
"জাসসাসা" নামেই পরিচিত।
তারা যখন সেই রহস্যময় দ্বীপে পৌঁছালেন, তখন
জাসসাসা নামের
এক অদ্ভুত প্রাণী তাদের বলল: “এই দ্বীপে একটি পুরনো গির্জা (চার্চ) আছে। সেখানে এক
ব্যক্তি আছেন, তিনি অনেক দিন ধরে কারো আসার অপেক্ষায় আছেন। সে খুবই আগ্রহী
যে, কেউ
তার সাথে দেখা করুক এবং কিছু কথা বলুক।” জাসসাসা বলল,
“তোমরা ওখানে যাও,
তিনি তোমাদের সাথে কথা বলবেন। কারণ,
তাকে কিছু বিশেষ খবর জানার ইচ্ছে আছে।”
সাহাবারা ভয়
পেয়ে যান হযরত তামিম দারী
(রাঃ) বলেন:
“আমরা এ কথা শুনে ভয় পেয়ে গেলাম। আমরা
ভাবলাম —
এটা কি কোনো
শয়তান নয়? কারণ সে যে অদ্ভুত কথা বলছিল, সেটা আমাদের চিন্তিত করে তুলছিল।”
তাঁরা চিন্তা করলেন— “কে জানে, সামনে কী বিপদ অপেক্ষা করছে! আমাদেরকে তো
একেবারে অজানা কারো সামনে যেতে বলা হচ্ছে।” গির্জার ভেতর প্রবেশ তবুও সাহস করে তাঁরা গির্জার ভেতর প্রবেশ
করেন। এবং তখন তারা এক ভয়ঙ্কর চেহারার মানুষ
দেখতে পান। তামিম দারী (রাঃ) বলেন: “আমরা জীবনে এমন
ভয়ংকর ও
বিশালদেহী মানুষ আর দেখিনি। সে রাগে পরিপূর্ণ ছিল।”
তামিম দারী (রাঃ) বর্ণনা করছেন— দাজ্জালকে তারা দেখলেন:
·
তার শরীর ছিল খুবই শক্তিশালী
·
হাঁটু থেকে গোড়ালি পর্যন্ত
লোহার শিকল দিয়ে
বাঁধা
·
দুই হাত গলা ও পিঠের পেছনে শক্ত রশিতে বাধা
দাজ্জালের প্রশ্নাবলী
তাদের সামনে দাজ্জাল নিজেই কথা বলা শুরু করল। সে বলল: “তোমরা আমাকে কিছু প্রশ্নের উত্তর দাও!
আমাকে ছেড়ে দিও না, বরং আমার প্রশ্ন শুনো।” তিনি সাহাবাদের উদ্দেশ্যে
চারটি প্রশ্ন করলেন।
তামিম দারী (রাঃ) সেই প্রশ্নগুলো পরবর্তীতে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সামনে বর্ণনা করেন।
প্রথম প্রশ্ন: দাজ্জাল জিজ্ঞেস করল:“তোমরা কারা?
কোথা থেকে এসেছো?
এখানে কীভাবে এলে?”
তারা উত্তর দিলেন:“আমরা আরব
অঞ্চল থেকে এসেছি।আমরা একটি বড় জাহাজে
করে ভ্রমণ করছিলাম, কিন্তু পথে দিক হারিয়ে ফেলি।একমাস ধরে সাগরে আমাদের জাহাজ ঘুরপাক খাচ্ছিল। তারপর আমরা
এই দ্বীপে পৌঁছাই।”
দ্বিতীয় প্রশ্ন: বাইসান এর খেজুর বাগানের খবর কী?”
দাজ্জাল বলল: বাইসান (فلسطين / ফিলিস্তিনের
এক অঞ্চল) —বলো, ওখানকার
খেজুর বাগানে
এখনো ফল ধরছে কিনা?” তারা বলল: “হ্যাঁ, ওখানে এখনো খেজুর ফল ধরছে।”
দাজ্জাল তখন বলল: “এটা মনে রাখো! এক সময় এই বাগান আর ফল
দেবে না, তখন
আমার প্রকাশের সময় ঘনিয়ে আসবে।”
তৃতীয় প্রশ্ন: “তাবারিয়া হ্রদ (Lake Tiberias)” ও যুগার এর ঝর্ণা
এরপর দাজ্জাল প্রশ্ন করল: “তাবারিয়া হ্রদ সম্পর্কে বলো —এখানে এখনো পানি আছে কি না?” তাবারিয়া হ্রদ
হচ্ছে ফিলিস্তিন ও সিরিয়ার মাঝামাঝি
অবস্থিত একটি বিশাল লেক (আজকের গ্যালিলি সি / Sea of Galilee)। এটি ইহুদি ও খ্রিস্টানদের কাছেও পবিত্র জায়গা হিসেবে
পরিচিত।
দাজ্জালের
প্রশ্নের উদ্দেশ্য কী? সে জানতে চাইছিল:
·
এখনো কি এই হ্রদে পর্যাপ্ত পানি আছে?
মানুষ কি এই পানি ব্যবহার করে চাষাবাদ
করছে?
সাহাবারা উত্তর দিলেন: “হ্যাঁ, এখনো এখানে অনেক পানি রয়েছে। মানুষ এই পানিই ব্যবহার করে
চাষাবাদ করছে।”
দাজ্জাল তখন বলল: যখন এই হ্রদের পানি শুকিয়ে যাবে, এই ঝর্ণার পানিও শুকিয়ে যাবে,
তখন বুঝবে আমার বের হবার সময় এসে গেছে।
আমি তখন এই শৃঙ্খল থেকে মুক্ত
হয়ে যাব এবং পৃথিবীজুড়ে চলতে শুরু করব।”
তাবারিয়া হ্রদের পানির পরিমাণ তার
মূল পরিমাণের
মাত্র এক-চতুর্থাংশ অবশিষ্ট
রয়েছে। পানি দিনকে দিন কমে যাচ্ছে।
চতুর্থ প্রশ্ন: উম্মি নবী (ﷺ) কে?
এরপর দাজ্জাল
তার চতুর্থ প্রশ্ন করল। এটা ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
প্রশ্ন।
সে আবার
বলল, তোমরা আমাকে উম্মীদের নবীর ব্যাপারে খবর দাও। সে এখন কি করছে?
তারা বলল, তিনি মক্কাহ থেকে হিজরত করে মদীনায়
চলে এসেছেন। সে জিজ্ঞেস করল, আরবের লোকেরা তার সাথে যুদ্ধ
করেছে কি? আমরা বললাম, হ্যাঁ, করেছে। সে বলল, সে তাদের সঙ্গে কিরূপ আচরণ করেছে। আমরা তাকে খবর দিলাম যে, তিনি আরবের পার্শ্ববর্তী এলাকায় জয়ী হয়েছেন এবং তারা তার বশ্যতা
স্বীকার করে নিয়েছে। সে বলল, এ কি হয়েই গেছে? আমরা বললাম, হ্যাঁ। সে বলল, বশ্যতা
স্বীকার করে নেয়াই জনগণের জন্য কল্যাণকর ছিল।
এখন আমি
নিজের ব্যাপারে তোমাদেরকে বলছি, আমিই মাসীহ দাজ্জাল। অতি
সত্ত্বরই আমি এখান থেকে বাইরে যাবার অনুমতি পেয়ে যাব। বাইরে যেয়ে আমি সমগ্র
ভূ-পৃষ্ঠ প্রদক্ষিণ করব। চল্লিশ দিনের ভেতর এমন কোন জনপদ থাকবে না, যেখানে আমি প্রবেশ না করব। তবে মক্কাহ্ ও তাইবাহ এ দুটি স্থানে আমার
প্রবেশ নিষিদ্ধ। যখন আমি এ দু’টির কোন স্থানে প্রবেশের ইচ্ছা
করব, তখন এক ফেরেশতা উন্মুক্ত তরবারি হাতে সম্মুখে এসে আমাকে
বাধা দিবে। এ দুটি স্থানের সকল রাস্তায় ফেরেশতাদের পাহারা থাকবে।
বর্ণনাকারী
বলেন, তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম তার ছড়ি দ্বারা মিম্বারে আঘাত করে বললেন, এ হচ্ছে তাইবাহ, এ হচ্ছে
তাইবাহ, এ হচ্ছে তাইবাহ। অর্থাৎ- তাইবাহ অর্থ এ মদীনাই।
সাবধান! আমি কি এ কথাটি ইতোপূর্বে তোমাদেরকে বলিনি? তখন
লোকেরা বলল, হ্যাঁ, আপনি বলেছেন।
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তামীম আদ
দারীর কথাটি আমার খুবই ভালো লেগেছে। যেহেতু তা
সামঞ্জস্যপূর্ণ আমার ঐ বর্ণনার, যা আমি তোমাদেরকে দাজ্জাল,
মদীনাহ ও মক্কাহ বিষয়ে ইতোপূর্বে বলেছি। জেনে রেখ। উল্লেখিত দ্বীপ সিরিয়া সাগরে অথবা ইয়ামান সাগরের পার্শ্বস্থ
সাগরের মাঝে অবস্থিত। যা পৃথিবীর পূর্বদিকে অবস্থিত, পৃথিবীর
পূর্বদিকে অবস্থিত, পৃথিবীর পূর্বদিকে অবস্থিত। এ সময় তিনি
নিজ হাত দ্বারা পূর্ব দিকে ইশারাও করলেন। বর্ণনাকারী ফাতিমাহ বিনতু কায়স (রাযিঃ)
বলেন, এ হাদীস আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম হতে সংরক্ষণ করেছি।
মুসলমানদের বিরুদ্ধে ইহুদীদের দাজ্জালী মিশন
ইহুদীদের
পরিকল্পনা কি?
১ নং পরিকল্পনা হল মুসলমানদেরকে আল্লাহ ও নবীর সাথে সম্পক ছিন্ন
করা
২ নং পরিকল্পনা হল মুসলমানদেরকে নাম মাত্র মুসলমানে পরিণত করা
৩ নং পরিকল্পনা হল এই মুসলিম জাতিকে তাদের পুতুলে পরিণত করা
৪ নং পরিকল্পনা হল মুসলমানদের দোয়া যাতে কবুল না হয় সে ব্যবস্থা
গ্রহণ করা
৫ নং পরিকল্পনা হল দাজ্জালের জন্য গ্রেটার ইজরাইল রাস্ট্র তৈরী
করা, তাদের এই গ্রেটার ইজরাইলে থাকবে (সম্পূর্ণ ফিলিস্থিন,
জডান, লেবানন, সিরিয়ার কিছু
অংশ, ইরাকের পশ্চিমাংশ, সৌদি আরবের উত্তরের
কিছু অংশ, মিশরের সিনাই উপত্তকা) ইহুদীদের
ধমগ্রন্থে আছে (তোমাদের সীমা হবে মিশরের নীল নদ থেকে ইউফ্রেটিস
পযন্ত )
৬নং মসজিদে আকসায় তাদের ৩য় টেম্পল তৈরী করা,
৭ নং হল বিশ্বজগৎ ও বিশ্ব অথনীতি নিয়ন্ত্রণ করা
আর এসব বাস্তবায়ন করার জন্য তারা যা যা করার সবই করবে, আর
এসব করার জন্য তারা কি কি গোপন কাজ করে যাচ্ছে তা অনেক তথ্যই আজ ফাঁস হয়ে গেছে,
আমি তা থেকে কিছু বিষয় আপনাদের অবগতির জন্য আজকে আলোচনা করার চেষ্টা করব।
ইহুদীরা
দাজ্জালকে কেন ভালোবাসে? কেন দাজ্জালের জন্য মুখিয়ে আছে?
দাজ্জালকে ইহুদীরা তাদের মসিহা মনে করে, তাদের আকিদা হল দাজ্জালের হাত ধরেই
তারা এই বিশ্ব জয় করবে। বিশ্বে তারা রাজিত্ব করবে। এমনকি দাজ্জাল তাদেরকে মৃত্যু
থেকে রক্ষাও করবে। নাউজুবিল্লাহ
মুসলিম
উম্মাহ নবী থেকে দুরে সরে গেলে দাজ্জাল আসবে
ইহুদীদের বিশ্বাস যখন মুসলিম উম্মাহ তাদের নবীর (সা.) থেকে দূরে সরে যাবে। তখন
দাজ্জাল আসবে। তাই তারা মুসলমানদেরকে নানাভাবে নবী বিদ্বেষী বানানোর নানান মিশনও
বাস্তাবায়ন করে চলেছে।
ইহুদীরা
মরতে চায়না, তাদের সালাম হাজার বছর বাঁচো- তারা নিজেদেরকে
দুনিয়ায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যুভীতিতে থাকা সম্প্রদায় হলো ইহুদিরা। তাই তারা একে
অপরের সাথে দেখা হলে বলে “হাজার বছর বাঁচো, হাজার বছর বাঁচো।” কুরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন,
যদি তাদেরকে হাজার বছর বয়সও দেওয়া হয়,
তবুও তারা মরতে পছন্দ করে না।
ইহুদীরা কি বেহেশতের মাটি দিয়ে তৈরী? আল্লাহর প্রিয় পুত্র?
ইহুদীরা নিজেদেরকে আল্লাহর সন্তান ও শ্রেষ্ঠ মাটির তৈরী মনে করেন, আল্লাহ
তাদের ভুল ধারনাকে খন্ডন করে বলেন, সুরা মায়েদার ১৮ নং আয়াতে এরশাদ করেন
وَقَالَتِ ٱلۡيَهُودُ وَٱلنَّصَـٰرَىٰ نَحۡنُ أَبۡنَـٰٓؤُاْ ٱللَّهِ
وَأَحِبَّـٰٓؤُهُ
"আর ইহুদী ও খ্রিষ্টানরা বলে, আমরা
আল্লাহর পুত্র ও তাঁর প্রিয়জন।
এবং ইহুদীদের আরো একটি ভুল ধারনা হল তারা নিজেদেরকে বেহেশতের মাটি দিয়ে তৈরী
মানব জাতি মনে করে আর অন্যান্যদেরকে কাদা মাটি দিয়ে তৈরী মানব মনে করে।
ইহুদীদেরকে আল্লাহর চ্যালেঞ্জ- আল্লাহর বন্ধু হলে মৃত্যু বরণ কর
তারা যদি সত্যিই আল্লাহর প্রিয় হয় তাহলে তারা মরতে কেন ভয় পায়? আল্লাহর সাথে
সাক্ষাৎ এর সবচেয়ে বড় মাধ্যম হল মৃত্যু তাহলে তারা মৃত্যুকে কেন এত ভয় পায়? সে
জন্য আল্লাহ তাদের এই মিথ্যা দাবীকে অসার প্রমাণ করার জন্য এরশাদ করেন
قُلْ يَا أَيُّهَا
الَّذِينَ هَادُوا إِنْ زَعَمْتُمْ أَنَّكُمْ أَوْلِيَاءُ لِلَّهِ مِنْ دُونِ
النَّاسِ فَتَمَنَّوُا الْمَوْتَ إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ
“বলুন, হে ইয়াহুদীরা! যদি তোমরা মনে কর যে,
মানুষের মধ্যে একমাত্র তোমরাই আল্লাহর বন্ধু, তাহলে
তোমরা মৃত্যুর আকাঙ্ক্ষা করো, যদি তোমরা সত্যবাদী হও।”
ইহুদীরা অনেক নবী রসুলকে হত্যাকারী- ইয়াহিয়ার হত্যার স্থান থেকে
রক্তের ঝর্ণা,
মুলত ইহুদীদেরকে আল্লাহ অনেক নেয়ামত দিয়েছেন, তারা নিয়ামতের না শোকরি করেছে, অনেক নবী রসুলকে হত্যা করেছে, হযরত ইয়াহিয়া (আ) কে তাদের কোরবানী করার স্থানে হত্যা করে সেখান
থেকে অনবরত রক্তের ঝর্ণা প্রবাহিত হচ্ছিল, তাদের এই অনর্থের
কারনে আল্লাহ তাদের উপর বাবেল শহরের তৎকালিম শক্তিশালি রাজা বখতে নসরকে চাপিয়ে দেন,
বখতে নসর জেরুজালেম দখল করেন, বায়তুল
মুকাদ্দাস দখল করেন, বহু ইহুদীকে বন্দী করেন এবং তাদের
কুরবান গাহে রক্তের ফোয়ারা দেখে প্রশ্ন করেন এটা কি তারা মিথ্যা বলে – এটা হল আমাদের একজনের কুরবানি কবুল হয়নি সে জন্য এভাবে
রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে, কিন্তু বখতে নসর তাদের কথা বিশ্বাস করেনা, তিনি
তাদেরকে সত্য স্বিকার করতে হত্যা করতে থোকে এভাবে ৭০ হাজার ইহুদীকে হত্যা করে,
তাদের যত আলেম ছিল সকলকে হত্যা করে, অবশেষে
তারা স্বিকার করে তারা নবী এয়াহিয়াকে এখানে হত্যা করেছিল আর সেখান থেকেই রক্ত
প্রবাহিত হচ্ছিল। অবশেষে আল্লাহ ৭০ হাজার ইহুদীর মৃত্যুর পর সে রক্ত প্রবাহ বন্ধ
করে দেন। সুবহানাল্লাহ তাদের উপর আল্লাহ যে বার বার আযাব নাজিল করেছেন সে কথা সুরা
বনি ইসরাইলের ৪- ৮ নং আয়াতে আছে।
ইহুদীদের পুরানো কিতাবে এক ভাষা একজনের শাসন ও আল্লাহকে
হত্যা করার কথা আছে এখনও কি সে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে?
তারা মৃত্যুকে ঘৃণা করে এবং চায় চিরজীবী হতে। তারা দুনিয়ার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ
করেছে, কিন্তু
মৃত্যুকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। এখন মৃত্যু কার হাতে?
আল্লাহর হাতে। তারা এটাও জানে যে মৃত্যু
আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে। তাই তারা ভাবে—আল্লাহই যখন মৃত্যু দিচ্ছেন, তাহলে আল্লাহকেই কেন না মেরে ফেলা হয়?
এই হচ্ছে তাদের পরিকল্পনা।
আগেকার যুগে, যখন নামরুদ রাজত্ব করছিল, সেই সময়েও এইসব লোক ছিল ইহুদি। নামরুদ এক
বিশাল প্রাসাদ তৈরি করেছিল। নামরুদ বহুদিন বেঁচে ছিল,
তার বিরাট শক্তি ছিল,
মানুষ তাকে "ঈশ্বর" বলত,
সে মানুষকে তার পূজা করতে বাধ্য করত।
কিন্তু তার একটাই চিন্তা ছিল—আমি যদি মারা
যাই? তখন
তো সব ঈশ্বর শেষ হয়ে যাবে। সেও মৃত্যু চায়নি। তখন সে ভাবল—আমার তো দুনিয়ার সবকিছু নিয়ন্ত্রণে,
মানুষ আমার সামনে মাথা নিচু করে,
তাহলে আমি কেন মরব?
তখন সে পরিকল্পনা করল—চল, সমস্ত মানুষকে একত্রিত করে একটা বাহিনী
তৈরি করি এবং সেই আল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধ করি। একবার চেষ্টা করে দেখি,
আল্লাহকে হত্যা করে নামিয়ে আনা যায় কি
না। তখনই মৃত্যুকে নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। এই ঘটনা আমাদের কিতাবে নেই,
তবে পুরনো কাহিনিগুলোর মধ্যে আছে। তখন সে
এক বিশাল টাওয়ার তৈরি করেছিল, একটা প্রাসাদ বানিয়েছিল যা সেই সময়ের সবচেয়ে উঁচু বিল্ডিং
ছিল। সে দুনিয়ার বিভিন্ন জায়গা থেকে সবাইকে এক জায়গায় জড়ো করেছিল। সবাইকে এক ভাষা শেখাল যাতে ভাষাগত ভেদাভেদ না থাকে।
সবাই একে অপরের সঙ্গে একই ভাষায় কথা বলত। সব মানুষ তার প্রতি অনুগত ছিল। সে
সবাইকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল যে—তাদের আল্লাহর
বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে। সে সবাইকে আল্লাহর বিদ্রোহী বানিয়েছিল এবং প্রবল উৎসাহে
বলত, “আমি
এমন একটি উঁচু বিল্ডিং বানাচ্ছি, যেটি দিয়ে আমি আকাশে উঠব, আল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধ করব এবং তাঁকে
নামিয়ে আনব। আমার সাথে তো পুরো দুনিয়ার মানুষ আছে।”
মদ্যপ একজন লোক যেভাবে ভাবে, তেমনি দূরদর্শী চিন্তা করত সে। রাজনীতি অনেক জঘন্য জিনিস—মানুষ কখনো কখনো নিজেকে আল্লাহ বানাতে চায় এবং আল্লাহকে
হত্যা করার চেষ্টা করে।
তাই সে এই পরিকল্পনা করেছিল এবং এটা লিন গসপেল
নামে পরিচিত এক পুরনো কিতাবে আছে। সে এক
বিল্ডিং বানায়, তারপর উপরে উঠে যায় এবং গোটা জনতাকে বলে,
“তোমরা আমার
সঙ্গে থাকো, আমাদের সবার ভাষা একই, তোমরা আমাকে সমর্থন করো,
তোমরা আমার বাহিনীতে থাকবে। আমি আল্লাহর
সঙ্গে যুদ্ধ করতে যাচ্ছি। যখন আমি তাঁকে হত্যা করব, তখন তোমাদের সবাইকে আমি চিরজীবন দেব।
চিন্তা কোরো না—যদি কেউ ২০০০ বছরের জীবন চায়,
আমি দিয়ে দেব। কেউ ৫০০০ বছর চাইলে সেটাও
দেব।” সব
মানুষই মৃত্যুকে ঘৃণা করত, কেউ মরতে চায়নি। তাই সবাই ভাবল—এটা একবার চেষ্টা করে দেখি।
আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত এক ফেরেশতাকে বললেন, “আমার এক বান্দা এক বিশাল উঁচু টাওয়ার
বানিয়েছে, চল
দেখি।” আল্লাহ
এক ফেরেশতাকে পাঠালেন আকাশ থেকে নিচে।
এত সংখ্যক ফেরেশতার মধ্যে আল্লাহ একজনকেই পাঠালেন। তিনি জিবরাইল (আ.)— না মিকাইল, না ইসরাফিল, না ইসরাইল—তিনি হলেন সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন ফেরেশতা।
তিনি নিচে এলেন, আর শুধু নিজেকে নাড়ালেন... তার বিশাল প্রাসাদ ধ্বংস হয়ে গেল,
নমরুদ ধ্বংস হয়ে গেল। এরপর যারা বেঁচে
ছিল, তাদের
অনেকেই মারা গেল, আর যারা রয়ে গেল, তাদের সবাইকে আল্লাহ বললেন—তাদের ভাষাগুলো আলাদা করে দাও। সবার ভাষা আলাদা করে দেওয়া
হলো—এই জনের ভাষা একরকম,
অন্য জনের ভাষা আরেকরকম।
এটাও আল্লাহর হিকমতের একটি নিদর্শন—যেন এমন ভয়ংকর পরিকল্পনা আর না হতে পারে, যেন সব কিছু একসঙ্গে না আসতে পারে।
সবাইকে আলাদা করে দেওয়া হলো এবং এটা অন্যান্য কিতাবেও লেখা আছে।
এই পরিকল্পনাই এখনো তাদের মনে চলছে। এই চিন্তাধারা প্রাচীন,
এখন ইসরায়েল এবং ইহুদিরা আবার সেই পুরনো
পবিত্র কিতাব অনুযায়ী এগোচ্ছে। সেই কিতাবেই লেখা আছে—লক্ষ্য করো, কেয়ামতের কাছাকাছি সময়ে আরেকবার এই ধরনের
একটা চেষ্টা করা হবে। আগে যেমন তারা আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে চেয়েছিল,
সেটি ব্যর্থ হয়েছিল এবং তারা ধ্বংস
হয়েছিল, এবার
তারা আধুনিক প্রযুক্তির ওপর ভরসা করছে।
সেই কিতাবেই বলা আছে—কেয়ামতের আগে তারা আবারও একবার এই ধরনের
চেষ্টা করবে। এটা হাদিসে নেই যে তারা আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে,
কিন্তু তাদের কিতাবে লেখা আছে। আমার মতে,
আজকের ইহুদিরা সেই পুরনো পরিকল্পনারই
অনুসরণ করছে। তারা এক ‘মসীহ’ (উদ্ধারক) চায়—যিনি হচ্ছেন দাজ্জাল। দাজ্জাল হচ্ছে আল্লাহর দুশমন,
আর তারা জানে দাজ্জালের কী ক্ষমতা আছে। মানুষকে
সে ৪০ দিনে পুরো দুনিয়া ঘুরিয়ে দেখাবে। আকাশ থেকে বৃষ্টি নামাবে,
মাটি থেকে ফসল ফলাবে—এইসব কিছু দেখিয়ে দেবে। তারা এমন একজন শক্তিশালী মানুষ চায়,
যে আল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধ করতে পারবে। এটাই
তাদের প্রতীক্ষা। তারা আর কী চায়?
তারা চায় সারা দুনিয়ার ভাষা এক হোক—তারা চায় ইংরেজি হোক সেই বিশ্বভাষা। তারা এটাকেই জনপ্রিয় করছে—যেন সবাইকে এক সূত্রে বাঁধার ভাষা হয় ইংরেজি। তারা সবাইকে
একটিমাত্র মুদ্রায় নিয়ে আসতে চায়—এবং এখন প্রায়
তা বাস্তব হয়ে গেছে। ডলার হচ্ছে আজ প্রায় পুরো দুনিয়ার মুদ্রা। প্রায় সব দেশ ডলারে
লেনদেন করতে চায়। তারা চায় একটি মুদ্রা, একটি ভাষা।
তুমি লক্ষ্য
করবে—বড় বড় রাষ্ট্রপতি বা তারকারা প্রায়ই বলেন
“One World
Order”।
এর মানে কী? একটি বিশ্ব, একটি শাসনব্যবস্থা।
আমরা আলাদা দেশ চাই না, আলাদা রাজনীতি চাই না—পুরো পৃথিবী একটি সরকারের অধীনে চলবে। এটাই তাদের পরিকল্পনা। এটা সেই নমরুদেরই পরিকল্পনা—আবার গোটা পৃথিবীকে একত্র করো,
সব প্রযুক্তি এক জায়গায় আনো।
ইহুদিদের মধ্যে একটি গোষ্ঠী গড়ে উঠেছে যারা "শয়তান উপাসক"—তারা শয়তানকে উপাসনা করে। এই গোষ্ঠীই এসব কাজ করেছে,
দুনিয়ার পুরো সিস্টেম বদলে ফেলেছে।
এখন শুনুন, দুনিয়াজুড়ে তারা কীভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। আমি চাই,
প্রতিটি শিশু এবং যুবক এই তথ্য জানুক।
ফিলিস্তিনের জন্য ২০০ কোটি মুসলমানের দোয়া কবুল হচ্ছেনা, আর
হবেওনা, এর আসল কারন কি? এ বিষয়ে ইহুদীদের ১৫০ বছরের এক মারাত্মক গোপন ষড়যন্ত্র
ফাঁস করেছেন আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি পুস্তিকার বরাত দিয়ে মুফতি ডঃ সালমান আজহারী মজিআ, যদি মুসলমানরা
ইহুদীদের সে গোপন ষড়যন্ত্র থেকে বের হতে পারে, এসব বিষয় গুলি থেকে যদি বাঁচতে পারেন তাহলে সকল দোয়া কবুল হবে,
মুসলমানদের সকল দোয়া কবুল হবে,
মুসলমানরা ফিলিস্তিন সহ সকল স্থানে বিজয়ী হবে
প্রথমত: ইহুদীদের মিশন ছিল দুনিয়ার সকল নারীদেরকে বেপর্দা করা, ইহুদীদের বড় হাকিমদেরকে হাহাম বলা হয়,
আজ থেকে ১৫০ বছর আগে ইহুদীদের বড় হাকিম তাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ গোপন মিটিং করেন,
সেখানে ইহুদীরা তাদের হাকিমকে বলেন আমরা আমাদের সাধ্যমত দুনিয়ার সকল নারীদেরকে নানা ভাবে বেপর্দা করার কাজে সফলতা লাভ করছি, কিন্তু মুসলমান নারীদেরকে আমরা কোন ভাবেই বেপর্দা করতে সফল হচ্ছিনা। তখণ ইহুদীদের হাকিম তাদেরকে পরামশ দিল – মানুষের ফিতরত হল ছোট বেলায় মানুষকে যেমন কাপড় পরিধান করানো হয় যেমন কাপড় পরিধানে অভ্যাস করানো হয় জোয়ান অবস্থাতেও তারা তেমন কাপড়েই অভ্যস্থ হয়। যদি কোন নারী ছোট বেলা থেকে পর্দা করে উড়না পরিধান করে, নেকাব পড়ে, ১৬ বছর বয়সে তার থেকে নেকাব উড়না ছিনিয়ে নিতে পারবেনা, আপনি নিজের কথাই চিন্তা করুন আপনি সারা জীবন ফুল পেন্ট ফুল শাট পরিধান করেন,
হঠাৎ করে কেহ যদি আপনাকে হাফ পেন্ট পরে বাহিরে যেতে বলে আপনার লজ্জা লাগবেনা? অবশ্যই লাগবে। সে রকম যারা সব সময় ফুল কাপড় পরিধান করেন তারা হাফ কাপড় পরতে লজ্জা অনুভব করবে। কিন্তু যদি ছোট বেলা থেকেই মুসলমান নারীদেরকে হাফ পেন্ট হাফ হাতা টিশাট, হাফ জামা পরিধানে অভ্যস্থ করা যায় তাহলে ১৬ বছর, ২০ বছর ৪০ বছরেও তারা বেপর্দা হতে লজ্জা অনুভব করবে না। সে ইহুদী হাকিম বলল হে সাথীরা মুসলমান নারীদেরকে আমাদের প্ল্যান মোতাবেক বেপর্দা করা সম্ভব হচ্ছেনা কারন তাদের মা বাবা তাদেরকে ছোট বেলা থেকেই ফুল কাপড় চোপড় পরিধানে অভ্যস্থ করে গড়ে তুলে। সে জন্য এখন থেকে তোমাদের কাজ হবে মুসলমান ছোট ছোট মেয়েদের কাপড় চোপড় হাফ বানাতে হবে, তাদেরকে ছোট বেলা থেকেই ছোট ছোট কাপড়ে অভ্যস্থ করে ফেলতে হবে। ছোট ছোট মুসলমান মেয়েদের উপর মেহনত করলে কাজ হবে। সে জন্য দেখবেন ছোট মেয়ে বাবুদের কাপড় এখন খুব কমই পাবেন যাতে ফুল হাতা হয়। ৯৯%
শট জামা। আর আমাদের মুসলমানরা এগুলিতেই আমাদের ছোট ছোট মেয়েদেরকে অভ্যস্থ করে তুলছি। আর এই পরিকল্পনা আজ থেকে ১৫০ বছর আগ থেকেই হয়ে আসছে।
আজকের দিনে আমাদের প্রতিটি ছোট
সন্তান বলে, “আমার
ওয়েস্টার্ন স্টাইলের পোশাক চাই, আমার চাই কোনো অভিনেতার মতো হেয়ার স্টাইল।” মেয়েরা চায়, “আমিও
হরিণের মতো (আকর্ষণীয়) দেখতে হই, আমি নায়িকার মতো পোশাক পরবো।”
আপনি কি জানেন, অভিনেতা-অভিনেত্রীদের
পেছনে কোটি কোটি ডলার ব্যয় করা হয়? এই অর্থ কে দেয়? ইহুদিরা
তাদের পুরো জীবন উৎসর্গ করে এই তারকাদের জন্য। তাদের সাজায়, মডেল বানায়, সারা
বিশ্বের সামনে তুলে ধরে। যাতে সারা দুনিয়া তার মতোই পোশাক পরে।
আপনি কি জানেন না, বড় বড়
তারকারা ইলুমিনাটি?
এখন তো তারা নিজেই ঘোষণা করছে, “আমরা ইলুমিনাটি।” ইলুমিনাটি
হলো একটি ইহুদি ব্যবস্থা,
যেটা শুধু এই মিশনে কাজ করে—তারা তারকা হবে, এবং মানুষকে নিজের দিকে আকর্ষণ
করবে। প্রিয় ভাই, এমন সময় আসবে যখন তারা জনসমক্ষে আবর্জনা খাবে, তখন তাদের ভক্তরাও আবর্জনা খাবে। তারা ড্রাগে আসক্ত হবে, এবং
ভক্তদেরও আসক্ত করে তুলবে। এসব তারকার পেছনে বিশাল খরচ করা হয়। ইউকে-আমেরিকা
হলো সেই দেশ যারা পুরো বিশ্বের পরিবেশ পরিবর্তন করে।
এটা শুধু অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কথাই
না, গায়ক-গায়িকাদেরও
অনেক মূল্য আছে। কোনো বড় গায়ক হলেও, তার পেছনে লাখ লাখ টাকা খরচ হয়।
ফুটবল খেলোয়াড়দের পেছনেও কোটি কোটি ডলার খরচ করা হয়। এত খরচ কেন? কারণ তাদের
লাখ লাখ ভক্ত আছে, তাদের
দেখছে বিশাল এক বিশ্ব। আপনি যেকোনো অভিনেতার ইতিহাস খুঁজে দেখুন—কত মিলিয়ন
ফলোয়ার! কারো তো বিলিয়ন পর্যন্ত আছে। সে যদি কিছু একটা করে, তাহলে কোটি
কোটি মানুষ তা অনুসরণ করে।
ইহুদিরা সারা বিশ্বের সেরা
প্রভাবশালী মানুষগুলোকে বেছে নিয়েছে, যেন তারা খুব সহজেই তাদের বার্তা
সবার কাছে পৌঁছাতে পারে। এটা ছিল পোশাকের বিষয়।
২য় বিষয় হল খাদ্য:
রিযিক ভালো হলে ইবাদতে বরকত আসে। কিন্তু যদি সেই রিযিক নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে
আমাদের সব সম্পর্ক কেটে যায়।
আমাদের দোয়া কবুল হচ্ছে না, আর রিযিকের এমন অবস্থা হয়ে গেছে যে আজ আমরা পুরো বিশ্বজুড়ে
দেখছি—কিছু বছর পর হয়তো আমাদের জন্য হালাল
খাওয়াই কঠিন হয়ে যাবে। হালাল থাকবে ঠিকই, কিন্তু খাওয়া কঠিন হয়ে যাবে। খুব কম
মানুষই আছে যারা হারাম থেকে বাঁচতে পেরেছে। এখন
বিশ্বের প্রতিটি ঘরে KFC,
ম্যাকডোনাল্ডস পৌঁছে গেছে। এমন কত শত খাবারের কোম্পানি পৌঁছে গেছে,
যারা হারাম জিনিস সরবরাহ করছে।
অনেক কোম্পানি আছে যারা শূকর মাংস তৈরি করে, এবং মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে সেটা বিক্রি করে
যে, এখানে
হালাল মাংস বিক্রি হচ্ছে। এসব কোম্পানি আমাদের কিছুই ছাড়েনি—কোনো চকলেট পর্যন্ত ছাড়েনি। তারা হারাম জিনিস মিশিয়েছে,
যেন বাচ্চারা চকলেট খায়,
আর তারা বুঝতেই পারে না এতে কোন প্রাণীর
চর্বি মেশানো হয়েছে। হাজারবার তারা বলবে এটা হালাল, কিন্তু সে হারামের ফলে আমাদের এবাদত ও
দোয়াতে বিরাট প্রভাব পড়ছে।
আমাদের খাবারকে হারাম করার জন্য অনেক পরিকল্পিত প্রচেষ্টা হয়েছে। যাতে আমাদের
দোয়া কবুল না হয়, আমাদের ইবাদত কবুল না হয়, এবং আমাদের আল্লাহ রাব্বুল
ইজ্জতের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। এ কারণেই আজ আমরা আল্লাহর রহমত চাই, বরকতের দোয়া করি কিন্তু রহমত আসতে দেখি না।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যতক্ষণ না তোমার পেটে হারামের খাদ্য রয়েছে,
তোমার কোনো দোয়া আল্লাহর কাছে পৌঁছাবে না।”
আমরা
যে ফার্মের মুরগি খাই তার খাবারে কি কি থাকে জানেন?
·
ভুট্টা, গম, সয়াবিন মেইল
(উদ্ভিজ্জ উৎস)
·
ফিশমিল (মাছের গুড়া) –
হালাল মাছ হলে সাধারণত সমস্যা নেই
·
মাংসের গুড়া (Meat &
Bone Meal) – এটিই সবচেয়ে বেশি সন্দেহজনক
এখানে অনেক
সময় হারাম
মৃত পশুর মাংস,
এমনকি শূকরের
অংশ
বা জবাই
না করা পশুর দেহ মিশ্রিত থাকে। এটি স্পষ্টভাবে নাজায়েজ
বা হারাম।
স্টেরয়েড ও হরমোন: এগুলোর কারণে মুরগি
অস্বাভাবিকভাবে দ্রুত বড় হয়। স্বাস্থ্যগতভাবে ক্ষতিকর ও ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে (সন্দেহজনক)।
ফিডে অ্যালকোহল/রক্ত জাতীয় উপাদান: যদি এরকম
কিছু থাকে, তাহলে
সেই খাদ্য অপবিত্র হিসেবে
গণ্য হবে।
সুরা বাকারার
১৬৮ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন
يَا أَيُّهَا النَّاسُ كُلُواْ مِمَّا فِي الأَرْضِ حَلاَلاً طَيِّباً
হে মানব মন্ডলী, পৃথিবীর হালাল ও পবিত্র বস্তু-সামগ্ রী ভক্ষন কর –
সূরা বাকারা,
আয়াত ১৬৮
·
যদি মুরগিকে হারাম বা অপবিত্র খাদ্য খাওয়ানো হয়,
তাহলে সেই মুরগির গোশত খাওয়া মাকরূহ বা হারাম হতে
পারে।
·
যদি সন্দেহ থাকে, তাহলে “তাকওয়া”-র পরামর্শ হলো: এমন মুরগি খাওয়া থেকে
বিরত থাকা, যতক্ষণ না নিশ্চিত হওয়া যায়।
ওষুধ নিয়েও সমস্যা ভয়াবহ। এই পৃথিবীতে একটি বিশাল ড্রাগ মাফিয়া সক্রিয় রয়েছে। তারা
জেনে বুঝে ঔষদের মাধ্যমে আমাদেরকে বিষ খাওয়াচ্ছে তা আমরা বুঝতেও পারিনা, তারা ওষুধকে বিশাল এক ব্যবসা বানিয়ে ফেলেছে।
ইন্ডিয়ার এক মুসলমান ডাক্তার নাম হল
ডাক্তার শফিক। তিনি গবেষণা করেছেন এবং বলেন, ক্যান্সার আসলে কোনো রোগ নয়, এটা একটি
ভাইরাস যা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর চিকিৎসা রয়েছে, কিন্তু
সম্পূর্ণ ড্রাগ মাফিয়া চায় না এই চিকিৎসা হোক।
চিকিৎসা? সেটা নাকি কিছু ছোট
পাতার মাধ্যমে সম্ভব। এক ডাক্তার আফগানিস্তানের কিছু গাছের পাতা দিয়ে ক্যান্সার
চিকিৎসা করেছিলেন, এবং সেই পাতার রস আমেরিকা নিষিদ্ধ করে
দিয়েছে। কেন আনা যাবে না? কেন চাই না যে ক্যান্সার আক্রান্ত মানুষ
সুস্থ হোক? কারণ যত বেশি ক্যান্সার বাড়বে, তত বেশি টাকা যাবে ড্রাগ মাফিয়ার পকেটে। শুধু কোটি নয়, এটা কোটি কোটি টাকার ব্যবসা।
প্রিয় ভাই, সারা বিশ্বের সোনা যারা দখলে রেখেছে, সেটা কারা?
ইহুদীদের ইংরেজি নাম কী,
জানেন? জুইস, জুইস (Jews)। আপনি যদি সারা পৃথিবীর যেকোনো স্বর্ণের
দোকানে যান, আপনি দেখবেন সেই দোকানকে কী বলা হয়? “Jewellery”। এই “Jewellery” শব্দটার ভেতরেই তাদের অহংকার লুকানো। তারা
আপনাকে এই অনুভূতি দিতে চায় যে, এটি শুধু তাদেরই অধিকার ,
ভোগের অধিকার।
পৃথিবীজুড়ে কাগজের মুদ্রা নিয়েও ইহুদীদের গোপন পরিকল্পনা
রয়েছে আর আমি আপনাকে
আরও বলি, তাদের পরিকল্পনা হচ্ছে
সোনা-রূপা দখলে নেওয়া এবং তারা যা বলবে, সেটাই হবে বৈধ মুদ্রা।
আজকে দেখুন, এই মুদ্রার বিষয়টিই কত কঠিন হয়ে গেছে।
ইমাম আহমদ রেজা খাঁ ফাজিল বরেলভী (রহঃ) এক শতাব্দী আগে একটি বই লিখেছিলেন।
আগেকার সময়ে ব্যবহার হত সোনার মুদ্রা, রূপার মুদ্রা—
সোনার মুদ্রাকে বলা হতো দিনার আর রূপার
মুদ্রাকে বলা হতো দিরহাম। আমরা বলি দিনার ও দিরহাম ব্যবহার হতো আগেকার দিনে। ইহুদিরা সারা বিশ্ব থেকে সোনা ও রূপার মুদ্রা তুলে ফেলল—তার জায়গায় নিয়ে এলো কাগজের টুকরো। আগেকার সময়ে কোনো
নোট ছিল না। তারা সারা বিশ্বে কাগজ নিয়ে এসে তার উপর লিখে দিল “হাজার”, এখন আমরা ভাবি সেটা হাজার টাকার। তারা
লিখল “২০০০”,
আমরা ভাবি সেটা ২০০০ টাকা,
অথচ সেই কাগজ তো সাধারণ খবরের কাগজের
মতোই, তার
মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। হয়তো একটু ভালো কাগজ ব্যবহার করা হয়েছে এবং ছাপানো
হয়েছে, কিন্তু
সেই কাগজের নিজের তো কোনো মূল্য নেই। এই কারণেই সারা বিশ্ব থেকে সোনা ও রূপার
মুদ্রা তুলে ফেলা হয়েছে। তারা চায় মুদ্রা শুধু কাগজেই থাকুক।
ভবিষ্যতের পরিকল্পনা হচ্ছে—এই কাগজের মুদ্রাও তুলে ফেলা হবে এবং পুরো সিস্টেমকে করে তোলা হবে ক্যাশলেস,
আজকাল কেউ আর পকেটে লাখ টাকার নগদ টাকা
নিয়ে ঘোরে না। যদি কেউ বড় অনলাইন লেনদেন করে, সেটা মোবাইল দিয়েই করে,
ATM দিয়েও করে।
Bitcoin হচ্ছে নতুন একধরনের মুদ্রা—যেটাকে কেউ আজ পর্যন্ত চোখে দেখেনি,
কিন্তু বর্তমানে এটা বিশাল পরিমাণে
কেনা-বেচা হচ্ছে। এটা চালাচ্ছে একধরনের মাফিয়া। কিছু অপরাধী এটাকে মুদ্রা হিসেবে ব্যবহার করছে। এটা পুরোপুরি অনলাইন।
মাইক্রোচিপ/ক্রিপ্টোকারেন্সি:
ভবিষ্যতের পরিকল্পনা হলো—আরো বেশি
করে ক্যাশলেস করে তোলা,
এমনকি ATM- Paytm-এর কার্ডও থাকবে না,
মানুষের
হাতের নিচে চামড়ার ভেতর মাইক্রোচিপ বসানো হবে
এই
চিপে সংরক্ষিত থাকবে আপনার:
- ব্যাংক অ্যাকাউন্ট / ডিজিটাল ওয়ালেট
- পরিচয়পত্র (ID)
- মেডিকেল ডেটা
- বাসা-বাড়ির কাগজপত্র
- জায়গা জমির দলিলপত্র
- এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
এটি দিয়ে কী করা সম্ভব?
- সুপারশপে
গিয়ে হাত স্ক্যান করে পেমেন্ট করা
- অফিসের
দরজা খুলে ফেলা
- টোল বুথ
পেরিয়ে যাওয়া (গাড়ির মতো)
- হাসপাতালে
হাত স্ক্যান করে রোগীর ইতিহাস জানা
- এমনকি ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবহার করাও সম্ভব
কোথায় এ চিপ ব্যবহার হচ্ছে?
- সুইডেন: এখানে হাজার হাজার মানুষ ইতিমধ্যেই এই চিপ ব্যবহার
করছে।
- অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, ইউরোপের অন্যান্য দেশ: পরীক্ষামূলক চালু হয়েছে।
কিন্তু আপনি কি জানেন এর দ্বিতীয় ধাপ কী? আমরা সব কিছু সরিয়ে ফেললাম, ঘরে আর টাকা
নেই, ব্যাংকেও নেই, কোথাও নেই—সব ঢুকিয়ে দিলাম ওই ছোট চিপটার ভিতরে।
কিন্তু সেটাই এখন মূল্যবান! দুনিয়া সেটাকেই বলবে আসল মুদ্রা। আপনি যদি কোনো
দোকানে গিয়ে কিছু কিনতে চান, শুধু আপনার আঙুলের চাপ দিবেন, হাজার টাকার জিনিস
কিনে নিয়ে আসবেন।
আমি যা বলছি, তা শুনে সহজই মনে হচ্ছে, তাই না? চিপটা তো আমার ভেতরে বসানো আছে,
আমি আঙুল চাপ দিলাম,
সহজে সব কাজ হয়ে যাবে,
কিন্তু
আমার হিসাব নিকাস সব কিছুই তো ইন্টারনেটের মাধ্যমে চলবে। ইন্টারনেট
না থাকলে কিছুই চলবে না। তাই প্রিয় ভাই, এই ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। দ্বিতীয়
প্রশ্ন হওয়া উচিত, যদি ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়,
তাহলে কী হবে?
এবং ইন্টারনেট তো আমার ব আপনার হাতে নেই—
পুরো ইন্টারনেট তাদের হাতে, যখন ইচ্ছে বন্ধ করে দিতে পারে। এক মুহূর্তে
বন্ধ করে দিলে—আপনার সেই চিপ পড়ে থাকবে এক জায়গায়,
আপনি দোকানে গিয়ে আঙুল রাখবেন,
কিন্তু কিছুই দেখা যাবে না। কারণ আজকেও
তো অনলাইন লেনদেন ইন্টারনেটের মাধ্যমেই হয়। নেট না থাকলে যারা অনলাইন ব্যবসা করে
তারা বলতে পারে কত বড় ক্ষতি হয়।
সব কিছু স্থবির হয়ে যায়, কারণ ইন্টারনেট কাজ করছে না,
তাহলে কীভাবে কাজ চলবে?
টাকাগুলো আছে অ্যাকাউন্টে,
কিন্তু আমি আমার মোবাইলে তা দেখতে পারছি
না। ব্যাংকের একটা অ্যাপ আছে, আমি সেটা খুলে দেখতে পারি যে আমার অ্যাকাউন্টে কত টাকা আছে—কিন্তু প্রিয় ভাই, আমি সেটা
কখন দেখতে পারি?
যখন আমার মোবাইলে
ইন্টারনেট চালু থাকে।
আর যদি ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে সারাদিন মোবাইল হাতে ঘুরে বেড়াতে হবে,
কিন্তু জানতেই পারবো না,
আমার ব্যাঙ্কে
কত টাকা আছে। এটাই হল
ভাবনার।
এবার একটি হাদিস শুনুন আমার আকা ﷺ বলেছেন—আমার উম্মতের উপর এক সময় অভিশাপ নেমে আসবে। এমন সময় আসবে, যখন মানুষ লোভের ফাঁদে পড়ে
যাবে, তারা হাওয়াসের রোগে আক্রান্ত হবে, এমনকি দারিদ্র্য আর অভাবের
মধ্যে একজন আরেকজনের মাংস খাওয়ার চেষ্টা করবে, রক্ত পান করার চেষ্টা করবে।
এই সময় তখনই আসবে যখন মানুষ কিছু ক্রয়-বিক্রয়
করতে পারবে না,
কিছুই করতে পারবে না। মানুষ না খেয়ে ঘরে
মরবে, সবকিছু
ধ্বংস হয়ে যাবে। তখন একজন আরেকজনের উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে,
একে অপরকে
হত্যার চেষ্টা করবে,
এমনকি
খেয়ে ফেলার চেষ্টা
করবে। যদি কেউ এই সিস্টেমের দিকে মানুষকে নিয়ে যেতে চায়,
এটা দাজ্জালের
সিস্টেম। সুতরাং আমাদের সচেতন হতে হবে।
আল্লাহর রাসূল ﷺ আমাদেরকে আগেই বলে দিয়েছেন,
প্রতিটি বড় বড় ঘটনা সম্পর্কে। শুধু ঘটনা
নয়, তিনি
বলে দিয়েছেন কিয়ামতের আলামত, দাজ্জালের আগমন,
ইয়াজুজ-মাজুজের
আগমন—সবই হাদীসে আছে। এবং তিনি কেবল ঘটনা
বলেননি, বরং এর
থেকে বাঁচার উপায়ও বলে দিয়েছেন। এটাই আমার প্রিয়
নবীর গৌরব, যে তিনি বিপদের খবর দিয়েছেন এবং
বাঁচার রাস্তা দেখিয়েছেন।
একটি হাদীসে এসেছে—কিয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে মানুষ তাদের আঙুলের ডগায়
অপরাধ করবে। সম্ভবত—
সেই সময়ের মানুষরা জানবেই না, আঙুলের ডগা দিয়ে অপরাধ কীভাবে করা যায়। কিন্তু
আজ আমরা কি দেখছি না—সব অপরাধ কি টাচস্ক্রিনের মাধ্যমে হচ্ছে
না? এই যে আমাদের আঙুলের সামনের অংশ,
যেটা মোবাইলে স্পর্শ করি—আজ প্রতিটি ছেলে-মেয়ের হাতে মোবাইল আছে। আর একাকীত্বে,
আল্লাহ জানেন তারা কী দেখছে! তাও আল্লাহ
ভালো জানেন। অনেকের মোবাইল এমন সব জিনিসে ভর্তি হয়ে গেছে,
যা
তাদের অন্তরের
চেয়েও নোংরা। প্রিয় ভাই, আমরা আমাদের আঙুলের মাধ্যমে কত অপরাধ করছি!
আমাদের লজ্জাস্থান এত অপরাধ করে না,
যতটা আমাদের
আঙুল করে। সুতরাং দেখো, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কী
বলেছেন—অপরাধ হবে আঙুলের মাধ্যমে।
সাহাবা জিজ্ঞেস করলেন, "ইয়া রাসূলাল্লাহ ﷺ, যখন আঙুলের ডগা
দিয়ে গুনাহ শুরু হবে, তখন আমরা কী করব?"
নবী ﷺ
১৪০০ বছর আগেই বলেছেন:"যখন তোমাদের আঙুলের ডগা গুনাহ করা শুরু
করবে, তখন এই আঙুলে তাসবীহ ঘোরাও।" এই আঙুলে তাসবীহ ঘোরানো শুরু করো। যখন তোমার আঙুল তাসবীহর প্রেমে পড়ে যাবে,
তখন
আল্লাহ তাআলা এই
আঙুলগুলোকে গুনাহ থেকে রক্ষা করবেন
আমাদের করনীয়: ইহুদীরা যেমন ঠান্ডা মাথায় মুসলমানদেরকে ধ্বংস করার সকল
মিশন চালিয় যাচ্ছে, আমাদের উচিত প্রত্যেকে নিজ নিজ স্থান থেকে অন্তরে তাদের এই সকল মুসলিম
বিরোধী কার্যকলাফের বিরোধীতা করা, সে সব বিষয়ে ধারনা রাখা,
সে সব ফাঁদে পা না দেয়া, যে সব প্রতিষ্ঠান
ইহুদীদের সে সব যথাসাধ্য এড়িয়ে চলা। যে কোন খাদ্য চকলেট, কাপড়,
খাওয়া ও পরিদানের আগে তাহকিক করা। জান মাল দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে
চেষ্টা করা।
ইসরাইলি
পন্যের বারকোড: যদি কোনো পণ্যের বারকোড ৭২৯ দিয়ে
শুরু হয়, তাহলে সেটা ইসরায়েলে
উৎপাদিত পণ্য যেমন পেপসি, কোকোকোলা,
নেসলের প্রোডাক্ট, ম্যাগি নুডুলস, ম্যাগি স্যুাপ, লরিয়েল কসমেটিকস, জনসন
এন্ড জনসন, পাম্পাস ডায়াপার, কলগেট, পালমলিভ সাবান এসব পন্য আমাদের দেশে বেশী চলে
এগুলি বজন করবেন।
ইহুদীদের এত কিছুর পর একটি আয়াত আমাদের জন্য সান্তনার তা হল
সুরা আরাফের ১৬৭ নং আয়াত
وَإِذْ تَأَذَّنَ رَبُّكَ لَيَبْعَثَنَّ عَلَيْهِمْ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ مَن يَسُومُهُمْ سُوءَ الْعَذَابِ إِنَّ رَبَّكَ لَسَرِيعُ الْعِقَابِ وَإِنَّهُ لَغَفُورٌ رَّحِيمٌ
আর সে সময়ের কথা স্মরণ কর, যখন তোমার পালনকর্তা সংবাদ দিয়েছেন যে, অবশ্যই কেয়ামত দিবস পর্যন্ত ইহুদীদের উপর এমন লোক পাঠাতে থাকবেন যারা তাদেরকে নিকৃষ্ট শাস্তি দান করতে থাকবে। নিঃসন্দেহে তোমার পালনকর্তা শীঘ্র শাস্তি দানকারী এবং তিনি ক্ষমাশীল, দয়ালু। [সুরা আরাফ -
আল্লাহ ওয়াদা করেছেন কিয়ামত পযন্ত ইহুদীদের উপর এমন লোক পাঠাবেন যারা তাদেরকে
নিকৃষ্ট শাস্তি দান করবেন। আমরা আল্লাহ দরবারে সে লোকগুলিকে দ্রুত পাঠানোর দোয়া করি,
যারা ইহুদীদের নিকৃষ্ট শাস্তি দিবেন।
আল্লাহ তায়ালা মুসলমানদেরকে ইহুদীদের
সকল ষড়যন্ত্র রক্ষা করুন আমিন
কোন মন্তব্য নেই